ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে ৯ বছর বয়সী এক শিশুকে রাতভর ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ আহত ভিকটিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত ধর্ষকের বাড়িতে ভাংচুর করে আগুন দিয়ে দিয়েছে। ধর্ষককে পালিয়ে যেতে সহায়তা করায় মজিদ নামের এক সহযোগিকে উত্তেজিত জনতা মারধর করে। এ সময় মজিদের বাড়ি ও তার ভাই আতিকের দোকানে ভাংচুর করে।
পুলিশ আসামী পালিয়ে যেতে সহযোগিতার অভিযোগে মজিদকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নামা মহিষতারা গ্রামে। অভিযুক্ত ধর্ষকের নাম মো. দুলাল(৩০)। পুলিশ ও ভিকটিমের পরিবার জানায়, নামা মহিষতারা গ্রামের মন্নেছ আলীর পুত্র মো. দুলাল তার পাশের বাড়ির ৯ বছর বয়সী শিশু মেয়ে মহিষতারা আহাম্মদিয়া এতিমখানার মাদরাসার নূরানির ছাত্রীকে ঈদের দিন বিকালে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যাবার কথা বলে নিজের শিশু মেয়েকে দিয়ে ফুশ লিয়ে ডেকে নেয়। পরে নিজের মেয়েকে সহ ওই শিশুকে নিয়ে ঈদের দিন(সোমবার) বিকালে বটতলা গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে যায়। পরে নিজের মেয়েকে শ্বশুর বাড়িতে রেখে ওই শিশুকে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে রাতভর ধর্ষণ করে। পরে মঙ্গলবার সকালে ওই শিশুকে একটি ভ্যানে করে অসুস্থ অবস্থায় তার বাড়িতে পৌছে দেয়। দুলাল তাকে রাতভর ধর্ষণ করেছে বলে অসুস্থ শিশুটি তার পরিবারকে জানায়। এ সময় পরিবারের লোকজন দুলালকে আটক করতে গেলে স্থানীয় মজিদ দুলালকে পালাতে সাহায্য করে। পরে পুলিশ গিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। অভিযুক্ত দুলাল পালিয়ে যায়। এ সময় গ্রামের উত্তেজিত গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে ধর্ষকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে জনতা আসামীকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করার অভিযোগে আব্দুল মজিদকে আটক করতে মারধর করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা মজিদের দোকান ও বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। ভিকটিমের বড় বোন জানান, ‘দুলাল ঈদের দিন বিকালে তার নিজের মেয়েকে সহ ভিকটিম শিশুটিকে নিয়ে তার শ্বশুর বাড়ি বট তলায় যায়। পরে সারা রাত আমরা আমাদের বোনের কোন সন্ধান পাইনি। মঙ্গলবার সকালে দুলাল আমার বোনকে নিয়ে আসে। তখন আমরা দেখি আমাদের বোন খুবই অসুস্থ। পরে সে জানায় দুলাল তাকে ধর্ষণ করে। এসময় আমার ভাইয়েরা দুলালকে ধরতে গেলে আতিক আর মজিদ দুলালকে সরিয়ে দেয়। বিষয়টি দেখছি বলে মজিদ আমার ভাইদের উল্টো সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। পরে পুলিশকে খবর দিয়ে পুলিশ এসে মজিদকে ধরে নিয়ে যায়।’ মুক্তাগাছা থানার ওসি (তদন্ত) রিপন চন্দ্র গোপ জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পৌছে মূল অভিযুক্তকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করায় মজিদ নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। ভিকটিম শিশুটিকে চিকিৎসা ও মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মূল অভিযুক্ত দুলাল পালিয়েছে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।
The post ময়মনসিংহে মুক্তাগাছায় ৯ বছর বয়সী এক শিশুকে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগ appeared first on দৈনিক ময়মনসিংহের খবর.