শেষ ওভারে জয়ে জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল ২৬ রান। যা প্রায় অসম্ভব বলা চলে। কিন্তু সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করলেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। কাইল মায়ার্সের করা শেষ ওভারে তিনি তুলে নিলেন ৩০ রান। এতে করে চলতি আসরে এখন পর্যন্ত অপরাজিত দল হিসেবে টিকে রইলো রংপুর রাইডার্স।
মায়ার্সের করা ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে শুরু করেন সোহান। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে জোড়া চার, চতুর্থ বলে আরেকটি ছক্কা। পঞ্চম বলে চার মারার পর ষষ্ঠ বলে আরেকটি ছক্কা মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। ৭ বলে অপরাজিত ৩২ রানের ইনিংসটি হয়ে থাকবে স্মরণীয়।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সিলেটে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান সংগ্রহ করে ফরচুন বরিশাল। দলের হয়ে ২৯ বলে অপরাজিত ৬১ রান করেন কাইল মেয়ার্স। তার ইনিংসে ছিল ১টি চার ও ৭টি ছক্কা। জবাবে খেলতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ইনিংসের শেষ বলে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় রংপুর।
এদিন বরিশালের হয়ে শুরুটা ভালো করেছিলেন দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও তামিম ইকবাল। শান্ত ৪১ রান করে বিদায় নেন, আর তামিম করেন ৩৪ বলে ৪০ রান। এই ইনিংসের পথে তামিম স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ৮ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন।
তাওহিদ হৃদয়ের ১৮ বলে ২৩ রানের ছোট ইনিংস ও ফাহিম আশরাফের ৬ বলে ২০ রান বরিশালের রানকে আরও বাড়িয়ে তোলে। তবে মিডল অর্ডারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মাত্র ৪ বলে ২ রান করে আউট হন।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় রংপুর শুরুতেই হোঁচট খায়। ফর্মে থাকা অ্যালেক্স হেলস ৩ বলে মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তবে তৌফিক খান তুষার ও সাইফ হাসান মিলে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন। তুষার ২৮ বলে ৩৮ ও সাইফ ১৯ বলে ২২ রান করেন।
৬৬ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন খুশদিল শাহ ও ইফতিখার আহমেদ। দুজন মিলে গড়েন ৯১ রানের জুটি। খুশদিল ২৪ বলে ৪৮ রান ও ইফতিখার ৩৬ বলে ৪৮ রান করে বিদায় নেন।
শেষ দিকে মাঠে নামেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। তার ক্যামিও ইনিংসেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় রংপুর। শেষ ওভারে ২৬ রান প্রয়োজন ছিল রংপুরের। মায়ার্সের করা ওভারে টানা বাউন্ডারি মেরে সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখান সোহান। এই জয়ে চলতি আসরে অপরাজিত থাকার রেকর্ড ধরে রাখল রংপুর রাইডার্স।
এই জয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে রইল রংপুর রাইডার্স এবং সবার নজর এখন তাদের পরবর্তী ম্যাচের দিকে।
The post শেষ ওভারে সোহানের তাণ্ডবে আবারো বরিশালের লঞ্চডুবি appeared first on Bangladesher Khela.