
চট্টগ্রাম খাগড়াছড়িতে দিঘিনালাতে সাংবাদিক আলমগীর হোসেন নামের এক সাংবাদিক ইটভাটার মালিক সেজে ০৪ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর অভিযোগে সারা দেশে জুড়ে ছি : ছি : পরে গেছে। এ-বিষয়ে সংবাদ সমাজ দিঘিনালার উপজেলা প্রতিনিধি মোহনা টিভির প্রতিনিধি মোঃ আলমগীর হোসেন, খাগড়াবাড়ি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম প্রফুল্ল ও সাংগঠনিক সম্পাদক দিদার মিলে ০৩ জন ফোর বিএম ইটভাটা থেকে হাইকোর্টের নির্দেশে বন্ধ করে দেওয়া ঐ ইটভাটা থেকে মাসিক চাঁদা নিতেন। শুধু যে ফোর বিএম ব্রিক ফিল্ড থেকেই নিতেন তা নহে খাগড়াছড়ি সকল ইটভাটা থেকেই তারা মাসিক চাঁদা নিয়ে থাকেন তাই আইনি জটিলতা সাংবাদিক সব কিছু জামেলা কাঁধে নেন। সেই জামেলা সামাল দিতে গিয়ে ৭ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে ০৪ সাংবাদিকদের পাঠালেন জেল হাজতে।
গত ৫ জানুয়ারি ২০২৫ইং তারিখে পারবর্ত চট্টগ্রাম এর ৪ জেলায় সকল ব্রিক-ফিল্ড বন্ধের ঘোষণা করলে ফেব্রুয়ারিতে মাসেই খাগড়াছড়ি প্রশাসন অভিযান দিয়ে সব ইটভাটা স্থায়ীভাবে বন্ধ করে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেন। বন্ধ হওয়ার খাগড়াছড়ি এলাকার সব ইটভাটার সাথে গোপনে চালানোর জন্য মাসিক একটা টেন্ডার নেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রফুল্ল ও সাংগঠনিক সম্পাদক দিদার। সকল প্রশাসন আইনি জটিলতা ও মিডিয়াকে দেখবেন বলে মাসিক চাঁদাবাজির টেন্ডার নিয়েছেব তারা। দিঘিনালা উপজেলায় ফোর বিএম ব্রিক-ফিল্ডে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রফুল্ল ও সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারের সাথে টেন্ডারটি ডিল করেন দিঘিনালা উপজেলার মোহনা টিভির প্রতিনিধি মোঃ আলমগীর হোসেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বন্ধ করে দেওয়া সেই ফোর বিএম ব্রিক-ফিল্ড এর সকল জোট জামেলা দেখবেন এতে যত ইট বিক্রি হবে প্রতি ইটে এক টাকা করে কন্ট্রাক্ট কমিশন দিতে হবে সাংবাদিকদেরকে বলে ঐ প্রতিষ্ঠানের এক কর্মচারী জানান।
দৈনিক গণতন্ত্র পত্রিকা থেকে পরবর্ত চট্টগ্রামে বন্ধ করে দেওয়া সকল ব্রিক-ফিল্ড গোপনে চালাচ্ছেন এমন অভিযোগ আসলে সংবাদ সংগ্রহ করতে তাদের প্রতিনিধি মেহেদী হাসান রিয়াদ ও তোফায়েল আহম্মেদ নামের এক প্রতিনিধি গিয়েছিলেন বলে জানা যায়। তখন
দিঘিনালায় ফোর বিএম ব্রিক-ফিল্ডে ঢাকা যাওয়া সেই সাংবাদিকেরা অনুসন্ধান করতে গেলে তাদেরকে সাংবাদিক আলমগীর হোসেন নিজেকে সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতা হিসেবে জাহির করেন তখন মেহেদী হাসান রিয়াদ তাকে বলেন আপনি তো রাজনৈতিক লোক আবার সাংবাদিক তাহলে দুইটির প্রভাব খাটিয়ে এই অপ-কর্মকান্ড করছেন। এক প্রকারে ভাগবিদণ্ডা সৃষ্টি হলে তাদেরকে দিঘিনালাতে কিছু না বলে প্রফুল্ল ও দিদারের সাতগে কথা বলেন আলমগীর হোসেন তখন ঐ সাংবাদিকদেরকে সদরে ঢুকার আগে ছাত্রদল ও যুবদলের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হামলা চালিয়ে প্রথমে আইডি কার্ড এসারমেন্ট সব কিছু ছিনিয়ে নিয়ে নাটকীয়তার জন্ম দিয়ে তারেক জিয়ার মিডিয়া সেল এর মেম্বার পরিচয় দিয়ে ব্রিক-ফিল্ড থেকে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা নিয়েছেন আরও ১ লক্ষ টাকা চাঁদা চাইছেন বলে সাংবাদিক আলমগীর বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন ৪ সাংবাদিক”কে আটক দেখিয়ে ও পলাতক ৩ সাংবাদিক দেখিয়ে।
উক্ত ব্রিক ফিল্ডের এর মালিক আসলে কে জানতে আমরা অনুসন্ধান করতে মাঠে নামলে দেখি যে ঐ ব্রিক ফিল্ডের মালি আসলেই আলমগীর হোসেন নয় মূল মালিক হলেন দিঘিনালার মোঃ শাহ আলম নামের এক ব্যক্তির নামে পরিবেশ অধিদপ্তর মামলা দিয়েছিলেন ২০২৪ সালের মার্চ মাসে। চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তর জানান এই ব্রিক-ফিল্ডের নামে কোন পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো লাইসেন্স নেই। এই ইটভাটার মালিক মোঃ আলমগীর হোসেন কিনা জানতে তাকে ফোন করলে সে জানান যে আমি শেয়ারদার মালিক না তবে সে শেয়ারদার এর সঠিক কোন কাগজপত্র কিংবা কোন প্রমাণ দেখাতে পারেনি।
প্রশ্ন উঠে যে সাংবাদিক কি অবৈধ ইটভাটার চালানোর ক্ষমতা রাখেন? যেই ইটভাটা হাইকোর্ট বন্ধ করেই দিয়েছেন সেই ইটভাটায় চাঁদাবাজির আর কোন কিছু থাকে কি বরন প্রফুল্ল ও দিদার তাদের চাঁদাবাজীকে হালাল করতে এই চার সাংবাদিককে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছেন। এই নিয়ে সারা দেশে ছিঃ ছিঃ পরে গেছে। সাংবাদিক নেতারা সবাই একি প্রশ্ন যে প্রেসক্লাবকে ব্যবহার করে এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ড কখনো মেনে নেওয়ার মতোন নহে এসারমেন্ট নিয়ে যাওয়া সাংবাদিকদেরকে এমনভাবে মিথ্যা ও ভুয়া মামলা দিয়ে কোন সাংবাদিক কোন প্রতিষ্ঠানের দালালি করে মামলা দিয়েছেন বাংলাদেশে এই প্রথম নজির। বন্ধ করে দেওয়া ইটভাটাকে বৈধতা দিতেই কি তাহলে এই বুলড্রেজার চালালেন ০৪ সাংবাদিকদের উপরে! তাদেরকে কেন জরুরিভাবে আইনের আওতাধীন আনা বলে প্রশ্ন সাংবাদিক মহলের।
(নিউজটি সহকর্মী জুয়েল খন্দকারের টাইম লাইন থেকে নেয়া)
The post খাগড়াছড়িতে ইটভাটার ভুয়া মালিক সেজে সাংবাদিকের মামলা : ৪ সাংবাদিকদের পাঠালেন জেলে appeared first on দৈনিক ময়মনসিংহের খবর.