শেষ মুহুর্তে ঈদের কেনাকাটা জমে উঠেছে তেরখাদা উপজেলা সদরের বিভিন্ন বিপনীবিতানগুলো। আর মাত্র পাঁচদিন পরেই হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দোকানে দোকানে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। রোজার দ্বিতীয় দশ দিনকে ঘিরে জমে উঠেছে ঈদবাজার।
জামা কাপড়ের পাশাপাশি এখন গহনা, জুতা স্যান্ডেল ও কসমেটিক্সের দোকানে বেশি ভীড় রয়েছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে মার্কেটগুলোতে বাড়ছে কেনাকাটার ব্যাস্ততা। উপজেলা সদরের কাটেঙ্গা বাজারসহ তেরখাদা সুপার মার্কেট ছাড়াও ফুটপাতেও বিভিন্ন দোকানে কেনাকাটার ধুম পরেছে।
কাটেঙ্গা বাজারের জুয়েল বস্ত্রলয়ের প্রোপাইটার জুয়েল মোল্লা জানান, সকাল থেকেই ক্রেতারা আসছে মার্কেটগুলোতে, বেচাবিক্রি অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক ভাল।
তেরখাদা সুপার মার্কেটের এক বিক্রেতা বলেন, গতবারের তুলনায় এবার পাকিস্থানী থ্রিপিসের চাহিদা বেশী, বেচাবিক্রিও ভাল।
উপজেলা সদরের বিভিন্ন বিপনীবিতান ঘুরে দেখা যায়, পাঞ্জাবী, পায়জামা, শাড়ি, থ্রিপিস, লেহাংগা, বাচ্চাদের জামা-কাপড়, পুরুষের প্যান্ট, শার্ট, টি শার্টসহ বিভিন্ন রকমের পোশাকের দোকানে ভীড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা।
কাটেঙ্গা বাজারে কেনাকাটা করতে আসা রিয়া আক্তার বলেন, গতবারের তুলনায় এবার থ্রীপিসের দাম তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি। তবুও কেনাকাটা করতে হচ্ছে। কি করবো সন্তানদের ঈদের আনন্দ যাতে ভালমত হয় সেজন্যই দাম বেশি হলেও কিনতে হচ্ছে কিছু করার নেই।
কেনাকাটা করতে আসা শাবানা নামের এক গৃহবধু বলেন, কাপড়-চোপরের দাম এবার আগের তুলনায় বেশি।বিশেষ করে পাকিস্থানী থ্রী-পিসের দাম বেশী, ভারতীয় থ্রি-পিস বাজারে কম থাকায় পাকিস্থানী থ্রি-পিসই বেশি পাওয়া যাচ্ছে, দামও অনেক বেশি।
কসমেটিকস দোকানদার উজ্জল শেখের বলেন, কসমেটিকস বিক্রির চাপ বেড়েছে, হয়তো একদুই দিনের মধ্যে কসমেটিক্সের দোকানে ক্রেতাদের ভীড় আরো বাড়বে।
বিক্রেতারা বলছেন, সময় যতই গড়াবে বেচাকেনা ভীড় ততই বাড়বে।
তেরখাদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মেহেদী হাসান বলেন, ঈদকে ঘিরে তেরখাদাসহ বিভিন্ন এলাকার মার্কেটের দোকানে কেনা-কাটার চাপ বেড়েছে। অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে পুলিশ বিভিন্ন স্থান নজরদারীর মধ্যে রেখেছে।
খুলনা গেজেট/এএজে
The post তেরখাদায় জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা appeared first on খুলনা গেজেট | সবার আগে সঠিক খবর.
ঠিকানা : গুলশান, ঢাকা, বাংলাদেশ || তথ্য, খবর ও বিজ্ঞাপন : +8809611719385 || ইমেইল : songbadpatra24@gmail.com
Visit : songbadpatra.com
All rights reserved © সংবাদপত্র-2024