
মা ফুড কারখানার স্বত্বাধিকারী ৭ জন কর্মচারী দিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করে আসছেন মা লাচ্ছা সেমাই ও বুন্দিয়া। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে এর সত্যতা পান। কারখানা মালিক উপস্থিত না থাকায় ২ জন কর্মচারীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে কারখানা মালিক উপজেলা কার্যালয়ে উপস্থিত হলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৭ দিন জেলের আদেশ দেন নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুজহাত তাসনীম আওন। এসময় কারাখানা মালিক জুয়েল ১০ হাজার টাকা নগদ অর্থ জরিমানা প্রদান করে। জুয়েল পৌরশহরের মির্জাপুর এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুজহাত তাসনীম আওন বলেন, সামনে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাজারে বিপুল পরিমাণ সেমাই সরবরাহ করা হচ্ছে যার বেশিরভাগই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে যেসমস্ত কারখানাগুলো এগুলো তৈরি করছে তাদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান চলমান।
একই সাথে আজ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকেও উপজেলায় অভিযান চালানো হয়। জেলার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বোরহান উদ্দিন এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার ২ টি সেমাই তৈরির কারখানাসহ ৪টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ২১হাজার টাকা জরিমানা করেন। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে বিরামপুর পৌরশহরের বিসমিল্লাহ ফল ভান্ডারকে মূল্য তালিকা না থাকায় ১ হাজার টাকা, নিরিবিলি হোটেলকে খাদ্যপণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্য মিশ্রণের দায়ে ৫ হাজার টাকা, মিথ্যা বিজ্ঞাপন দ্বারা ক্রেতা সাধারণকে প্রতারিত করার দায়ে সৌখিন লাচ্ছা সেমাই প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা, অবৈধ প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদন বা প্রক্রিয়াকরণের দায়ে লুৎফর সেমাই প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।