জাকের আলি চেষ্টার কমতি রাখেননি। তবে তার ২৩ বলে ৪৭* রান জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি। ফলে জয়ের ধারা ধরে রাখতে পারেনি সিলেট। ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচটা হার দিয়েই শেষ করলো আরিফুল হকের দল।
সোমবার দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় সিলেট স্ট্রাইকার্স ও চট্টগ্রাম কিংস। আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ২০৩ রান তুলে চট্টলা। বিপরীতে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান পর্যন্ত পৌঁছায় সিলেট। চট্টগ্রাম জয় পায় ৩০ রানে।
এদিন রাহকিম কর্নওয়ালকে বাদ দিয়ে পল স্টার্লিংকে একাদশে নেয় সিলেট। তবে এই আইরিশও ছিলেন ব্যর্থ। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ফেরেন গোল্ডেন ডাক মেরে। থিতু হতে পারেননি আরেক ওপেনার রনি তালুকদারও (৭)।
আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক জাকির হাসান এদিন পারেননি ইনিংস বড় করতে। ১৯ বলে ২৫ করতেই শেষ হয় তার দৌড়। অ্যারন জোন্স ফেরেন ১৮ বলে ১৫ করে। তবে হাল ধরেন জর্জে মানসে। জাকেরের সাথে মিলে যোগ করেন ২৮ বলে ৬২ রান।
সমান ৪ চার-ছক্কায় ৩৭ বলে ৫২ করে আউট হোন মানসে। তবে জাকের আলি চেষ্টা চালিয়ে যান শেষ বল পর্যন্ত। তবে তা কেবল হারের ব্যবধান কমায়। চট্টগ্রামের হয়ে ওয়াসিম জুনিয়র ৩ ও আলিস ইসলাম নেন ২ উইকেট।
এর আগে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ ওভারেই পারভেজ ইমনকে হারায় চট্টগ্রাম কিংস। ১০ বলে ৭ রান করে তানজিম সাকিবের শিকার হন তিনি। বিপিএলে এই নিয়ে ৪ ম্যাচে মাত্র ৩৭ রান করলেন ইমন।
এরপর উসমান খান ও গ্রাহাম ক্লার্ক মিলে টানেন ইনিংস। ১০ দশমিক ৩ ওভারে যখন এই জুটি ভাঙে, দলের পুঁজি ততক্ষণে তিন অংক ছুঁয়েছে। ৩৫ বলে ৫৩ রান করে ফেরেন উসমান। তবে মোহাম্মদ মিথুনকে নিয়ে রানের গতি ধরে রাখেন ক্লার্ক।
দু’জনে মিলে ৩০ বলে যোগ করেন ৪৮ রান। ক্লার্ক আউট হোন ৩ চার ৫ ছক্কায় ৩৩ বলে ৬০ করে। মিথুনও ১৯ বলে ২৮ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে দলকে দুই শ’ পার করে দেন হায়দার আলি। শেষদিকে ঝড় তুলেন, করেন ১৮ বলে ৪২*।
তানজিম সাকিব নেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট নেন নাহিদুল ইসলাম, রুয়েল মিয়া ও আরিফুল হক।
খুলনা গেজেট/ টিএ
The post সিলেটকে হারিয়ে চিটাগংয়ের জয়ের হ্যাটট্রিক appeared first on খুলনা গেজেট | সবার আগে সঠিক খবর.