
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে একটি মিছিল বের করা হয়।
পরে মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক দিয়ে তালাইমারী মোড়ে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক মাহায়ের ইসলাম। এসময় বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজীব, সালাউদ্দিন আম্মার ও নুরুল ইসলাম শহীদ প্রমুখ।
আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের প্রশ্ন তো আমরা ৫ আগস্টে নিশ্চিত করে ফেলেছি। আওয়ামী লীগকে আর বাংলার মাটিতে রাজনীতি করতে দেয়া হবে না। আওয়ামী লীগ যদি রাজনীতিতে ফিরে আসতে চায়, তাহলে দুই হাজার শহিদের জীবন ফিরিয়ে দিতে হবে।
ত্রিশ হাজার আহত ও পঙ্গুত্ব বরণকারী ভাই-বোনদের হাত-পা ফিরিয়ে দিতে হবে, দৃষ্টিশক্তি হারানো ভাই-বোনদের চোখ ফিরিয়ে দিতে হবে। আওয়ামী লীগ রাজনীতি করবে কি না, সেটি জনগণ সিদ্ধান্ত নেবেন। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে সেনাবাহিনীর ক্যান্টনমেন্ট হোক কিংবা আওয়ামী লীগের দোসর কোনো রাজনৈতিক দল হোক, তাদেরকে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেয়া হবে না।’
আওয়ামী লীগকে নাৎসি পার্টি হিসেবে নিষিদ্ধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বলে মন্তব্য করে মেহেদী সজীব বলেন, ‘আমি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, যেদিন আবু সাঈদের রক্তে রংপুরের জমিন লাল হয়েছে, সেদিনই আওয়ামী লীগ রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে। একটি রাজনৈতিক দল যখন রাজনীতি বাদ দিয়ে গণহত্যা, গুম, খুন ও ত্রাসের রাজনীতিতে মেতে উঠে, তখন সেটাকে নাৎসি পার্টি হিসেবে নিষিদ্ধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকতে পারে না।
আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে এই বাংলার মাটিতে শুধু জলপাই কালারের কেউ নয়, কোনো রাজনৈতিক দল আবির্ভাব হয়, আমরা ছাত্র-জনতা কোনোভাবেই এটি বরদাস্ত করব না। জুলাইয়ের দুই হাজার শহিদের রক্তের সঙ্গে আমরা বেঈমানী করতে পারি না। অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, আওয়ামী লীগ প্রশ্নে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে রাজি নয়, অবিলম্বে তাদের বিচার নিশ্চিত করুন।’
The post আ’লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে রাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ appeared first on সোনালী সংবাদ.