স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে এবছর জনপ্রতি সর্বনিম্ন ফিতরা ৮৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

 বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহীর জামিয়া ইসলামিয়া শাহ মখদুম মাদরাসায় ফিতরা নির্ধারণের লক্ষ্যে আলেমদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।  বৈঠকে রাজশাহীর বিভিন্ন বাজার থেকে সংগৃহীত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম পর্যালোচনা করে সর্বসম্মতিক্রমে এই ফিতরা নির্ধারণ করা হয়।

সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গম বা আটার গড়মূল্য প্রতি কেজি ৫০ টাকা ধরে ১.৬৫০ কেজির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৫ টাকা। যবের গড়মূল্য প্রতি কেজি ৮০ টাকা ধরে ৩.৩০০ কেজির মূল্য নির্ধারণ হয়েছে ২৬৫ টাকা।

এছাড়া বাজারের মধ্যমানের খেজুরের গড়মূল্য প্রতি কেজি ৬০০ টাকা ধরে ৩.৩০০ কেজির মূল্য ধরা হয়েছে ২ হাজার টাকা। মধ্যমানের কিশমিশের গড়মূল্য প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা ধরে ৩.৩০০ কেজির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ১৫০ টাকা। পনিরের গড়মূল্য প্রতি কেজি ৭০০ টাকা ধরে ৩.৩০০ কেজির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৩১০ টাকা।

বৈঠকের সঞ্চালক ড. মাওলানা ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, ফিতরার নির্ধারিত পণ্যমূল্যের সাথে ১-২ টাকা যোগ করে আদায়যোগ্য টাকার অংককে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত উলামায়ে কেরামগণ সর্বনিম্ন ফিতরাকেই আদর্শ না ধরে সামর্থ্য অনুযায়ী বেশি পরিমাণ ফিতরা আদায়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জামিয়া ইসলামিয়া শাহ মখদুম মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম মাওলানা আব্দুল খালেক। আরও উপস্থিত ছিলেন জামিয়া রহমানিয়া মাদরাসার নায়েবে মুহতামিম ড. মাওলানা ইমতিয়াজ আহমেদ, জামিয়া ইসলামিয়া মিয়া মোহাম্মদ কাসেমী মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা মো. নেক আহমাদ, জামিয়া দারুল উসওয়াহ রাজশাহীর মুহাদ্দিস মুফতি মোস্তাফিজুর রহমান কাসেমী, দারুস সালাম কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস মুফতি যাকারিয়া হাবিবী এবং সাহেববাজার বড় মসজিদের পেশ ইমাম ও খতীব মাওলানা আব্দুল গণী।

সভায় রাজশাহীর দারুল উলুম মালোপাড়া মাদরাসা, জামেয়া ওসমানিয়া মাদরাসা, হামাউস সুন্নাহ মুশরইল মাদরাসা, জামেয়া সদ্দিকিয়া চণ্ডীপুর মাদরাসা, দারুল আরকাম রায়পাড়া মাদরাসার প্রতিনিধিবৃন্দ ও শহরের বিভিন্ন মসজিদের ইমাম-খতীবরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

The post রাজশাহীতে সর্বনিম্ন ফিতরা ৮৫ টাকা, সর্বোচ্চ ২৩১০ appeared first on সোনালী সংবাদ.