বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মনিরুজ্জামান মনি বলেছেন, ‘সময়ের প্রয়োজনে, দেশের প্রয়োজনে এবং পরিস্থিতির কারণে জিয়াউর রহমান রাজনীতিতে এসেছিলেন। দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য নেতৃত্বহীন জাতির দিশারি হয়ে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে দেশের এক চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর পাদপ্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত হন তিনি।’
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক রাস্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে খুলনা বিএনপির আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
মনি বলেছেন, অসাধারণ দেশপ্রেমিক, অসম সাহসিকতা, সততা-নিষ্ঠা ও সহজ-সরল ব্যক্তিত্বের প্রতীক জিয়াউর রহমান। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধে খেমকারান সেক্টরে অসীম সাহসিকতার সঙ্গে তিনি যুদ্ধ করেন। দেশের ক্রান্তিকালে তিনি বারবার ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের এই দিনে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বাগমারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে অধিষ্ঠিত হন। তিনি ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত দল তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হয়। তাঁর গড়া সেই রাজনৈতিক দলে তাঁর সহধর্মিণী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তাঁর ছেলে তারেক রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে নানা চড়াই-উত্রাই পেরিয়ে আজ দেশের বৃহত্ রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃত। রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে জিয়াউর রহমান দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র, বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন। দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে আমৃত্যু চেষ্টা চালিয়েছেন। জাতির মধ্যে একটি নতুন উদ্দীপনার সৃষ্টি করে তাদের জাগিয়ে তুলতে তিনি সফল হয়েছিলেন। স্বল্পকালীন শাসনকার্য পরিচালনায় তিনি যে গভীর দেশপ্রেম, সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছিলেন তা আজও কেউ অতিক্রম করতে পারেনি। এমনকি তাঁর রাজনৈতিক বিরোধীরাও মৃত্যুর পর তাঁর সততা নিয়ে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারেনি। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এ কারণেই এ দেশের জনগণের অন্তরে স্থায়ী আসন করে নিয়েছেন। রবিউল ইসলাম রবির পরিচালনায় আলোচনা শেষে লন্ডনে চিকিৎসাধিন বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্বাস্থ কামনায় দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা আব্দুল গফ্ফার।
সভায় উপস্থিত ছিলেন শেখ মোশাররফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, ইকবাল হোসেন খোকন, আনোয়ার হোসেন, নিজাম উর রহমান লালু, সাদিকুর রহমান সবুজ, ইউসুফ হারুন মজনু, কাজী শফিকুল ইসলাম শফি, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, মজিবর রহমান ফয়েজ, শামসুজ্জামান চঞ্চল, এইচ এম আবু সালেক, শেখ জামিরুল ইসলাম জামিল, ইশহাক তালুকদার, তরিকুল্লাহ খান, ওমর ফারুক, গোলাম মোস্তফা, হুমায়ুন কবির বাবুল, আকরাম হোসেন খোকন, শামসুর রহমান, কাজী মাহবুবুল হক, মেজবাহ উদ্দিন মিজু, মহিউদ্দিন টারজান, জাহিদ কামাল টিটো, বাচ্চু মীর, মেহেদী হাসান সোহাগ, মিজানুর রহমান খোকন, আল বেলাল, রফিকুল ইসলাম শুকুর, আলমগীর ব্যাপারী, মোহাম্মদ আলী, সাইমুন ইসলাম রাজ্জাক, মনিরুজ্জামান মনির, জাকারিয়া লিটন, হুমায়ুন কবির, আব্দুল হাকিম, লিটু পাটোয়ারী, আকবর হোসেন, শামীম খান, মাসুদ রেজা, সৈয়দ গাজী, ইকবাল হোসেন, মিজানুজ্জামান তাজ, মোস্তফা জামান মিন্টু, নুরুল ইসলাম লিটন, মোল্লা আলী আহমেদ, আব্দুল জলিল হাওলাদার, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সুলতান মাহমুদ সুমন, সেলিম বড় মিয়া, ওহেদুজ্জামান, সাখাওয়াত হোসেন, হাবিব খান, মাহমুদ হাসান মুন্না, আলম হাওলাদার, এ আর রহমান, আব্দুর রব মুন্সি, পারভেজ মোড়ল, আসাদুজ্জামান সানা, হাসমত শেখ, শামসুল আলম বাদল, টিপু হাওলাদার, মোল্লা মেহেদী, আব্দুল খালেক গাজী, পিএম শহিদ, আবু দাউদ, আবু মাস্টার, ফিরোজ আহমেদ, কামাল হোসেন, আনোয়ার সরদার, শামীম রেজা, ওহাব শরীফ, খন্দকার সোহেল, সাজ্জাদ আলী, মারুফুর রহমান, আবিদ হোসেন, সজল আকন নাসির, খান মোহাম্মদ ফয়সাল, আবুল কালাম, কামরুজ্জামান সিরাজ, সাইফুল ইসলাম, এসএম হোসেন সজল, কামরুল আলম খোকন, নাজমুল হুদা পলাশ, তানভিরুল হুদা লিটন, ইউনুচ আলী, হারুন হোসেন, জামাল উদ্দিন, শাহনেওয়াজ, ইউনুচ শেখ, জাফর হাওলাদার, জামাল হোসেন, ডা. রবিউল ইসলাম, জীবন মীর, আমির, এসএম মাহমুদ, টুটুল শেখ, মাসুম শেখ, মোহর আলী প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/ টিএ
The post নেতৃত্বহীন জাতির দিশারি হয়ে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন: মনিরুজ্জামান মনি appeared first on খুলনা গেজেট | সবার আগে সঠিক খবর.