8:26 am, Wednesday, 15 January 2025

‘বকের রোস্ট, বালিহাঁসের মাংস হবে’ রাজশাহীর দুই ব্লগারের শাস্তি দাবি

স্টাফ রিপোর্টার: আজ বাসায় ‘স্পেশাল মানুষের জন্য হবে বকের রোস্ট’। পাঁচটি বক হাতে নিয়ে এমন ভিডিও ফেসবুকে প্রচার করেন আল-আমিন। ওদিকে হাতে বালিহাঁস নিয়ে তুলি বলছেন- ‘তিনি বাড়ি গেছেন বলে তার বাবা বিল থেকে ধরে এনেছেন হাঁসপাখি। আজ হাঁসপাখির মাংস হবে।’

এই দুজনেই তাদের দৈনন্দিন জীবনের নানা ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করেন। ফেসবুকে তুলির ফলোয়ার সাড়ে ৬ লাখের বেশি। আর আল-আমিনের ফলোয়ার সাড়ে ৫ লাখের বেশি। কয়েক দিন আগে তারা ফেসবুকে বক ও বালিহাঁস নিয়ে ভিডিও প্রচার করেন। এতে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বাধ্য হয়ে দুজনেই ফেসবুক থেকে ওই ভিডিও মুছে দিয়েছেন।

তবে তাদের শাস্তির দাবিতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং পরিযায়ী অতিথি পাখি সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে স্মারকলিপি দিয়েছে রাজশাহীর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়ুথ অ্যাকশন ফর সোশ্যাল চেঞ্জ-ইয়্যাস।

গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ইয়্যাসের সভাপতি শামীউল আলীম শাওন ও সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক স্বাক্ষরিত এই স্মারকলিপি রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ ও জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতারকে দেয়া হয়। এতে আল-আমিন ও তুলির শাস্তি দাবি করা হয়।

ইয়্যাসের ওই স্মারকলিপিতে বলা হয়, আল-আমিন ও তুলি প্রকাশ্যে পরিযায়ী পাখি ধরার প্ররোচনা ও জবাই করে রোস্ট করে খাওয়ার প্ররোচনা করেছেন, যা বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

এ আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি উল্লিখিত কোনো পাখি বা পরিযায়ী পাখির ট্রফি বা অসম্পূর্ণ ট্রফি, মাংস দেহের অংশ সংগ্রহ করলে, দখলে রাখলে বা ক্রয় বা বিক্রয় করলে বা পরিবহণ করলে তিনি অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবে এবং এ অপরাধের জন্য তিনি সর্বোচ্চ ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটালে সর্বোচ্চ এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড কিংবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। স্মারকলিপিতে দুই ব্লগার আল-আমিন ও তুলির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিশ্চিত করা, পাখি বা পরিযায়ী পাখি শিকারিদের আইনের আওতায় আনা ও নগরজুড়ে পাখির বিচরণকেন্দ্র ও আবাসস্থলকে সংরক্ষিত ঘোষণা করে সেখানে আলোদূষণ ও শব্দদূষণ রোধ কারার দাবি জানানো হয়েছে।

স্মারকলিপির অনুলিপি বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক, প্রধান বন সংরক্ষক, রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালককেও দেয়া হয়েছে।

ভিডিওতে ব্লগার আল-আমিনকে বক হাতে নিয়ে বলতে দেখা যায়, ‘আমার বাসায় স্পেশাল মানুষজন আসবে। তাদের জন্য পাখি নিয়ে আসা হইছে। বকপাখি। সুন্দর সুন্দর দেখতে সাদা সাদা বক। বাট মাংস কম।’ আল-আমিন তার মাকে বলছেন, ‘আম্মা, এগুলো কাকে খাওয়াবেন?’ তার মা বলেন, ‘এগুলো জামাইকে খাওয়াব।’ আল-আমিন আবার প্রশ্ন করেন, ‘আস্ত আস্ত রোস্ট করে খাওয়াবেন, না কেটে কেটে খাওয়াবেন?’ মা বলছেন, ‘রোস্ট করে খাওয়াব।’ আল-আমিন দর্শকদের উদ্দেশে বলেন, ‘বকের রোস্ট হবে আমাদের বাসায়, গাইজ। তোমরা চলে আইসো রোস্ট খাইতে।’

আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, তুলি মুরগির কুটি থেকে বুনোহাঁস বের করতে করতে বলছেন, ‘আমার বাপে বিলেত থেইক্যা কী ধইরা নিয়াসছে দেখেন।’ আরেকটি মেয়েকে বলতে শোনা যায়, ‘কী এটা?’ জবাবে তুলি বলেন, ‘এটা হাঁসপাখি।’ ততক্ষণে পা বাঁধা হাঁসটি হাত থেকে ছোটার জন্য ছটফট করছে। আর মুখে ডাকছে। তুলি বলছে, ‘আমার যে ভয় লাগিচ্ছে, উড়িচ্চে কেমন কইরে।’ পাশ থেকে এক যুবককে বলতে শোনা যায়, ‘এটা হচ্ছে হাঁসপাখি। আমার শ্বশুর আব্বা মাইরা লিয়াসছে। আর কী হবে আজ দুপুরে রান্না?’ তখন মেয়েটি কুটি থেকে একটি বাড়িতে পোষা একটি পাতিহাঁস বের করেন। মেয়েটির পরিচয় দিয়ে ছেলেটি বলেন, ‘এটা হচ্ছে তুলির বড় বোনের মেয়ে। আজ দুপুরে খাবারে হবে পাতিহাঁস আর হাঁসপাখি।’ এবার মেয়েটি বলেন, ‘আমি যখন আসি, তখন আমার বাপ মুনে বলে যে কী খাওয়াব, আর কী থুব। যেটা আমি পছন্দ করি, সেটাই আমার বাপ নিয়ে আসার চেষ্টা করে।’

সংশ্লিষ্টরা জানান, আল-আমিনের বাড়ি নাটোরের লালপুর উপজেলায়। তবে তুলির বাড়ি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আঞ্চলিক ভাষা শুনে ধারণা করা যায়, তার বাড়িও রাজশাহী অঞ্চলেই। মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে আল-আমিন বলেন, একজন সাংবাদিক তাকে ফোন করেছিলেন। এরপর তিনি ফেসবুক থেকে ভিডিও ডিলিট করে দিয়েছেন।

আল-আমিন জানান, একজন ব্লগার হিসেবে তিনি তুলিকে চেনেন। তবে তুলির বাড়ি কোথায় তা তিনি জানেন না। ফেসবুক আইডিতে থাকা তুলির মোবাইল নম্বরে সংযোগ পাওয়া যায়নি। তাই তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

রাজশাহী বনবিভাগের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, তারা ভিডিও দুটি পেয়েছেন। তারা ইতোমধ্যে ব্লগারদের সন্ধানে নেমেছেন। তাদের একটি ফোন নম্বরে ফোন করেছিলেন। ছেলেটা বলেছে, তার বাড়ি নাটোর। রাজশাহীতে থেকে ব্লগ করে। এরপর আর কোনো কথা বলেনি। ফোন বন্ধ করে দিয়েছেন। ভিডিওটিও সরিয়ে ফেলেছে। তারা সন্ধান করার চেষ্টা করছেন।

জাহাঙ্গীর কবির আরও বলেন, দুটি পাখির ভিডিও ওই ছেলেটাই ফেসবুকে ছেড়েছেন বলে তাদের মনে হয়েছে। সন্ধান পেলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেবেন।

The post ‘বকের রোস্ট, বালিহাঁসের মাংস হবে’ রাজশাহীর দুই ব্লগারের শাস্তি দাবি appeared first on সোনালী সংবাদ.

Tag :

‘বকের রোস্ট, বালিহাঁসের মাংস হবে’ রাজশাহীর দুই ব্লগারের শাস্তি দাবি

Update Time : 11:08:59 pm, Tuesday, 14 January 2025

স্টাফ রিপোর্টার: আজ বাসায় ‘স্পেশাল মানুষের জন্য হবে বকের রোস্ট’। পাঁচটি বক হাতে নিয়ে এমন ভিডিও ফেসবুকে প্রচার করেন আল-আমিন। ওদিকে হাতে বালিহাঁস নিয়ে তুলি বলছেন- ‘তিনি বাড়ি গেছেন বলে তার বাবা বিল থেকে ধরে এনেছেন হাঁসপাখি। আজ হাঁসপাখির মাংস হবে।’

এই দুজনেই তাদের দৈনন্দিন জীবনের নানা ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করেন। ফেসবুকে তুলির ফলোয়ার সাড়ে ৬ লাখের বেশি। আর আল-আমিনের ফলোয়ার সাড়ে ৫ লাখের বেশি। কয়েক দিন আগে তারা ফেসবুকে বক ও বালিহাঁস নিয়ে ভিডিও প্রচার করেন। এতে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বাধ্য হয়ে দুজনেই ফেসবুক থেকে ওই ভিডিও মুছে দিয়েছেন।

তবে তাদের শাস্তির দাবিতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং পরিযায়ী অতিথি পাখি সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে স্মারকলিপি দিয়েছে রাজশাহীর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়ুথ অ্যাকশন ফর সোশ্যাল চেঞ্জ-ইয়্যাস।

গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ইয়্যাসের সভাপতি শামীউল আলীম শাওন ও সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক স্বাক্ষরিত এই স্মারকলিপি রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ ও জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতারকে দেয়া হয়। এতে আল-আমিন ও তুলির শাস্তি দাবি করা হয়।

ইয়্যাসের ওই স্মারকলিপিতে বলা হয়, আল-আমিন ও তুলি প্রকাশ্যে পরিযায়ী পাখি ধরার প্ররোচনা ও জবাই করে রোস্ট করে খাওয়ার প্ররোচনা করেছেন, যা বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

এ আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি উল্লিখিত কোনো পাখি বা পরিযায়ী পাখির ট্রফি বা অসম্পূর্ণ ট্রফি, মাংস দেহের অংশ সংগ্রহ করলে, দখলে রাখলে বা ক্রয় বা বিক্রয় করলে বা পরিবহণ করলে তিনি অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবে এবং এ অপরাধের জন্য তিনি সর্বোচ্চ ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটালে সর্বোচ্চ এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড কিংবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। স্মারকলিপিতে দুই ব্লগার আল-আমিন ও তুলির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিশ্চিত করা, পাখি বা পরিযায়ী পাখি শিকারিদের আইনের আওতায় আনা ও নগরজুড়ে পাখির বিচরণকেন্দ্র ও আবাসস্থলকে সংরক্ষিত ঘোষণা করে সেখানে আলোদূষণ ও শব্দদূষণ রোধ কারার দাবি জানানো হয়েছে।

স্মারকলিপির অনুলিপি বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক, প্রধান বন সংরক্ষক, রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালককেও দেয়া হয়েছে।

ভিডিওতে ব্লগার আল-আমিনকে বক হাতে নিয়ে বলতে দেখা যায়, ‘আমার বাসায় স্পেশাল মানুষজন আসবে। তাদের জন্য পাখি নিয়ে আসা হইছে। বকপাখি। সুন্দর সুন্দর দেখতে সাদা সাদা বক। বাট মাংস কম।’ আল-আমিন তার মাকে বলছেন, ‘আম্মা, এগুলো কাকে খাওয়াবেন?’ তার মা বলেন, ‘এগুলো জামাইকে খাওয়াব।’ আল-আমিন আবার প্রশ্ন করেন, ‘আস্ত আস্ত রোস্ট করে খাওয়াবেন, না কেটে কেটে খাওয়াবেন?’ মা বলছেন, ‘রোস্ট করে খাওয়াব।’ আল-আমিন দর্শকদের উদ্দেশে বলেন, ‘বকের রোস্ট হবে আমাদের বাসায়, গাইজ। তোমরা চলে আইসো রোস্ট খাইতে।’

আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, তুলি মুরগির কুটি থেকে বুনোহাঁস বের করতে করতে বলছেন, ‘আমার বাপে বিলেত থেইক্যা কী ধইরা নিয়াসছে দেখেন।’ আরেকটি মেয়েকে বলতে শোনা যায়, ‘কী এটা?’ জবাবে তুলি বলেন, ‘এটা হাঁসপাখি।’ ততক্ষণে পা বাঁধা হাঁসটি হাত থেকে ছোটার জন্য ছটফট করছে। আর মুখে ডাকছে। তুলি বলছে, ‘আমার যে ভয় লাগিচ্ছে, উড়িচ্চে কেমন কইরে।’ পাশ থেকে এক যুবককে বলতে শোনা যায়, ‘এটা হচ্ছে হাঁসপাখি। আমার শ্বশুর আব্বা মাইরা লিয়াসছে। আর কী হবে আজ দুপুরে রান্না?’ তখন মেয়েটি কুটি থেকে একটি বাড়িতে পোষা একটি পাতিহাঁস বের করেন। মেয়েটির পরিচয় দিয়ে ছেলেটি বলেন, ‘এটা হচ্ছে তুলির বড় বোনের মেয়ে। আজ দুপুরে খাবারে হবে পাতিহাঁস আর হাঁসপাখি।’ এবার মেয়েটি বলেন, ‘আমি যখন আসি, তখন আমার বাপ মুনে বলে যে কী খাওয়াব, আর কী থুব। যেটা আমি পছন্দ করি, সেটাই আমার বাপ নিয়ে আসার চেষ্টা করে।’

সংশ্লিষ্টরা জানান, আল-আমিনের বাড়ি নাটোরের লালপুর উপজেলায়। তবে তুলির বাড়ি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আঞ্চলিক ভাষা শুনে ধারণা করা যায়, তার বাড়িও রাজশাহী অঞ্চলেই। মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে আল-আমিন বলেন, একজন সাংবাদিক তাকে ফোন করেছিলেন। এরপর তিনি ফেসবুক থেকে ভিডিও ডিলিট করে দিয়েছেন।

আল-আমিন জানান, একজন ব্লগার হিসেবে তিনি তুলিকে চেনেন। তবে তুলির বাড়ি কোথায় তা তিনি জানেন না। ফেসবুক আইডিতে থাকা তুলির মোবাইল নম্বরে সংযোগ পাওয়া যায়নি। তাই তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

রাজশাহী বনবিভাগের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, তারা ভিডিও দুটি পেয়েছেন। তারা ইতোমধ্যে ব্লগারদের সন্ধানে নেমেছেন। তাদের একটি ফোন নম্বরে ফোন করেছিলেন। ছেলেটা বলেছে, তার বাড়ি নাটোর। রাজশাহীতে থেকে ব্লগ করে। এরপর আর কোনো কথা বলেনি। ফোন বন্ধ করে দিয়েছেন। ভিডিওটিও সরিয়ে ফেলেছে। তারা সন্ধান করার চেষ্টা করছেন।

জাহাঙ্গীর কবির আরও বলেন, দুটি পাখির ভিডিও ওই ছেলেটাই ফেসবুকে ছেড়েছেন বলে তাদের মনে হয়েছে। সন্ধান পেলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেবেন।

The post ‘বকের রোস্ট, বালিহাঁসের মাংস হবে’ রাজশাহীর দুই ব্লগারের শাস্তি দাবি appeared first on সোনালী সংবাদ.