8:37 am, Sunday, 6 April 2025
Aniversary Banner Desktop

বাংলাদেশের মতো অভ্যুত্থানের শঙ্কা ভারতেও

ভারতের কেন্দ্রীয় ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সরকার ও তাদের মূল সংগঠন কট্টর হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) মধ্যে সম্পর্ক গত ১১ বছরে কিছুটা শীতল হয়ে উঠেছিল। তবে লোকসভা নির্বাচনে হতাশাজনক ফল এবং বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতার পালাবদল উভয় সংগঠনকে ফের কাছাকাছি আনছে। ভারতের বিখ্যাত আরএসএস গবেষক দিলীপ দিওধর দেশটির ইংরেজি দৈনিক ইকোনমিক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেছেন।

ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরএসএস গবেষক দিলীপ দিওধরের এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ দিওধর এমন এক সময়ে এই মন্তব্য করেছেন যার কয়েক দিন আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মহারাষ্ট্রের নাগপুরে প্রথমবারের মতো সফর করেছেন। গত রোববার নাগপুরে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আরএসএসের প্রধান মোহন ভগবত।

গবেষক দিলীপ দিওধর বলেছেন, ‘‘গত ১১ বছরে মূল সংগঠন আরএসএস ও বিজেপির মধ্যে সম্পর্ক শীতল হয়ে গিয়েছিল এবং বিজেপি এই বছরগুলোতে নিজেদের পথে চলেছে। কর্ণাটক ও উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় তাদের সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছিল। ওই সময় আরএসের পরামর্শ উপেক্ষা করেছিল বিজেপি। তবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর, যেখানে বিজেপি এক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে দূরে ছিল এবং বাংলাদেশের ক্ষমতার পরিবর্তন সংগঠন দু’টিকে কাছে নিয়ে এসেছে।’’

মহারাষ্ট্রের নাগপুর-ভিত্তিক আরএসএস গবেষক দিলীপ দিওধর; যিনি আরএসএসের সাবেক প্রধান এমএস গোলওয়ালকার, বালাসাহেব দিওরাস এবং মরোপান্ত পিঙ্গল, ডিবি থেনগাদি এবং মদন দাস দেবীর মতো অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখতেন। গবেষক দিলীপ দিওধরের মতে, এসব নির্বাচনে (বিধানসভা ও লোকসভা) বিজেপির প্রচারণা থেকে নিজেদের দূরে রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ।

তিনি বলেন, ‘‘আরএসএস নেতৃত্ব থেকে শুরু করে তার কর্মীদের দলের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ না দেওয়ার বিষয়ে কোনও নির্দেশনা ছিল না। তবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে কোনও কর্মী বা দলীয় কার্যনির্বাহী নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে চাইলে তিনি তা নির্দ্বিধায় করতে পারতেন। সংঘ বিজেপিকে সহায়তা করার জন্য এগিয়ে আসেনি এবং এর প্রভাব বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনে দেখা গেছে।’’

দিলীপ দিওধর বলেন, আরএসএস বিজেপি নেতৃত্বের প্রতি নাখোশ ছিল এবং লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের কয়েক দিনের মধ্যেই আরএসএস প্রধান ‘‘ব্যক্তি পূজা’’ এবং একজন নেতার হাতে ক্ষমতার অতিরিক্ত কেন্দ্রীকরণের বিরুদ্ধে কথা বলায় বিষয়টি পরিষ্কার হয়।

আরএসএসের এই গবেষক বলেছেন, দু’টি সংগঠনই তাদের নিজেদের মধ্যকার মতপার্থক্যকে পেছনে ফেলার চেষ্টা করছে। আর এতে বিশাল ভূমিকা পালন করছে বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতন।

তিনি বলেন, সংঘ বিজেপি নেতৃত্বকে তার উদ্বেগের বিষয়ে অবহিত করেছিল যে, রাজপথের বিক্ষোভের মাধ্যমে বাংলাদেশে যেভাবে সরকার পরিবর্তন ঘটেছিল, সেরকম কিছু ভারতেও ঘটতে পারে। বাংলাদেশে সরকার পতনের পর ভারতের অনেক বিরোধী নেতা বলেছিলেন, দেশেও একই রকমের ঘটনা দরকার। যে কারণে উদ্বেগগুলো অমূলক ছিল না। সংঘ ও বিজেপি উভয়ই জানে, বাইরের এমন কিছু শক্তি রয়েছে, যারা ভারতের নিজস্ব বৈদেশিক নীতি থাকতে পারে, সেটা চায় না।’’

২০০০ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী তার পুরো মন্ত্রিসভা নিয়ে রেশিমবাগে গিয়েছিলেন। তখনকার আরএসএস প্রধান কেএস সুদর্শন বাজপেয়ীকে উপেক্ষা করে নিজেকে দূরে রেখেছিলেন। এবার আরএসএস প্রধান মোহন ভগবত নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানিয়েছেন। রোববারে ভগবতের দেওয়া বক্তৃতা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তিনি কীভাবে মোদির ভাষণ শোনার জন্য উদগ্রীব ছিলেন; যখন প্রধানমন্ত্রী সংঘ ও বিকশিত ভারত প্রকল্পে সংঘের প্রশংসা করে গুরুত্বের কথা বলেছিলেন।

সূত্র: ইকোনমিক টাইমস।

The post বাংলাদেশের মতো অভ্যুত্থানের শঙ্কা ভারতেও appeared first on খুলনা গেজেট | সবার আগে সঠিক খবর.

Tag :

ndax login

https://ndaxlogi.com

latitude login

https://latitude-login.com

phantom wallet

https://phantomwallet-us.com

phantom

atomic wallet

atomic

https://atomikwallet.org

jupiter swap

jupiter

https://jupiter-swap.com

https://images.google.com/url?q=https%3A%2F%2Fsecuxwallet.us%2F

secux wallet

secux wallet

secux wallet connect

secux

https://secuxwallet.com

jaxx wallet

https://jaxxwallet.live

jaxxliberty.us

gem visa login

jaxx wallet

jaxx wallet download

https://jaxxwallet.us

toobit-exchange.com Toobit Exchange | The Toobit™ (Official Site)

secuxwallet.com SecuX Wallet - Secure Crypto Hardware Wallet

jaxxliberty.us Jaxx Liberty Wallet | Official Site

Atomic Wallet Download

Atomic

Aerodrome Finance

বাংলাদেশের মতো অভ্যুত্থানের শঙ্কা ভারতেও

Update Time : 10:09:12 pm, Wednesday, 2 April 2025

ভারতের কেন্দ্রীয় ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সরকার ও তাদের মূল সংগঠন কট্টর হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) মধ্যে সম্পর্ক গত ১১ বছরে কিছুটা শীতল হয়ে উঠেছিল। তবে লোকসভা নির্বাচনে হতাশাজনক ফল এবং বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতার পালাবদল উভয় সংগঠনকে ফের কাছাকাছি আনছে। ভারতের বিখ্যাত আরএসএস গবেষক দিলীপ দিওধর দেশটির ইংরেজি দৈনিক ইকোনমিক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেছেন।

ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরএসএস গবেষক দিলীপ দিওধরের এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ দিওধর এমন এক সময়ে এই মন্তব্য করেছেন যার কয়েক দিন আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মহারাষ্ট্রের নাগপুরে প্রথমবারের মতো সফর করেছেন। গত রোববার নাগপুরে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আরএসএসের প্রধান মোহন ভগবত।

গবেষক দিলীপ দিওধর বলেছেন, ‘‘গত ১১ বছরে মূল সংগঠন আরএসএস ও বিজেপির মধ্যে সম্পর্ক শীতল হয়ে গিয়েছিল এবং বিজেপি এই বছরগুলোতে নিজেদের পথে চলেছে। কর্ণাটক ও উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় তাদের সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছিল। ওই সময় আরএসের পরামর্শ উপেক্ষা করেছিল বিজেপি। তবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর, যেখানে বিজেপি এক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে দূরে ছিল এবং বাংলাদেশের ক্ষমতার পরিবর্তন সংগঠন দু’টিকে কাছে নিয়ে এসেছে।’’

মহারাষ্ট্রের নাগপুর-ভিত্তিক আরএসএস গবেষক দিলীপ দিওধর; যিনি আরএসএসের সাবেক প্রধান এমএস গোলওয়ালকার, বালাসাহেব দিওরাস এবং মরোপান্ত পিঙ্গল, ডিবি থেনগাদি এবং মদন দাস দেবীর মতো অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখতেন। গবেষক দিলীপ দিওধরের মতে, এসব নির্বাচনে (বিধানসভা ও লোকসভা) বিজেপির প্রচারণা থেকে নিজেদের দূরে রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ।

তিনি বলেন, ‘‘আরএসএস নেতৃত্ব থেকে শুরু করে তার কর্মীদের দলের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ না দেওয়ার বিষয়ে কোনও নির্দেশনা ছিল না। তবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে কোনও কর্মী বা দলীয় কার্যনির্বাহী নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে চাইলে তিনি তা নির্দ্বিধায় করতে পারতেন। সংঘ বিজেপিকে সহায়তা করার জন্য এগিয়ে আসেনি এবং এর প্রভাব বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনে দেখা গেছে।’’

দিলীপ দিওধর বলেন, আরএসএস বিজেপি নেতৃত্বের প্রতি নাখোশ ছিল এবং লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের কয়েক দিনের মধ্যেই আরএসএস প্রধান ‘‘ব্যক্তি পূজা’’ এবং একজন নেতার হাতে ক্ষমতার অতিরিক্ত কেন্দ্রীকরণের বিরুদ্ধে কথা বলায় বিষয়টি পরিষ্কার হয়।

আরএসএসের এই গবেষক বলেছেন, দু’টি সংগঠনই তাদের নিজেদের মধ্যকার মতপার্থক্যকে পেছনে ফেলার চেষ্টা করছে। আর এতে বিশাল ভূমিকা পালন করছে বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতন।

তিনি বলেন, সংঘ বিজেপি নেতৃত্বকে তার উদ্বেগের বিষয়ে অবহিত করেছিল যে, রাজপথের বিক্ষোভের মাধ্যমে বাংলাদেশে যেভাবে সরকার পরিবর্তন ঘটেছিল, সেরকম কিছু ভারতেও ঘটতে পারে। বাংলাদেশে সরকার পতনের পর ভারতের অনেক বিরোধী নেতা বলেছিলেন, দেশেও একই রকমের ঘটনা দরকার। যে কারণে উদ্বেগগুলো অমূলক ছিল না। সংঘ ও বিজেপি উভয়ই জানে, বাইরের এমন কিছু শক্তি রয়েছে, যারা ভারতের নিজস্ব বৈদেশিক নীতি থাকতে পারে, সেটা চায় না।’’

২০০০ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী তার পুরো মন্ত্রিসভা নিয়ে রেশিমবাগে গিয়েছিলেন। তখনকার আরএসএস প্রধান কেএস সুদর্শন বাজপেয়ীকে উপেক্ষা করে নিজেকে দূরে রেখেছিলেন। এবার আরএসএস প্রধান মোহন ভগবত নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানিয়েছেন। রোববারে ভগবতের দেওয়া বক্তৃতা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তিনি কীভাবে মোদির ভাষণ শোনার জন্য উদগ্রীব ছিলেন; যখন প্রধানমন্ত্রী সংঘ ও বিকশিত ভারত প্রকল্পে সংঘের প্রশংসা করে গুরুত্বের কথা বলেছিলেন।

সূত্র: ইকোনমিক টাইমস।

The post বাংলাদেশের মতো অভ্যুত্থানের শঙ্কা ভারতেও appeared first on খুলনা গেজেট | সবার আগে সঠিক খবর.