8:40 pm, Thursday, 20 March 2025
Aniversary Banner Desktop

সীমান্ত এলাকার দুই শিক্ষার্থীকে উপজেলা প্রশাসনের ঈদ উপহার

ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সুযোগ পাওয়ায় দুই শিক্ষার্থীকে ঈদ উপহার দিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন। 
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে তিনটায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ফারহানা আক্তার ও সাদিয়া তামান্নার হাতে ঈদ উপহার তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন। 
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাদিয়া তামান্না,ফারহানা আক্তার ও তাঁর বাবাসহ অধ্যায়নকৃত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পাওয়া ফারহানা আক্তার ও সাদিয়া তামান্না তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। তাঁরা আরো পড়াশোনা করে দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে চান। ফারহানা আক্তার বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়ে সমাজের অবহেলিত মানুষকে আলোকিত করতে চান। সাদিয়া তামান্না বিসিএস ক্যাডার হয়ে দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে চান।

তাহারা দুজনেই উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের দাউদপুর দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা থেকে ২০২২ সালের দাখিল পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে মুকুন্দপুর ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ২০২৪ সালের আলিম পরীক্ষায় মানবিক বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।

বিরামপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম দক্ষিণ দাউদপুর হতে প্রতিদিন সাত কিলোমিটার দূরের মাদ্রাসায় যেতে হতো তাঁদের। আলিমের গণ্ডি পেরোতে ভালো ফল করে এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন তাঁরা দুজন। সীমান্তবর্তী গ্রাম থেকে তাঁরাই প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়ে গ্রামবাসীর মুখ উজ্জ্বল করেছেন।

দাউদপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার শাহাদাৎ হোসেন বলেন,ঝড় বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে তাঁরা প্রতিনিয়ত মাদ্রাসায় আসতো আজকে তাঁদের কষ্টের ফল নিজ চোখে দেখতেছি। তাঁরা বিশ্বিবদ্যালয়ের খ ইউনিট তথা কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে ভর্তির জন্য উত্তীর্ণ হয়েছেন। ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে ফারহানা আক্তারের মেধাক্রম ৬৭৩ আর সাদিয়া তামান্নার মেধাক্রম ৭২১।

ফারহানা আক্তার উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের দক্ষিণ দাউদপুর গ্রামের দবিরুল ইসলামের মেয়ে। তাঁর বাবা পেশায় একজন মৎসচাষি। সাদিয়া তামান্না একই গ্রামের আতাউর রহমানের মেয়ে। তাঁর বাবা গ্রামের মাদ্রাসার একজন সহকারী মৌলভি।

দুই শিক্ষার্থী জানান, আজকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন এর কাছ থেকে অধ্যায়নকৃত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ঈদ উপহার পেয়ে খুব আনন্দিত।

বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন বলেন, ফারহানা ও তামান্না শুধু সীমান্তবর্তী বিরামপুর উপজেলার নয়, সারা দেশের মেয়েদের জন্য গর্ব এবং প্রত্যান্ত পাড়া গাঁয়ের অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা। তাঁদেরকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন ঈদ উপহারসহ তার ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। এর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এবং দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

Tag :
জনপ্রিয়

ndax login

https://ndaxlogi.com

latitude login

https://latitude-login.com

phantom wallet

https://phantomwallet-us.com

phantom

atomic wallet

atomic

https://atomikwallet.org

jupiter swap

jupiter

https://jupiter-swap.com

https://images.google.com/url?q=https%3A%2F%2Fsecuxwallet.us%2F

secux wallet

secux wallet

secux wallet connect

secux

https://secuxwallet.com

jaxx wallet

https://jaxxwallet.live

jaxxliberty.us

gem visa login

jaxx wallet

jaxx wallet download

https://jaxxwallet.us

toobit-exchange.com Toobit Exchange | The Toobit™ (Official Site)

secuxwallet.com SecuX Wallet - Secure Crypto Hardware Wallet

jaxxliberty.us Jaxx Liberty Wallet | Official Site

Atomic Wallet Download

Atomic

Aerodrome Finance

সীমান্ত এলাকার দুই শিক্ষার্থীকে উপজেলা প্রশাসনের ঈদ উপহার

Update Time : 11:06:00 pm, Tuesday, 18 March 2025
ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সুযোগ পাওয়ায় দুই শিক্ষার্থীকে ঈদ উপহার দিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন। 
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে তিনটায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ফারহানা আক্তার ও সাদিয়া তামান্নার হাতে ঈদ উপহার তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন। 
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাদিয়া তামান্না,ফারহানা আক্তার ও তাঁর বাবাসহ অধ্যায়নকৃত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পাওয়া ফারহানা আক্তার ও সাদিয়া তামান্না তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। তাঁরা আরো পড়াশোনা করে দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে চান। ফারহানা আক্তার বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়ে সমাজের অবহেলিত মানুষকে আলোকিত করতে চান। সাদিয়া তামান্না বিসিএস ক্যাডার হয়ে দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে চান।

তাহারা দুজনেই উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের দাউদপুর দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা থেকে ২০২২ সালের দাখিল পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে মুকুন্দপুর ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ২০২৪ সালের আলিম পরীক্ষায় মানবিক বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।

বিরামপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম দক্ষিণ দাউদপুর হতে প্রতিদিন সাত কিলোমিটার দূরের মাদ্রাসায় যেতে হতো তাঁদের। আলিমের গণ্ডি পেরোতে ভালো ফল করে এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন তাঁরা দুজন। সীমান্তবর্তী গ্রাম থেকে তাঁরাই প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়ে গ্রামবাসীর মুখ উজ্জ্বল করেছেন।

দাউদপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার শাহাদাৎ হোসেন বলেন,ঝড় বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে তাঁরা প্রতিনিয়ত মাদ্রাসায় আসতো আজকে তাঁদের কষ্টের ফল নিজ চোখে দেখতেছি। তাঁরা বিশ্বিবদ্যালয়ের খ ইউনিট তথা কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে ভর্তির জন্য উত্তীর্ণ হয়েছেন। ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে ফারহানা আক্তারের মেধাক্রম ৬৭৩ আর সাদিয়া তামান্নার মেধাক্রম ৭২১।

ফারহানা আক্তার উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের দক্ষিণ দাউদপুর গ্রামের দবিরুল ইসলামের মেয়ে। তাঁর বাবা পেশায় একজন মৎসচাষি। সাদিয়া তামান্না একই গ্রামের আতাউর রহমানের মেয়ে। তাঁর বাবা গ্রামের মাদ্রাসার একজন সহকারী মৌলভি।

দুই শিক্ষার্থী জানান, আজকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন এর কাছ থেকে অধ্যায়নকৃত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ঈদ উপহার পেয়ে খুব আনন্দিত।

বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন বলেন, ফারহানা ও তামান্না শুধু সীমান্তবর্তী বিরামপুর উপজেলার নয়, সারা দেশের মেয়েদের জন্য গর্ব এবং প্রত্যান্ত পাড়া গাঁয়ের অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা। তাঁদেরকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন ঈদ উপহারসহ তার ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। এর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এবং দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।