ময়মনসিংহের শিক্ষা প্রোকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে “ময়মনসিংহে একই কর্মস্থলে প্রায় ৯ বছর বহাল তবিয়তে শিক্ষা প্রকৌশলী, হয়েছেন কোটিপতি” শিরোনামে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদের
তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী ইউসুফ আলী। প্রতিবাদ লিপিতে তিনি তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবী জানিয়ে বলেন কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তার সামাজিক মর্যাদা নষ্ট করার লক্ষ্যে এসব বানোয়াট তথ্য প্রচার করতে সাংবাদিকদের উৎসাহিত করেছে বলেও জানান নির্বাহী প্রকৌশলী ইউসুফ আলী।
তিনি জানান- দীর্ঘদিন ধরে ময়মনসিংহ জেলায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। ছাত্র জীবনে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (BUET) এর একটি ছাত্র সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় পদ শুন্য থাকার পরও নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবে গত ২০১৫ সালের ১৬ জুন চলতি দায়িত্ব প্রদান করার ৪৫ দিন পর ৩রা আগষ্ট ২০১৫ ময়মনসিংহ জোনে পদায়ন করা হয়। ইতিপূর্বে দীর্ঘদিন ময়মনসিংহ জেলায় ইইডির কর্ম পরিবেশ এতটাই নাজুক ছিলো যে এখানে কোন নির্বাহী প্রকৌশলী সম্মানের সাথে দায়িত্ব পালন করতে পারেনি। অধিকাংশ নির্বাহী প্রকৌশলীকে ঠিকাদারদের দ্বারা অপমান অপদস্ত হতে হয়েছিলো। তাই তাকে পানিস্টম্যান পোস্টিং হিসাবে ময়মনসিংহ জোনে পদায়ন করা হয়।গত ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবে পদোন্নতি পান তিনি। ময়মনসিংহ জোনেই তাকে পদায়ন করা হয়। যোগদানের পর থেকে তিনি তার দায়িত্ব কে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়ে সম্মানের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। তার তিন ছেলে ঢাকার সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে লেখাপড়া করে এবং স্ত্রী সমাজ সেবা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক হিসাবে কর্মরত থাকায় গত ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে তিনি ঢাকায় বদলী হওয়ার জন্য তৎকালীন প্রধান প্রকৌশলী বুলবুল আক্তার এর মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হলে একটি সিন্ডিকেট তাকে ছাত্র জীবনে ছাত্র সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে বদলী ঠেকানোর জন্য শিক্ষা মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ দেয়ায় বদলী হয়নি।
তিনি দাবি করেন, চাকরী জীবনে বিভিন্ন জেলায় সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেন।তিনি পদন্নোতি পেয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ময়মনসিংহের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবে গত ২০১৫ সালের ৩রা আগষ্ট এ জেলায় যোগদান করার পর সরকারি নীতিমালা অনুসারে ময়মনসিংহ থেকে সরকারের মন্ত্রণালয় তাকে বদলী করেনি,বদলীর জন্য তিনি আবেদন করলেও তাকে বদলী না করায় বিগত প্রায় নয় বছর একই কর্মস্থলে কর্মরত আছেন। তবে দীর্ঘদিন একই কর্মস্থলে থাকলেও সরকারি নীতি মালার বাইরে কোন কার্যক্রম করেননি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভবন নির্মাণে ঠিকাদারদের উপর প্রভাব খাটিয়ে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার বিষয়ে তিনি অস্বীকার করে বলেন- কোন ঠিকাদার আমার কাছে কোন রকম অনৈতিক সুবিধা দিয়ে তাদের কাজ করেছেন এমন মিথ্যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট তথ্যের নিন্দাও জানান তিনি।
তিনি আরও জানান- আমি ময়মনসিংহে যোগদানের পর জেলার প্রতিটি সংসদীয় আসনে কমপক্ষে ৩০টি করে তিন তলা এবং চার তলা ভবন হয়েছে। সে সব ভবন গুলোর কাজের মানও সর্বোচ্চ নিশ্চিত করা হয়েছে। কোন ঠিকাদারই কাজে অনিয়ম করতে পারেনি। তাই হয়তো কোন ঠিকাদার আমার বিরুদ্ধে এসব বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশে সহযোগিতা করতে পারে বলেও ধারণা করেন। তিনি প্রকাশিত সংবাদটির তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং সংশ্লিষ্ট সংবাদ মাধ্যম গুলোকে ভবিষ্যতে এমন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করার পাশাপাশি” তিনি জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, “সত্যের প্রতি আস্থাশীল থাকুন এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত এসব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ারও আহবান জানান।
The post প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ appeared first on দৈনিক ময়মনসিংহের খবর.