
কৃষকরা বলছেন, বোরো চাষে খরচ বাড়ছে। মৌসুম শেষে ধানের বাড়তি দাম না পেলে, তাদের উৎপাদন খরচ উঠবে না। সরকারি সংগ্রহ অভিযানে ধান-চালের দাম বাড়ানোর দাবিও জানিয়েছেন তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা কাউসার ফাতামা জানান, চলতি মৌসুমে পলাশবাড়ী বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ হাজার ৫ শত ৫৯ হেক্টর জমিতে। এখন পর্যন্ত রোপণ হয়েছে ১২ হাজার ৬৭৮ শত হেক্টরের । যা আগামী ২২ মার্চ পর্যন্ত রোপণ চলবে।
সরেজমিনে পলাশবাড়ী উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকেরা বোরো ধানের চারা রোপণ করছেন। আবার কেউ ক্ষেত থেকে আলু তুলে বোরো ধান রোপণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,গত বোরো মৌসুমে এক বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমিতে বোরো উৎপাদনে খরচ ছিল প্রায় ১২ হাজার ৫০০ টাকা। আর এ বছর তা দাঁড়াবে ১৮ হাজারেরও বেশি।
পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর এলাকার কৃষক বাবলু মিয়া বলেন, ডিজেল ও বিদ্যুতের দাম বাড়ায় এবার সেচ খরচ বেশি পড়ছে। এছাড়া বীজসহ প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে গেছে।
পৌর এলাকার কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘খায়া না খায়ে ধানের আবাদ করছি। এবার আবাদে খরচও বেশি হচ্ছে। ধান কাটার সময় দাম না পালে, চাষার মরণ ছাড়া কোনো উপায় নাই। চাষা মানুষের দিকে দেখার কেউ নাই।’
কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের নয়নপুর গ্রামের মতিয়ার রহমান বলেন, এ বছর প্রায় ছয় বিঘা জমিতে বোরো চাষাবাদ করেছি। গত বছরের তুলনায় এবছর বোরো ধান চাষাবাদে খরচ অনেক বেশি পড়েছে। গত বছর প্রতি ঘণ্টায় সেচের পানি নিতে খরচ পড়তো ১০০-১১০ টাকা। এবছর তা বেড়ে হয়েছে ঘণ্টাপ্রতি ১৫০-১৬০ টাকা। এছাড়া সার কিনতে হচ্ছে বাড়তি দামে, কীটনাশক ও বীজের দামও বেড়েছে।
হরিনাথপুর এলাকার কৃষক নূর আক্তার হোসেন বলেন, মজুরি বেশি, তাই পরিবারের মা-স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়েই পরিচর্যা করছি। তবুও খরচ বেশি।