10:40 am, Tuesday, 25 March 2025
Aniversary Banner Desktop

কুরআন ও অন্যান্য আসমানী গ্রন্থ নাজিলের মাস রমজান

রমজান মাস পবিত্র কুরআন নাজিলের মাস। এই মাসের বিশেষত্ব ও ফজিলতের প্রধান কারণ হলো এই মাসেই মহা গ্রন্থ আল কুরআন নাজিল হয়। আল্লাহ তায়ালার ঘোষণা, রমজান মাসই হল সে মাস, যাতে নাজিল করা হয়েছে কুরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য স্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী (বাকারা: ১৮৫)। পবিত্র কুরআন নাজিলের কারণেই শবে কদরের রাতের গুরুত্ব যা হাজার মাস থেকেও উত্তম। মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (স.) কে ফেরেশতা জীব্র্াইল (আ:) রমজান মাসে সম্পূর্ণ কুরআন তেলওয়াত করে শুনাতেন এবং নিজেও আল্লাহর রসুলের কাছ থেকে তা শুনতেন। এই কারণে সুন্নত হিসেবে সারা বিশ্বের মুসলিমগণ সম্পূর্ণ তারাবীতে গোটা কুরআন খতম করে থাকেন।

পূর্বেকার সমস্ত আসমানী গ্রন্থ নাজিলের সাথে এই মাসের এক খাছ সম্পর্ক রয়েছে। ঐতিহাসিকগণ লিখেছেন, অন্যান্য বড় বড় আসমানী কিতাবও এই মাসেই নাজিল হয়। হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এর সহীফাসমূহ এই মাসের ১ অথবা ৩ তারিখে নাজিল হয়। হযরত দাউদ (আঃ) কে ১২ অথবা ১৮ রমজান যাবূর কিতাব দেওয়া হয়। হযরত মুসা (আঃ) কে ৬ রমজান তাওরাত কিতাব দেওয়া হয়। হযরত ঈসা (আঃ) কে ১২ অথবা ১৩ রমজান ইঞ্জীল কিতাব দেওয়া হয়। এতে বোঝা যায় যে, আল্লাহপাকের কিতাবের সাথে এই মাসের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। এই কারণেই এই মাসে বেশী বেশী কুরআন তেলওয়াত করা দরকার। হাদিসে এসেছে, তোমাদের মধ্যে সেই ব্যাক্তি সর্বোত্তম যে নিজে কুরআন শরীফ শিখে এবং অপরকে শিক্ষা দেয় (বুখারী, আবু দাউদ, তিরমিজী)। অন্য এক হাদিসে হুজুর (সাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যাক্তি কুরআনের একটি অক্ষর পড়বে সে এক নেকী লাভ করবে এক নেকী দশ নেকীর সমান হবে। আমি বলি না যে ’আলিফ-লাম-মীম’ একটি অক্ষর বরং আলিফ একটি অক্ষর, লাম একটি অক্ষর এবং মীম একটি অক্ষর (তিরমিজী)। এই ছওয়াব রমজান ছাড়া অন্যান্য মাসের জন্য প্রযোজ্য। রমজান মাসে এই ছওয়াব কমছে কম আরও ৭০ গুণ বৃদ্ধি করা হয়।

কুরআন হলো একটি জীবন্ত মো’জেজা। এটিই পৃথিবীর একমাত্র ধর্মগ্রন্থ যা এখনও অবিকল অবস্থাই আছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত থাকবে। এর তেলওয়াতের মাধ্যমে আমাদের জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে আল্লাহর নির্দেশনা সম্পর্কে জানা যায়। আমাদের প্রিয়নবী মুহাম্মদ (স.)-এর গোটা জীবনটাই ছিল কুরআনের কার্বন কপি। তাই আসুন, আমরা এই মহিমান্বিত মাসে বেশী বেশী কুরআন তেলওয়াত করি, তার অর্থ বুুঝার চেষ্টা করি।

লেখক: প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউসুফ আলী
অধ্যাপক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়

 

The post কুরআন ও অন্যান্য আসমানী গ্রন্থ নাজিলের মাস রমজান appeared first on খুলনা গেজেট | সবার আগে সঠিক খবর.

Tag :
জনপ্রিয়

ndax login

https://ndaxlogi.com

latitude login

https://latitude-login.com

phantom wallet

https://phantomwallet-us.com

phantom

atomic wallet

atomic

https://atomikwallet.org

jupiter swap

jupiter

https://jupiter-swap.com

https://images.google.com/url?q=https%3A%2F%2Fsecuxwallet.us%2F

secux wallet

secux wallet

secux wallet connect

secux

https://secuxwallet.com

jaxx wallet

https://jaxxwallet.live

jaxxliberty.us

gem visa login

jaxx wallet

jaxx wallet download

https://jaxxwallet.us

toobit-exchange.com Toobit Exchange | The Toobit™ (Official Site)

secuxwallet.com SecuX Wallet - Secure Crypto Hardware Wallet

jaxxliberty.us Jaxx Liberty Wallet | Official Site

Atomic Wallet Download

Atomic

Aerodrome Finance

কুরআন ও অন্যান্য আসমানী গ্রন্থ নাজিলের মাস রমজান

Update Time : 08:08:31 pm, Saturday, 22 March 2025

রমজান মাস পবিত্র কুরআন নাজিলের মাস। এই মাসের বিশেষত্ব ও ফজিলতের প্রধান কারণ হলো এই মাসেই মহা গ্রন্থ আল কুরআন নাজিল হয়। আল্লাহ তায়ালার ঘোষণা, রমজান মাসই হল সে মাস, যাতে নাজিল করা হয়েছে কুরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য স্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী (বাকারা: ১৮৫)। পবিত্র কুরআন নাজিলের কারণেই শবে কদরের রাতের গুরুত্ব যা হাজার মাস থেকেও উত্তম। মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (স.) কে ফেরেশতা জীব্র্াইল (আ:) রমজান মাসে সম্পূর্ণ কুরআন তেলওয়াত করে শুনাতেন এবং নিজেও আল্লাহর রসুলের কাছ থেকে তা শুনতেন। এই কারণে সুন্নত হিসেবে সারা বিশ্বের মুসলিমগণ সম্পূর্ণ তারাবীতে গোটা কুরআন খতম করে থাকেন।

পূর্বেকার সমস্ত আসমানী গ্রন্থ নাজিলের সাথে এই মাসের এক খাছ সম্পর্ক রয়েছে। ঐতিহাসিকগণ লিখেছেন, অন্যান্য বড় বড় আসমানী কিতাবও এই মাসেই নাজিল হয়। হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এর সহীফাসমূহ এই মাসের ১ অথবা ৩ তারিখে নাজিল হয়। হযরত দাউদ (আঃ) কে ১২ অথবা ১৮ রমজান যাবূর কিতাব দেওয়া হয়। হযরত মুসা (আঃ) কে ৬ রমজান তাওরাত কিতাব দেওয়া হয়। হযরত ঈসা (আঃ) কে ১২ অথবা ১৩ রমজান ইঞ্জীল কিতাব দেওয়া হয়। এতে বোঝা যায় যে, আল্লাহপাকের কিতাবের সাথে এই মাসের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। এই কারণেই এই মাসে বেশী বেশী কুরআন তেলওয়াত করা দরকার। হাদিসে এসেছে, তোমাদের মধ্যে সেই ব্যাক্তি সর্বোত্তম যে নিজে কুরআন শরীফ শিখে এবং অপরকে শিক্ষা দেয় (বুখারী, আবু দাউদ, তিরমিজী)। অন্য এক হাদিসে হুজুর (সাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যাক্তি কুরআনের একটি অক্ষর পড়বে সে এক নেকী লাভ করবে এক নেকী দশ নেকীর সমান হবে। আমি বলি না যে ’আলিফ-লাম-মীম’ একটি অক্ষর বরং আলিফ একটি অক্ষর, লাম একটি অক্ষর এবং মীম একটি অক্ষর (তিরমিজী)। এই ছওয়াব রমজান ছাড়া অন্যান্য মাসের জন্য প্রযোজ্য। রমজান মাসে এই ছওয়াব কমছে কম আরও ৭০ গুণ বৃদ্ধি করা হয়।

কুরআন হলো একটি জীবন্ত মো’জেজা। এটিই পৃথিবীর একমাত্র ধর্মগ্রন্থ যা এখনও অবিকল অবস্থাই আছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত থাকবে। এর তেলওয়াতের মাধ্যমে আমাদের জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে আল্লাহর নির্দেশনা সম্পর্কে জানা যায়। আমাদের প্রিয়নবী মুহাম্মদ (স.)-এর গোটা জীবনটাই ছিল কুরআনের কার্বন কপি। তাই আসুন, আমরা এই মহিমান্বিত মাসে বেশী বেশী কুরআন তেলওয়াত করি, তার অর্থ বুুঝার চেষ্টা করি।

লেখক: প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউসুফ আলী
অধ্যাপক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়

 

The post কুরআন ও অন্যান্য আসমানী গ্রন্থ নাজিলের মাস রমজান appeared first on খুলনা গেজেট | সবার আগে সঠিক খবর.