
ক’দিন পর উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। সরকারী ভাষায় এতিমখানা, ভবঘুরে আশ্রয় কেন্দ্র ও কারাগারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। এবারের ঈদে খুলনা কারাগারে বন্দিদের মাথাপিছু তিন বেলার খাবারে সরকারী বরাদ্দ ১৫০ টাকা। কর্তৃপক্ষ দাবি করছে জনপ্রতি ৪৫০ টাকা। বড় কর্তারা এ দাবি উপেক্ষা করছেন।
অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্ণেল মোহাম্মাদ মোস্তফা কামাল ২৩ মার্চ এমন বরাদ্দের চিঠি খুলনা জেলা কারাগারে পাঠান। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, ঈদের দিনে তিন বেলায় মাথাপিছু খাবারের বরাদ্দ ১৫০ টাকা। মেন্যু হিসেবে থাকবে সকালে পায়েস অথবা সেমাই, মুড়ি, দুপুরে পোলাও, গরুর মাংস, ভিন্ন ধর্মালম্বীদের জন্য খাসির মাংস, সবার জন্য মুরগীর রোস্ট, সালাদ, মিষ্টি, পান-সুপারী, রাতে সাদা ভাত, আলুর দম ও রুই মাছ ভাজি।
কারা সুত্র বলেছেন, অন্যান্য দিনে সকালে রুটি, সবজি, হালুয়া, খিচুড়ি, দুপুরে সাদা ভাত, ডাল ও সবজি, রাতে একদিন মাংস, পরদিন মাছও ডাল দেওয়ার বিধান রয়েছে। এ সময় তিন বেলার জন্য বন্দি প্রতি বরাদ্দ ৮২ টাকা।
খুলনার জেল সুপার মোঃ নাসির উদ্দিন প্রধান জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ১ হাজার ১শ’ ৩৫জন বন্দি ছিলো। রমজানে তাদের স্বাভাবিক ইফতারী সরবরাহ করা হয়। ঈদের দিনের উন্নতমানের খাবারে জন প্রতি বরাদ্দ দেওয়ায় সকল মেন্যু সরবরাহ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। বুধবার স্বাধীনতা দিবসে জেলা কারাগারে উন্নত খাবারের জন্য ২২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ঈদের দিনে উন্নতমানের খাবারের জন্য জন প্রতি ৪৫০ টাকা দাবি করা হলেও কর্তৃপক্ষ তা কর্ণপাত করে না।
কারাগারের এক হাজতী বলেন, নিত্যদিনে খাবার মান অনুন্নত। ঘন্ট আর ডাল বন্দীদের নিত্য সঙ্গী। জীবন বাঁচাতে ক্যন্টিন থেকে মাছ-মাংস কিনতে হয়। উন্নতমানের খাবার নামমাত্র বলে তিনি উল্লেখ করেন।
খুলনা গেজেট/ টিএ
The post ঈদে খুলনা জেলা কারাগারে জন প্রতি খাবারে বরাদ্দ ১৫০ টাকা appeared first on খুলনা গেজেট | সবার আগে সঠিক খবর.