4:14 am, Saturday, 18 January 2025

আশাশুনিতে গলদা ক্লাস্টারের ২৫ চাষীর অভাবনীয় সাফল্য

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নে ২৫ জন মৎস্য চাষী গলদা চিংড়ী ও সবজি চাষ করে ১৫ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকা মুনাফা করতে সক্ষম হয়েছেন। সরকারি সহায়তা ও মৎস্য বিভাগের পরামর্শ মেনে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছেন মৎস্য চাষীরা। তারা ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনা আরো জোরদার করতে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছেন।

আশাশুনি সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিসারিজ প্রজেক্ট এর আওতায় আশাশুনিতে গলদা ক্লাস্টার গঠন করে নতুন আঙিকে গলদা চাষের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। এরই আওতায় উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের বাইনতলা গলদা ক্লাস্টার গঠন করা হয়।

এলাকার নিমাই চাঁদ বিশ্বাসকে সভাপতি করে ক্লাস্টারের ২৫ জন সদস্যকে নিয়ে কার্যক্রম গ্রহন করা হয়। ৮৩৬ শতাংশ জমিতে ২৫টি পুকুর তৈরি করে ২৫ জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের ২৪ মার্চ থেকে ক্লাস্টারের কাজ শুরু করা হয়। সদস্যরা নিজের অর্থে পুকুর তৈরি ও নেট, বাঁশের চটা ব্যবহার করে মাছ চাষের উপযোগি পরিবেশ সৃষ্টি করেন। এতে ২৫টি পুকুর তৈরিতে ১২ লক্ষ টাকা ও নেট, বাঁশের চটা লাগাতে ৩ লক্ষ টাকা খরচ হয়। পুকুর মাছ চাষের উপযোগি করে গড়ে তুলতে প্রকল্পের মাধ্যমে চিংড়ী খাদ্য, চুন, ব্রিচিং পাউডার, প্রিবায়োটিক, প্রোবায়োটিক, মিনারেল, পিএল, সার্ভিস প্রোবাইটার, মাটি পানির কিটসহ বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হয়। সবকিছু ক্লাস্টার সদস্যদের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। ২৫টি পুকুরে মোট ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৪৮০ পিচ পিএল ছাড়া হয়। ক্লাস্টারের সদস্যরা মৎস্য বিভাগের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ পেয়ে মনোযোগ সহকারে মাছ চাষে নিয়োজিত হন।

এত টাকা ব্যয় করে তারা লাভবান হতে পারবে কিনা এনিয়ে তাদের মনে নানা প্রশ্ন ও সংশয় থাকলেও কাজে গাফিলতি ছিলনা। মৎস্য দপ্তরের পরামর্শ, সাহস ও সহযোগিতা তাদেরকে উজ্জীবিত করে রেখেছিল। আন্তরিক প্রচেষ্টা ও মনোবল এক করে তারা মাছের পরিচর্চা কর থাকেন এবং ১০ মাসের চেষ্টার ফল পেতে জানুয়ারি’২৫ এর শুরু থেকে মাছ ধরা শুরু করেন। এ পর্যন্ত ২৫ টি পুকুরের মধ্যে ১৭ টির মাছ ধরেছেন। এখনো কিছু মাছ ধরতে বাকী থাকলেও মাছ বিক্রী করে টাকা পেয়েছেন ১০ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা। বাকী মাছ ধরার পর আরও ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পাবেন বলে তারা জানান। এছাড়া মাছ ধরতে বাকী থাকা ৮টি পুকুরের মাছ বিক্রী হতে পারে ৭ লক্ষাধিক টাকা। অর্থাৎ মাছ বিক্রী করে তাদের মোট আয় হবে ২১ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা।

এদিকে পুকুরের বাঁধে তারা বর্ষা মৌসুমে মিষ্টি কুমড়া, শশা, সিম, বরবটি, উচ্ছে, লাউ, ঢ্যাড়শ, ঝাল, বেগুন চাষ করেছিলেন। চাষে মোট খরচ হয় ২ লক্ষ টাকা। বর্ষা মৌসুমের সবজি চাষে তাদের সবজী বিক্রী হয়েছে ১০ লক্ষাধিক টাকা। এখন শীত মৌসুমের সবজী আবাদ করেছেন। সেখানে টমেটো, ওলকপি, ফুল কপি, বাঁধা কপি, গাজর ইত্যাদি চাষ করা হয়েছে। খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। শীতের সবজী বিক্রীর কাজ চলছে। এসব সবজী বিক্রী করে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আয় হবে বলে তারা আশা ব্যক্ত করেন।

ক্লাস্টারের সভাপতি নিমাই চাঁদ বিশ্বাস জানান, আমরা ক্লাস্টারের ২৫ সদস্য একসাথে একমনে কাজ করে এসেছি। মৎস্য কর্মকর্তা স্যারের সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা পেয়ে সারা বছর মনদিয়ে কাজ করে এসেছি। পুকুর তৈরি ও নেট চটা লাগাতে আমাদের মোট খেচ হয়েছে ১৫ লক্ষ টাকা। এ পর্যন্ত মাছ ধরে বিক্রী করতে পেরেছি ১০ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা। এখনো মাছ বিক্রী হবে প্রায় ১০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। একই সাথে সবজী চাষে খরচ হয়েছে ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত সবজী বিক্রী হয়েছে ১০ লক্ষ টাকা। এখনো সবজী উঠছে এবং আশা করছি ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার সবজী বিক্রী করা সম্ভব হবে। অর্থাৎ এই ক্লাস্টারে ২৫ চাষী মোট খরচ করেছেন ১৭ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। আর তাদের আয় হয়েছে বা মোট আয় হবে ৩২ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা। আর তাদের নিট মুনাফা হচ্ছে ১৫ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকা।

তিনি আরও বলেন, এখানে জলাবদ্ধতা ছিল। পুকুর খনন করে, গলদা ও সবজী চাষ করে সফল হয়ে আমরা খুবই খুশি, পরিবারের খরচ যুগিয়ে অর্থ সঞ্চয়ের সুযোগ করতে পেয়েছি। ট্রেনিং নিয়ে মাছ চাষের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পেরেছি। এখন আমরা আরো সফল ভাবে ভাবে চাষাবাদ করতে পারবো। প্রকল্প না থাকলেও আমরা এভাবে চাষ করে যাব। প্রথম বছর তাই ভয়ে ভয়ে ছিলাম, এখন অভিজ্ঞতা ও সাহস অনেক বেড়েছে। আমাদের দেখাদেখি পাশের অনেক চাষী নিজেরা পুকুর খনন করে এই ভাবে মাছ ও সবজি চাষে এগিয়ে আসছে।

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সত্যজিত মজুমদার জানান, চাষীরা নিজ খরচে পুকুর খনন, নেট দিয়ে ঘেরার কাজ করেছেন। আমরা প্রজেক্টের মাধ্যমে চুন, বিলিচিং পাউডার, পিএল, খাদ্য, প্রিবায়োটিক, প্রোবায়োটিক, পাম্প ও বিভিন্ন কেনাকাটা বাবদ সহায়তা করেছি। চাষীরা নিজেরা সবকিছু কেনাকাটা করেছে। সবাই আশানুরুপ সফল হয়েছে। চাষে উদ্বুদ্ধ হয়ে আগামীতে চাষকাজ করে যেতে পারে সেজন্য তাদেরকে তৈরিতে চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ প্লান অনুযায়ী আগামী ৩ বছর নিজেদের প্রচেষ্টায় তারা চাষাবাদ চালিয়ে যাবে। তাদের পুকুর তৈরি, নেট দিয়ে ঘিরতে ১৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। আগামীতে এই খরচ লাগবেনা, সামান্য কিছু খরচ করলে হয়ে যাবে। ফলে বড় অংকের লাভ আসবে প্রজেক্ট থেকে। আমরা তাদের কাজের অগ্রগতি ও সফলতার জন্য মনিটরিং ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাব।

The post আশাশুনিতে গলদা ক্লাস্টারের ২৫ চাষীর অভাবনীয় সাফল্য appeared first on খুলনা গেজেট | সবার আগে সঠিক খবর.

Tag :

আশাশুনিতে গলদা ক্লাস্টারের ২৫ চাষীর অভাবনীয় সাফল্য

Update Time : 10:07:37 pm, Friday, 17 January 2025

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নে ২৫ জন মৎস্য চাষী গলদা চিংড়ী ও সবজি চাষ করে ১৫ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকা মুনাফা করতে সক্ষম হয়েছেন। সরকারি সহায়তা ও মৎস্য বিভাগের পরামর্শ মেনে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছেন মৎস্য চাষীরা। তারা ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনা আরো জোরদার করতে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছেন।

আশাশুনি সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিসারিজ প্রজেক্ট এর আওতায় আশাশুনিতে গলদা ক্লাস্টার গঠন করে নতুন আঙিকে গলদা চাষের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। এরই আওতায় উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের বাইনতলা গলদা ক্লাস্টার গঠন করা হয়।

এলাকার নিমাই চাঁদ বিশ্বাসকে সভাপতি করে ক্লাস্টারের ২৫ জন সদস্যকে নিয়ে কার্যক্রম গ্রহন করা হয়। ৮৩৬ শতাংশ জমিতে ২৫টি পুকুর তৈরি করে ২৫ জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের ২৪ মার্চ থেকে ক্লাস্টারের কাজ শুরু করা হয়। সদস্যরা নিজের অর্থে পুকুর তৈরি ও নেট, বাঁশের চটা ব্যবহার করে মাছ চাষের উপযোগি পরিবেশ সৃষ্টি করেন। এতে ২৫টি পুকুর তৈরিতে ১২ লক্ষ টাকা ও নেট, বাঁশের চটা লাগাতে ৩ লক্ষ টাকা খরচ হয়। পুকুর মাছ চাষের উপযোগি করে গড়ে তুলতে প্রকল্পের মাধ্যমে চিংড়ী খাদ্য, চুন, ব্রিচিং পাউডার, প্রিবায়োটিক, প্রোবায়োটিক, মিনারেল, পিএল, সার্ভিস প্রোবাইটার, মাটি পানির কিটসহ বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হয়। সবকিছু ক্লাস্টার সদস্যদের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। ২৫টি পুকুরে মোট ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৪৮০ পিচ পিএল ছাড়া হয়। ক্লাস্টারের সদস্যরা মৎস্য বিভাগের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ পেয়ে মনোযোগ সহকারে মাছ চাষে নিয়োজিত হন।

এত টাকা ব্যয় করে তারা লাভবান হতে পারবে কিনা এনিয়ে তাদের মনে নানা প্রশ্ন ও সংশয় থাকলেও কাজে গাফিলতি ছিলনা। মৎস্য দপ্তরের পরামর্শ, সাহস ও সহযোগিতা তাদেরকে উজ্জীবিত করে রেখেছিল। আন্তরিক প্রচেষ্টা ও মনোবল এক করে তারা মাছের পরিচর্চা কর থাকেন এবং ১০ মাসের চেষ্টার ফল পেতে জানুয়ারি’২৫ এর শুরু থেকে মাছ ধরা শুরু করেন। এ পর্যন্ত ২৫ টি পুকুরের মধ্যে ১৭ টির মাছ ধরেছেন। এখনো কিছু মাছ ধরতে বাকী থাকলেও মাছ বিক্রী করে টাকা পেয়েছেন ১০ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা। বাকী মাছ ধরার পর আরও ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পাবেন বলে তারা জানান। এছাড়া মাছ ধরতে বাকী থাকা ৮টি পুকুরের মাছ বিক্রী হতে পারে ৭ লক্ষাধিক টাকা। অর্থাৎ মাছ বিক্রী করে তাদের মোট আয় হবে ২১ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা।

এদিকে পুকুরের বাঁধে তারা বর্ষা মৌসুমে মিষ্টি কুমড়া, শশা, সিম, বরবটি, উচ্ছে, লাউ, ঢ্যাড়শ, ঝাল, বেগুন চাষ করেছিলেন। চাষে মোট খরচ হয় ২ লক্ষ টাকা। বর্ষা মৌসুমের সবজি চাষে তাদের সবজী বিক্রী হয়েছে ১০ লক্ষাধিক টাকা। এখন শীত মৌসুমের সবজী আবাদ করেছেন। সেখানে টমেটো, ওলকপি, ফুল কপি, বাঁধা কপি, গাজর ইত্যাদি চাষ করা হয়েছে। খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। শীতের সবজী বিক্রীর কাজ চলছে। এসব সবজী বিক্রী করে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আয় হবে বলে তারা আশা ব্যক্ত করেন।

ক্লাস্টারের সভাপতি নিমাই চাঁদ বিশ্বাস জানান, আমরা ক্লাস্টারের ২৫ সদস্য একসাথে একমনে কাজ করে এসেছি। মৎস্য কর্মকর্তা স্যারের সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা পেয়ে সারা বছর মনদিয়ে কাজ করে এসেছি। পুকুর তৈরি ও নেট চটা লাগাতে আমাদের মোট খেচ হয়েছে ১৫ লক্ষ টাকা। এ পর্যন্ত মাছ ধরে বিক্রী করতে পেরেছি ১০ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা। এখনো মাছ বিক্রী হবে প্রায় ১০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। একই সাথে সবজী চাষে খরচ হয়েছে ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত সবজী বিক্রী হয়েছে ১০ লক্ষ টাকা। এখনো সবজী উঠছে এবং আশা করছি ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার সবজী বিক্রী করা সম্ভব হবে। অর্থাৎ এই ক্লাস্টারে ২৫ চাষী মোট খরচ করেছেন ১৭ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। আর তাদের আয় হয়েছে বা মোট আয় হবে ৩২ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা। আর তাদের নিট মুনাফা হচ্ছে ১৫ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকা।

তিনি আরও বলেন, এখানে জলাবদ্ধতা ছিল। পুকুর খনন করে, গলদা ও সবজী চাষ করে সফল হয়ে আমরা খুবই খুশি, পরিবারের খরচ যুগিয়ে অর্থ সঞ্চয়ের সুযোগ করতে পেয়েছি। ট্রেনিং নিয়ে মাছ চাষের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পেরেছি। এখন আমরা আরো সফল ভাবে ভাবে চাষাবাদ করতে পারবো। প্রকল্প না থাকলেও আমরা এভাবে চাষ করে যাব। প্রথম বছর তাই ভয়ে ভয়ে ছিলাম, এখন অভিজ্ঞতা ও সাহস অনেক বেড়েছে। আমাদের দেখাদেখি পাশের অনেক চাষী নিজেরা পুকুর খনন করে এই ভাবে মাছ ও সবজি চাষে এগিয়ে আসছে।

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সত্যজিত মজুমদার জানান, চাষীরা নিজ খরচে পুকুর খনন, নেট দিয়ে ঘেরার কাজ করেছেন। আমরা প্রজেক্টের মাধ্যমে চুন, বিলিচিং পাউডার, পিএল, খাদ্য, প্রিবায়োটিক, প্রোবায়োটিক, পাম্প ও বিভিন্ন কেনাকাটা বাবদ সহায়তা করেছি। চাষীরা নিজেরা সবকিছু কেনাকাটা করেছে। সবাই আশানুরুপ সফল হয়েছে। চাষে উদ্বুদ্ধ হয়ে আগামীতে চাষকাজ করে যেতে পারে সেজন্য তাদেরকে তৈরিতে চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ প্লান অনুযায়ী আগামী ৩ বছর নিজেদের প্রচেষ্টায় তারা চাষাবাদ চালিয়ে যাবে। তাদের পুকুর তৈরি, নেট দিয়ে ঘিরতে ১৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। আগামীতে এই খরচ লাগবেনা, সামান্য কিছু খরচ করলে হয়ে যাবে। ফলে বড় অংকের লাভ আসবে প্রজেক্ট থেকে। আমরা তাদের কাজের অগ্রগতি ও সফলতার জন্য মনিটরিং ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাব।

The post আশাশুনিতে গলদা ক্লাস্টারের ২৫ চাষীর অভাবনীয় সাফল্য appeared first on খুলনা গেজেট | সবার আগে সঠিক খবর.