অস্ট্রেলিয়ার ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট বিগ ব্যাশে ডাক পেয়েও এনওসির জটিলতায় খেলতে যেতে পারেননি বাংলাদেশের লেগ স্পিন অলরাউন্ডার রিশাদ হোসেন। তাকে দলে টেনেছিল হোবার্ট হারিকেন্স। সেই দলটিই এবার অস্ট্রেলিয়ান ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটিতে নিজেদের প্রথম শিরোপার দেখা পেল।
বিগ ব্যাশের ফাইনালে জেসন সাঙ্ঘা ও ডেভিড ওয়ার্নারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটে ১৮২ রানের পুঁজি পেয়েছিল সিডনি থান্ডার্স। জবাবে মিচেল ওয়েনের ৩৯ বলে বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে ৩৫ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে হোবার্ট হ্যারিকেন্স।
এর আগে ২০১৩-১৪ এবং ২০১৭-১৮ মৌসুমে দুই বার ফাইনালে উঠলেও শিরোপা জেতা হয়নি হোবার্টের। এবার তৃতীয় দফায় ঘরের মাঠেই আক্ষেপ ঘুছল ফ্র্যাঞ্চাইজিটির।
আজ (সোমবার) ঘরের মাঠ হোবার্টে টস জিতে সিডনিকে শুরুতে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় হারিকেন্স। দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও জেসন সাঙ্ঘার ব্যাটে শুরুটা হয় দুর্দান্ত। ওয়ার্নারের বিদায়ে ভাঙে ৯৭ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে। ৩২ বলে পাঁচটি চার ও এক ছক্কায় ৪৮ রান করেন থান্ডার্সের অধিনায়ক ওয়ার্নার।
৪২ বলে ৬৭ রান করেন জেসন সাঙ্ঘা। এ ছাড়া আর কেউই সেভাবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। শেষদিকে ৯ বলে ১৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন ক্রিস গ্রিন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেটে ১৮২ রানের সংগ্রহ পায় সিডনি থান্ডার্স।
রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট চালায় হোবার্ট হারিকেন্সের ব্যাটাররা। সিডনির বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালান মাইকেল ওয়েন। মাত্র ১৬ বলে ফিফটি হাঁকান তিনি। এরপর ইনিংসের ১০ম ওভারে মাত্র ৩৯ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। এরপর ছন্দপতন হলেও হোবার্টের জয় পেতে সমস্যা হয়নি।
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দারুণ পারফরম্যান্সের সুবাদে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পেয়েছিলেন বাংলাদেশের লেগস্পিন অলরাউন্ডার রিশাদ হোসেন। এরপর বেশ কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টেও তিনি দল পান। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এনওসি (অনাপত্তিপত্র) না পাওয়ায় রিশাদের খেলা হয়নি।
প্রথমবার ডাক পাওয়ার পর বিগ ব্যাশে খেলতে না গেলেও, ঠিকই ইএসপিএন ক্রিকইনফোতে দেখানো হোবার্টের স্কোয়াডে ছিলেন রিশাদ। এ ছাড়া পিএসএলের আসন্ন মৌসুমেও প্রথমবার ডাক পেয়েছেন রিশাদ। সিলভার ক্যাটাগরি থেকে তাকে নিয়েছে লাহোর কালান্দার্স।
The post রিশাদের দল বিগ ব্যাশ চ্যাম্পিয়ন appeared first on Bangladesher Khela.