ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
ঝালকাঠি জেলা কারাগারে কারারক্ষীদের বিরুদ্ধে মো. জুবায়ের হোসেন (৩৫) নামের নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের এক নেতাকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার মো. জুবায়ের হোসেনকে ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে বিষয়টি বিচারকের দৃষ্টিতে আনেন তার আইনজীবী। এ সময় ওই বন্দির হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা ছিল।
এ ঘটনায় বিচারক মো. মনিরুজ্জামান আগামী ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে বিষয়টি তদন্ত করে জেল কোড বিধি অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামির আইনজীবী বনি আমিন বাকলাই।
ঝালকাঠি শহর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. জুবায়ের হোসেন শহরের পূর্ব চাঁদকাটি এলাকার মৃত মাওলানা আবদুল কাদেরের ছেলে। তিনি জেলা বিএনপি অফিস পোড়ানোর মামলায় প্রায় দু’মাস ধরে কারাবন্দি রয়েছেন।
জুবায়ের আদালত প্রাঙ্গণে বলেন, ‘কারারক্ষীরা বিভিন্ন অজুহাতে আমার কাছে টাকা চেয়ে আসছিলেন। টাকা না দেওয়ায় গত ১৭ জানুয়ারি কারাগারের সুবেদার সোহাগ হোসেন, প্রধান কারারক্ষী আলাউদ্দিন মিয়া, কারারক্ষী ইদ্রিস মিয়া, গিয়াস উদ্দিন, শামীম হোসেন, নুরুল হক ও মুসা মিয়া আমাকে তিন দফায় বেধড়ক পিটিয়ে ডান হাত ভেঙে দেন।’
জুবায়েরের ভাই হুমায়ুন কবির বলেন, ‘উপর্যুপরি মারধরের পরও আমার ভাইকে প্রথমে কোনো চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। পরে সে যখন ব্যথায় কাতরাচ্ছিল তখন কারা কর্তৃপক্ষ তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করায়। তবু কারা হাসপাতালে নেয়নি।’
জুবায়েরের আইনজীবী বনি আমিন বাকলাই বলেন, ‘বিষয়টি বিচারকের নজরে আনলে তিনি জেল সুপারকে তদন্তপূর্বক আদালতে প্রতিবেদন জমার আদেশ দেন।’
জেল সুপার আবদুল্লাহ ইবনে তোফাজ্জল হোসেন খান বলেন, ‘কোনো কারারক্ষী জুবায়েরকে মারধর করেনি। জুবায়ের ওয়ার্ডে খাবার নিয়ে অন্য কয়েদিদের সঙ্গে তর্কে জড়ালে ওরা নিজেরাই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে সে আহত হয়। সেই সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আমাদের এক কারারক্ষী আহত হয়। তাকে বুধবার রাতে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।’
The post ঝালকাঠিতে জেলা কারাগারে বন্দি ছাত্রলীগ নেতাকে পি*টি*য়ে হাত ভা*ঙলে*ন কারারক্ষীরা! appeared first on Amader Barisal – First online Newspaper of Greater Barisal – Stay with Barisal 24×7.