গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই আত্মগোপনে আছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এরপর বোর্ড পরিচালকদের ভার্চুয়াল মিটিংয়ে অংশ নিয়ে তিনি বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব ছাড়েন। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে ক্রিকেট বোর্ডে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। যার অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১২ সাল থেকে বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন পাপন। এক যুগেরও বেশি সময়ে প্রতিষ্ঠানটিতে তার একক কতৃত্ব চলত বলে অনেকেই দাবি করেন। গত বছর জানুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীত্বও পান তিনি। তবে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গত ২১ আগস্ট বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব ছাড়েন তিনি।

গত রোববার (১৬ মার্চ) দুর্নীতির অভিযোগে কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের এই সাবেক সংসদ সদস্য ও বিসিবির সাবেক সভাপতি এবং তার স্ত্রী রোকসানা হাসানসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের ২৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দিয়েছিলেন।

এবার ক্রিকেট বোর্ডেও পাপনের দুর্নীতির অনুসন্ধানে নেমেছে প্রতিষ্ঠানটি। এর আগে দুদকের উপ-পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান পাপন ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ চেয়ে আবেদন করেন। এসব ব্যাংক হিসাবে মোট ৩৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা জমা রয়েছে বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদন সূত্রে জানা গেছে।

The post বিসিবির অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পাপনের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান appeared first on Bangladesher Khela.