
নগর প্রতিনিধি:

সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও মোটরসাইকেলে আগুন দেয়াড় ঘটনার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাতে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ বাদী হয়ে মামালাটি দায়ের করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ জানান, সাংবাদিকরা কোন দলের নয়, তারা তাদের কাজ করবে এটাই স্বাভাবিক। সেই কাজে বাধা দেয়া, সাংবদিকদের মারধর করা এবং তাদের মোটরসাইকেলে আগুন দেয়া, ক্যামেরা-মোবাইল ভাংচুর করার মতো সন্ত্রাসী কার্যক্রম কেউ করে পার পেয়ে যাবে সেটাও ঠিক নয়। তাই আমরা আইনগতভাবে যেমন বিষয়টি দেখেছি, তেমনি সন্ত্রাসীর বিচারও বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দর কাছে দাবি করেছি।
তিনি বলেন, মামলায় ছাত্রদল নেতা সোহেল রাঢ়িসহ ১৩ জনকে নামধারি আসামী ও ১০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমনা জানান, সাংবাদিক খালিদ সাইফুল্লাহ রাতে একটি লিখিত এজাহার দিয়ে গেয়েছে, সেটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। তবে এ মামলায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি বলেও জানান তিনি।
এদিকে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও মোটরসাইকেলে আগুন দেয়ার ঘটনায় জড়িতদের দায় দল নিবে না বলে জানিয়েছেন বরিশালের বিএনপি নেতারা।
এদিকে আদালত প্রাঙ্গন ও তার সামনে দিনের বেলা মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ঘটিয়ে নাশকতা সৃষ্টির মতো ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে সাংবাদিক মহল। বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আনিসুর রহমান খান স্বপন বলেন, সাংবাদিকরা কর্মক্ষেত্রে গিয়ে প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মূখীন হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে আদালত প্রাঙ্গনে ও তার সামনে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও তাদের মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনা সত্যিই উদ্বেগজনক। দিনের বেলা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে বরিশালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবণতির বিষয়টি দেখিয়ে দিয়েছে ছাত্রদলের ওইসকল নেতারা। পাশাপাশি আদালতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। সেইসাথে পুলিশের সামনে এ ঘটনা ঘটিয়ে সন্ত্রাসের জানান দিল হামলাকারীরা। পুলিশ এর দায় এড়াতে পারে না। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি যে সকল পুলিশ সদস্যের সামনে এমন নাশকতামূলক কর্মকান্ড ঘটেছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
উল্লেখ্য, বৃহষ্পতিবার দুপুরে বরিশাল জেলা ও দায়েরা জজ আদালতে পেশাগত দায়িত্ব পালনে গেলে জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রাঢ়ীর নেতৃত্বে ১২/১৫ জন স্থানীয় দৈনিকের ফটো সাংবাদিক এন আমিন রাসেল ও মনিরুজ্জামানের ওপর হামলা চালানো হয়। তাদের মারধর করাসহ, ক্যামেরা, দুটি মোবাইল ভাংচুর করা এবং নগদ টাকা পয়সা লুটে নেয় হামলাকারীরা। পাশাপাশি আদালতের প্রধান ফটকেই সাংবাদিকদের একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনার পর আদালতের নিরাপত্তার পাশাপাশি সাংবাদিকদের নিরাপত্তা প্রশ্ন ওঠে।
The post সাংবাদিকদের ওপর হামলাঃ ছাত্রদল নেতাসহ ২৩জনকে আসামী করে মামলা appeared first on Amader Barisal – First online Newspaper of Greater Barisal – Stay with Barisal 24×7.