
রুবার স্বামী মুন্নার চরিত্রে অভিনয় করে মাতিয়ে দেন মোশাররফ করিম। মুন্না একই সঙ্গে স্বাধীনচেতা, শান্ত নির্জন প্রেমিক এবং ভীষণ রাগী একজন মানুষ। নিজের ভেতরে ভাঙতে ভাঙতেও সম্পর্ক শেষ করে দেওয়ার মুহূর্ত তৈরি হলেও আবার সময়ের অপেক্ষায় থাকে। কারণ সে জানে, সময় হলো জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষক। সময় একমাত্র জানে জীবনের সব ক্ষত ধুয়ে মুছে দিতে। আর পরিচালক পুরোনো প্রেম, নতুন প্রেম কাউকে ফেলে দিতে চান না। সবাইকে একসঙ্গে পাশাপাশি রেখে বন্ধুত্বকে শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা দেন। এভাবেই প্রতিটি একলা মানুষের সঙ্গে একলা মানুষের জীবন বিনিময় হয়। এক নারী রুবা বা তিশা যেন সেই জীবন বিনিময়ের একটা সাঁকো। যে নিজে ঝড়ের পাখি, অথচ তাঁকে আঁকড়ে ধরে অনেকে জীবনের ঝড় কাটিয়ে উঠতে পারে। সমুদ্রসৈকতে রুবার তিন বয়সের তিনটি সত্তা যেমন অর্থবহ হয়ে ওঠে, প্রতিটি একলা মানুষের প্রেম নিয়ে বেঁচে থাকাও বিশাল জলরাশির মতো উদার হয়।