3:50 pm, Wednesday, 9 April 2025
Aniversary Banner Desktop

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেষ্টায় স্বস্তির ঈদ

অনলাইন ডেস্ক: গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী নতুন বাংলাদেশে এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে প্রাণে প্রাণ মিলিয়ে। অন্যবারের তুলনায় ঈদের ছুটিও বেশি। টানা নয়দিন।

বলা চলে, গত বৃহস্পতিবার থেকে দেশের মানুষ ঈদের আয়োজনে প্রবেশ করে। ঢাকা ছেড়ে পাড়ি জমান জন্মভিটায়। প্রতিবারই ঈদের ছুটিতে নাগরিকদের আতঙ্কে থাকতে হয়।

কিন্তু ব্যতিক্রম ছিল এই ঈদ। অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেশের মানুষের জানমালের ওপর। এরই অংশ হিসাবে ঢাকাসহ সারা দেশ নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়।

ঈদ আনন্দকে নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। পুলিশের কঠোর নজরদারির কারণে রাজধানীসহ সারা দেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে। ছিনতাই, চুরি কিংবা ডাকাতির মতো ঘটনা ছিল প্রায় শূন্যের কোঠায়। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া সার্বিকভাবে দেশের মানুষ উপভোগ করেছেন ঈদ উৎসব।

রাজধানীতে ঈদের সময় সাধারণত অপরাধপ্রবণতা বেড়ে যায়। তবে এবারের চিত্র ভিন্ন। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য ইউনিটও তৎপর। গভীর রাতেও মাঠে থাকতে দেখা গেছে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের। নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল ঢের শক্তিশালী। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে হাইওয়ে পুলিশ, র‌্যাবের নিয়মিত টহল এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাও প্রশংসার দাবি রাখে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

আইজিপি বাহারুল আলম নিজে রাত জেগে নিরাপত্তা মনিটরিং করেছেন। তার নির্দেশনায় পুলিশের সিনিয়র অফিসাররা রাতভর মাঠে দায়িত্ব পালন করেছেন। যে কারণে মাঠ পর্যায়ে পুলিশের মধ্যে ছিল অতিরিক্ত সতর্কতা। ঈদগাহ ময়দান, বিনোদনকেন্দ্র, শপিংমল ও বাসস্ট্যান্ডগুলোয়ও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

পুলিশের এমন তৎপরতায় স্বস্তি ফিরেছে জনমনে। ঈদের ছুটিতে ঘরমুখো মানুষ যাত্রা করেছেন নিশ্চিন্তে, নগরবাসীও ঈদ কাটিয়েছেন নির্ভার মনে। নাগরিকরা জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এমন নিবেদিত প্রচেষ্টার কারণে এবারের ঈদ সত্যিকার অর্থেই হয়ে উঠেছে ‘স্বস্তির ঈদ’।

মিরপুরের বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর মনোবল ভেঙে পড়েছিল পুলিশের। যে কারণে এবার ঈদের ছুটিতে কী হবে-একটা আতঙ্কের মধ্যে ছিলাম। কিন্তু পুলিশ এবার ঈদে রেকর্ড করার মতো স্বস্তি উপহার দিল। উত্তরার বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, পুলিশি তৎপরতায় আমরা খুবই খুশি। আশা করি দিনে দিনে পুলিশ আরও ভালো করবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফট্যানেন্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।

সবাই ছুটিতে আছে। কেবল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ছুটি নেই। তারা জনগণের জানমাল রক্ষায় দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ যাতে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে, সেই লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ ও সক্রিয় রয়েছে। বুধবার দুপুরে ঈদের শুভেচ্ছা ও পুনর্মিলনীর উদ্দেশ্যে বিভিন্ন থানা পরিদর্শন শেষে বাড্ডা থানায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

এদিকে পুলিশ মহাপরিদর্শক আইজিপি বাহারুল আলম বুধবার যুগান্তরকে বলেন, ‘বিগত সময়ে খুব খারাপ অভিজ্ঞতা গেছে পুলিশের। মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সবসময় কাজ করে। এবার সিনিয়র অফিসারদেরও আমরা মাঠ পর্যায়ে ডিউটিতে ইনভলব (যুক্ত) করেছি। নির্দেশনা দিয়েছিলাম মাঠ পুলিশের সঙ্গে সিনিয়র অফিসারদেরও মাঠে থাকতে হবে। রাত ১২টার পর বের হয়ে সারা রাত মাঠে থাকবেন তারা। পুরো রমজানেই হাইওয়ে এবং জেলাগুলোয় সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাদের সবাই মাঠে নামেন। যে কারণে অধস্তন পুলিশ কর্মকর্তা এবং সদস্যদের মাঝে তৎপরতা ছিল অন্য স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি।

এছাড়া ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার থেকে শুরু করে প্রত্যেকেই রাস্তায় নামেন। তারা রাত ১১টা-১২টা পর্যন্ত রাস্তায় ছিলেন। চন্দ্রা, সাইনবোর্ডসহ মহাসড়কের বিভিন্ন ‘চেক পয়েন্ট’ থেকে রাতে পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের অবস্থানের কথা এসএমএস দিয়ে আমাকে জানাতেন। এই জিনিসটা আমার মনে হয় কাজ করছে। আইজিপি বলেন, নাগরিকদের কাছেও আমরা কৃতজ্ঞ, আমরা যেভাবে সহযোগিতা চেয়েছি, তারা সহযোগিতা করেছেন, বাড়ি যাওয়ার আগে তার প্রতিবেশীকে বলে গেছেন, আমি গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি, আমার বাড়িটা খেয়াল রাখবেন, কিছু হলে পুলিশকে জানাবেন।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবার ঈদে ৮০ শতাংশের বেশি পুলিশ সদস্যের ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়। পুলিশ সদস্যরা বলছেন, নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটাই ছিল তাদের ঈদের আনন্দ।

লালবাগ থানার উপপুলিশ পরিদর্শক নাজমুল ছুটি পাননি। তিনি বলেন, ঈদের দিনে মন খারাপ হয়েছে। তবে এটা ভেবে আনন্দ লেগেছে যে, আমরা মানুষের জানমালের শতভাগ নিরাপত্তা দিতে পেরেছি। শাহবাগ থানার এসআই মাহমুদ হাসান বলেন, এবার ঈদে ছুটি পাইনি। তবে মানুষের নিরাপত্তা দিতে পেরে আনন্দ লাগে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন থানার পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তাদের নানারকম অনুভূতির কথা। তাদের একটাই বক্তব্য-দায়িত্বটাই তাদের আনন্দ।

ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, এবার ঈদের ছুটিতে নগরীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাজধানীতে ১৫ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য তৎপর ছিলেন। ঢাকার ৫০ থানা এলাকায় ৭১টি চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করা হয়েছে। পুলিশের ৬৬৭টি টিম সার্বক্ষণিক টহলে আছে। এছাড়া র‌্যাব, ডিবি, সিটিটিসি, এপিবিএন, আনসারসহ অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করছে। দায়িত্ব পালন করেছে অক্সিলারি পুলিশও।

গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী নতুন বাংলাদেশে এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে প্রাণে প্রাণ মিলিয়ে। অন্যবারের তুলনায় ঈদের ছুটিও বেশি। টানা নয়দিন।

বলা চলে, গত বৃহস্পতিবার থেকে দেশের মানুষ ঈদের আয়োজনে প্রবেশ করে। ঢাকা ছেড়ে পাড়ি জমান জন্মভিটায়। প্রতিবারই ঈদের ছুটিতে নাগরিকদের আতঙ্কে থাকতে হয়।

কিন্তু ব্যতিক্রম ছিল এই ঈদ। অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেশের মানুষের জানমালের ওপর। এরই অংশ হিসাবে ঢাকাসহ সারা দেশ নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়।

ঈদ আনন্দকে নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। পুলিশের কঠোর নজরদারির কারণে রাজধানীসহ সারা দেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে। ছিনতাই, চুরি কিংবা ডাকাতির মতো ঘটনা ছিল প্রায় শূন্যের কোঠায়। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া সার্বিকভাবে দেশের মানুষ উপভোগ করেছেন ঈদ উৎসব।

রাজধানীতে ঈদের সময় সাধারণত অপরাধপ্রবণতা বেড়ে যায়। তবে এবারের চিত্র ভিন্ন। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য ইউনিটও তৎপর। গভীর রাতেও মাঠে থাকতে দেখা গেছে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের। নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল ঢের শক্তিশালী। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে হাইওয়ে পুলিশ, র‌্যাবের নিয়মিত টহল এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাও প্রশংসার দাবি রাখে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

আইজিপি বাহারুল আলম নিজে রাত জেগে নিরাপত্তা মনিটরিং করেছেন। তার নির্দেশনায় পুলিশের সিনিয়র অফিসাররা রাতভর মাঠে দায়িত্ব পালন করেছেন। যে কারণে মাঠ পর্যায়ে পুলিশের মধ্যে ছিল অতিরিক্ত সতর্কতা। ঈদগাহ ময়দান, বিনোদনকেন্দ্র, শপিংমল ও বাসস্ট্যান্ডগুলোয়ও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

পুলিশের এমন তৎপরতায় স্বস্তি ফিরেছে জনমনে। ঈদের ছুটিতে ঘরমুখো মানুষ যাত্রা করেছেন নিশ্চিন্তে, নগরবাসীও ঈদ কাটিয়েছেন নির্ভার মনে। নাগরিকরা জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এমন নিবেদিত প্রচেষ্টার কারণে এবারের ঈদ সত্যিকার অর্থেই হয়ে উঠেছে ‘স্বস্তির ঈদ’।

মিরপুরের বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর মনোবল ভেঙে পড়েছিল পুলিশের। যে কারণে এবার ঈদের ছুটিতে কী হবে-একটা আতঙ্কের মধ্যে ছিলাম। কিন্তু পুলিশ এবার ঈদে রেকর্ড করার মতো স্বস্তি উপহার দিল। উত্তরার বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, পুলিশি তৎপরতায় আমরা খুবই খুশি। আশা করি দিনে দিনে পুলিশ আরও ভালো করবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফট্যানেন্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।

সবাই ছুটিতে আছে। কেবল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ছুটি নেই। তারা জনগণের জানমাল রক্ষায় দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ যাতে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে, সেই লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ ও সক্রিয় রয়েছে। বুধবার দুপুরে ঈদের শুভেচ্ছা ও পুনর্মিলনীর উদ্দেশ্যে বিভিন্ন থানা পরিদর্শন শেষে বাড্ডা থানায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

এদিকে পুলিশ মহাপরিদর্শক আইজিপি বাহারুল আলম বুধবার যুগান্তরকে বলেন, ‘বিগত সময়ে খুব খারাপ অভিজ্ঞতা গেছে পুলিশের। মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সবসময় কাজ করে। এবার সিনিয়র অফিসারদেরও আমরা মাঠ পর্যায়ে ডিউটিতে ইনভলব (যুক্ত) করেছি। নির্দেশনা দিয়েছিলাম মাঠ পুলিশের সঙ্গে সিনিয়র অফিসারদেরও মাঠে থাকতে হবে। রাত ১২টার পর বের হয়ে সারা রাত মাঠে থাকবেন তারা। পুরো রমজানেই হাইওয়ে এবং জেলাগুলোয় সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাদের সবাই মাঠে নামেন। যে কারণে অধস্তন পুলিশ কর্মকর্তা এবং সদস্যদের মাঝে তৎপরতা ছিল অন্য স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি।

এছাড়া ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার থেকে শুরু করে প্রত্যেকেই রাস্তায় নামেন। তারা রাত ১১টা-১২টা পর্যন্ত রাস্তায় ছিলেন। চন্দ্রা, সাইনবোর্ডসহ মহাসড়কের বিভিন্ন ‘চেক পয়েন্ট’ থেকে রাতে পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের অবস্থানের কথা এসএমএস দিয়ে আমাকে জানাতেন। এই জিনিসটা আমার মনে হয় কাজ করছে। আইজিপি বলেন, নাগরিকদের কাছেও আমরা কৃতজ্ঞ, আমরা যেভাবে সহযোগিতা চেয়েছি, তারা সহযোগিতা করেছেন, বাড়ি যাওয়ার আগে তার প্রতিবেশীকে বলে গেছেন, আমি গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি, আমার বাড়িটা খেয়াল রাখবেন, কিছু হলে পুলিশকে জানাবেন।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবার ঈদে ৮০ শতাংশের বেশি পুলিশ সদস্যের ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়। পুলিশ সদস্যরা বলছেন, নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটাই ছিল তাদের ঈদের আনন্দ।

লালবাগ থানার উপপুলিশ পরিদর্শক নাজমুল ছুটি পাননি। তিনি বলেন, ঈদের দিনে মন খারাপ হয়েছে। তবে এটা ভেবে আনন্দ লেগেছে যে, আমরা মানুষের জানমালের শতভাগ নিরাপত্তা দিতে পেরেছি। শাহবাগ থানার এসআই মাহমুদ হাসান বলেন, এবার ঈদে ছুটি পাইনি। তবে মানুষের নিরাপত্তা দিতে পেরে আনন্দ লাগে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন থানার পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তাদের নানারকম অনুভূতির কথা। তাদের একটাই বক্তব্য-দায়িত্বটাই তাদের আনন্দ।

ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, এবার ঈদের ছুটিতে নগরীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাজধানীতে ১৫ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য তৎপর ছিলেন। ঢাকার ৫০ থানা এলাকায় ৭১টি চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করা হয়েছে। পুলিশের ৬৬৭টি টিম সার্বক্ষণিক টহলে আছে। এছাড়া র‌্যাব, ডিবি, সিটিটিসি, এপিবিএন, আনসারসহ অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করছে। দায়িত্ব পালন করেছে অক্সিলারি পুলিশও।

The post আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেষ্টায় স্বস্তির ঈদ appeared first on সোনালী সংবাদ.

Tag :

ndax login

https://ndaxlogi.com

latitude login

https://latitude-login.com

phantom wallet

https://phantomwallet-us.com

phantom

atomic wallet

atomic

https://atomikwallet.org

jupiter swap

jupiter

https://jupiter-swap.com

https://images.google.com/url?q=https%3A%2F%2Fsecuxwallet.us%2F

secux wallet

secux wallet

secux wallet connect

secux

https://secuxwallet.com

jaxx wallet

https://jaxxwallet.live

jaxxliberty.us

gem visa login

jaxx wallet

jaxx wallet download

https://jaxxwallet.us

toobit-exchange.com Toobit Exchange | The Toobit™ (Official Site)

secuxwallet.com SecuX Wallet - Secure Crypto Hardware Wallet

jaxxliberty.us Jaxx Liberty Wallet | Official Site

Atomic Wallet Download

Atomic

Aerodrome Finance

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেষ্টায় স্বস্তির ঈদ

Update Time : 02:10:23 pm, Thursday, 3 April 2025

অনলাইন ডেস্ক: গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী নতুন বাংলাদেশে এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে প্রাণে প্রাণ মিলিয়ে। অন্যবারের তুলনায় ঈদের ছুটিও বেশি। টানা নয়দিন।

বলা চলে, গত বৃহস্পতিবার থেকে দেশের মানুষ ঈদের আয়োজনে প্রবেশ করে। ঢাকা ছেড়ে পাড়ি জমান জন্মভিটায়। প্রতিবারই ঈদের ছুটিতে নাগরিকদের আতঙ্কে থাকতে হয়।

কিন্তু ব্যতিক্রম ছিল এই ঈদ। অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেশের মানুষের জানমালের ওপর। এরই অংশ হিসাবে ঢাকাসহ সারা দেশ নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়।

ঈদ আনন্দকে নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। পুলিশের কঠোর নজরদারির কারণে রাজধানীসহ সারা দেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে। ছিনতাই, চুরি কিংবা ডাকাতির মতো ঘটনা ছিল প্রায় শূন্যের কোঠায়। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া সার্বিকভাবে দেশের মানুষ উপভোগ করেছেন ঈদ উৎসব।

রাজধানীতে ঈদের সময় সাধারণত অপরাধপ্রবণতা বেড়ে যায়। তবে এবারের চিত্র ভিন্ন। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য ইউনিটও তৎপর। গভীর রাতেও মাঠে থাকতে দেখা গেছে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের। নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল ঢের শক্তিশালী। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে হাইওয়ে পুলিশ, র‌্যাবের নিয়মিত টহল এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাও প্রশংসার দাবি রাখে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

আইজিপি বাহারুল আলম নিজে রাত জেগে নিরাপত্তা মনিটরিং করেছেন। তার নির্দেশনায় পুলিশের সিনিয়র অফিসাররা রাতভর মাঠে দায়িত্ব পালন করেছেন। যে কারণে মাঠ পর্যায়ে পুলিশের মধ্যে ছিল অতিরিক্ত সতর্কতা। ঈদগাহ ময়দান, বিনোদনকেন্দ্র, শপিংমল ও বাসস্ট্যান্ডগুলোয়ও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

পুলিশের এমন তৎপরতায় স্বস্তি ফিরেছে জনমনে। ঈদের ছুটিতে ঘরমুখো মানুষ যাত্রা করেছেন নিশ্চিন্তে, নগরবাসীও ঈদ কাটিয়েছেন নির্ভার মনে। নাগরিকরা জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এমন নিবেদিত প্রচেষ্টার কারণে এবারের ঈদ সত্যিকার অর্থেই হয়ে উঠেছে ‘স্বস্তির ঈদ’।

মিরপুরের বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর মনোবল ভেঙে পড়েছিল পুলিশের। যে কারণে এবার ঈদের ছুটিতে কী হবে-একটা আতঙ্কের মধ্যে ছিলাম। কিন্তু পুলিশ এবার ঈদে রেকর্ড করার মতো স্বস্তি উপহার দিল। উত্তরার বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, পুলিশি তৎপরতায় আমরা খুবই খুশি। আশা করি দিনে দিনে পুলিশ আরও ভালো করবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফট্যানেন্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।

সবাই ছুটিতে আছে। কেবল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ছুটি নেই। তারা জনগণের জানমাল রক্ষায় দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ যাতে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে, সেই লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ ও সক্রিয় রয়েছে। বুধবার দুপুরে ঈদের শুভেচ্ছা ও পুনর্মিলনীর উদ্দেশ্যে বিভিন্ন থানা পরিদর্শন শেষে বাড্ডা থানায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

এদিকে পুলিশ মহাপরিদর্শক আইজিপি বাহারুল আলম বুধবার যুগান্তরকে বলেন, ‘বিগত সময়ে খুব খারাপ অভিজ্ঞতা গেছে পুলিশের। মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সবসময় কাজ করে। এবার সিনিয়র অফিসারদেরও আমরা মাঠ পর্যায়ে ডিউটিতে ইনভলব (যুক্ত) করেছি। নির্দেশনা দিয়েছিলাম মাঠ পুলিশের সঙ্গে সিনিয়র অফিসারদেরও মাঠে থাকতে হবে। রাত ১২টার পর বের হয়ে সারা রাত মাঠে থাকবেন তারা। পুরো রমজানেই হাইওয়ে এবং জেলাগুলোয় সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাদের সবাই মাঠে নামেন। যে কারণে অধস্তন পুলিশ কর্মকর্তা এবং সদস্যদের মাঝে তৎপরতা ছিল অন্য স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি।

এছাড়া ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার থেকে শুরু করে প্রত্যেকেই রাস্তায় নামেন। তারা রাত ১১টা-১২টা পর্যন্ত রাস্তায় ছিলেন। চন্দ্রা, সাইনবোর্ডসহ মহাসড়কের বিভিন্ন ‘চেক পয়েন্ট’ থেকে রাতে পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের অবস্থানের কথা এসএমএস দিয়ে আমাকে জানাতেন। এই জিনিসটা আমার মনে হয় কাজ করছে। আইজিপি বলেন, নাগরিকদের কাছেও আমরা কৃতজ্ঞ, আমরা যেভাবে সহযোগিতা চেয়েছি, তারা সহযোগিতা করেছেন, বাড়ি যাওয়ার আগে তার প্রতিবেশীকে বলে গেছেন, আমি গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি, আমার বাড়িটা খেয়াল রাখবেন, কিছু হলে পুলিশকে জানাবেন।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবার ঈদে ৮০ শতাংশের বেশি পুলিশ সদস্যের ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়। পুলিশ সদস্যরা বলছেন, নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটাই ছিল তাদের ঈদের আনন্দ।

লালবাগ থানার উপপুলিশ পরিদর্শক নাজমুল ছুটি পাননি। তিনি বলেন, ঈদের দিনে মন খারাপ হয়েছে। তবে এটা ভেবে আনন্দ লেগেছে যে, আমরা মানুষের জানমালের শতভাগ নিরাপত্তা দিতে পেরেছি। শাহবাগ থানার এসআই মাহমুদ হাসান বলেন, এবার ঈদে ছুটি পাইনি। তবে মানুষের নিরাপত্তা দিতে পেরে আনন্দ লাগে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন থানার পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তাদের নানারকম অনুভূতির কথা। তাদের একটাই বক্তব্য-দায়িত্বটাই তাদের আনন্দ।

ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, এবার ঈদের ছুটিতে নগরীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাজধানীতে ১৫ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য তৎপর ছিলেন। ঢাকার ৫০ থানা এলাকায় ৭১টি চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করা হয়েছে। পুলিশের ৬৬৭টি টিম সার্বক্ষণিক টহলে আছে। এছাড়া র‌্যাব, ডিবি, সিটিটিসি, এপিবিএন, আনসারসহ অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করছে। দায়িত্ব পালন করেছে অক্সিলারি পুলিশও।

গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী নতুন বাংলাদেশে এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে প্রাণে প্রাণ মিলিয়ে। অন্যবারের তুলনায় ঈদের ছুটিও বেশি। টানা নয়দিন।

বলা চলে, গত বৃহস্পতিবার থেকে দেশের মানুষ ঈদের আয়োজনে প্রবেশ করে। ঢাকা ছেড়ে পাড়ি জমান জন্মভিটায়। প্রতিবারই ঈদের ছুটিতে নাগরিকদের আতঙ্কে থাকতে হয়।

কিন্তু ব্যতিক্রম ছিল এই ঈদ। অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেশের মানুষের জানমালের ওপর। এরই অংশ হিসাবে ঢাকাসহ সারা দেশ নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়।

ঈদ আনন্দকে নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। পুলিশের কঠোর নজরদারির কারণে রাজধানীসহ সারা দেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে। ছিনতাই, চুরি কিংবা ডাকাতির মতো ঘটনা ছিল প্রায় শূন্যের কোঠায়। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া সার্বিকভাবে দেশের মানুষ উপভোগ করেছেন ঈদ উৎসব।

রাজধানীতে ঈদের সময় সাধারণত অপরাধপ্রবণতা বেড়ে যায়। তবে এবারের চিত্র ভিন্ন। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য ইউনিটও তৎপর। গভীর রাতেও মাঠে থাকতে দেখা গেছে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের। নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল ঢের শক্তিশালী। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে হাইওয়ে পুলিশ, র‌্যাবের নিয়মিত টহল এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাও প্রশংসার দাবি রাখে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

আইজিপি বাহারুল আলম নিজে রাত জেগে নিরাপত্তা মনিটরিং করেছেন। তার নির্দেশনায় পুলিশের সিনিয়র অফিসাররা রাতভর মাঠে দায়িত্ব পালন করেছেন। যে কারণে মাঠ পর্যায়ে পুলিশের মধ্যে ছিল অতিরিক্ত সতর্কতা। ঈদগাহ ময়দান, বিনোদনকেন্দ্র, শপিংমল ও বাসস্ট্যান্ডগুলোয়ও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

পুলিশের এমন তৎপরতায় স্বস্তি ফিরেছে জনমনে। ঈদের ছুটিতে ঘরমুখো মানুষ যাত্রা করেছেন নিশ্চিন্তে, নগরবাসীও ঈদ কাটিয়েছেন নির্ভার মনে। নাগরিকরা জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এমন নিবেদিত প্রচেষ্টার কারণে এবারের ঈদ সত্যিকার অর্থেই হয়ে উঠেছে ‘স্বস্তির ঈদ’।

মিরপুরের বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর মনোবল ভেঙে পড়েছিল পুলিশের। যে কারণে এবার ঈদের ছুটিতে কী হবে-একটা আতঙ্কের মধ্যে ছিলাম। কিন্তু পুলিশ এবার ঈদে রেকর্ড করার মতো স্বস্তি উপহার দিল। উত্তরার বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, পুলিশি তৎপরতায় আমরা খুবই খুশি। আশা করি দিনে দিনে পুলিশ আরও ভালো করবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফট্যানেন্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।

সবাই ছুটিতে আছে। কেবল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ছুটি নেই। তারা জনগণের জানমাল রক্ষায় দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ যাতে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে, সেই লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ ও সক্রিয় রয়েছে। বুধবার দুপুরে ঈদের শুভেচ্ছা ও পুনর্মিলনীর উদ্দেশ্যে বিভিন্ন থানা পরিদর্শন শেষে বাড্ডা থানায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

এদিকে পুলিশ মহাপরিদর্শক আইজিপি বাহারুল আলম বুধবার যুগান্তরকে বলেন, ‘বিগত সময়ে খুব খারাপ অভিজ্ঞতা গেছে পুলিশের। মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সবসময় কাজ করে। এবার সিনিয়র অফিসারদেরও আমরা মাঠ পর্যায়ে ডিউটিতে ইনভলব (যুক্ত) করেছি। নির্দেশনা দিয়েছিলাম মাঠ পুলিশের সঙ্গে সিনিয়র অফিসারদেরও মাঠে থাকতে হবে। রাত ১২টার পর বের হয়ে সারা রাত মাঠে থাকবেন তারা। পুরো রমজানেই হাইওয়ে এবং জেলাগুলোয় সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাদের সবাই মাঠে নামেন। যে কারণে অধস্তন পুলিশ কর্মকর্তা এবং সদস্যদের মাঝে তৎপরতা ছিল অন্য স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি।

এছাড়া ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার থেকে শুরু করে প্রত্যেকেই রাস্তায় নামেন। তারা রাত ১১টা-১২টা পর্যন্ত রাস্তায় ছিলেন। চন্দ্রা, সাইনবোর্ডসহ মহাসড়কের বিভিন্ন ‘চেক পয়েন্ট’ থেকে রাতে পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের অবস্থানের কথা এসএমএস দিয়ে আমাকে জানাতেন। এই জিনিসটা আমার মনে হয় কাজ করছে। আইজিপি বলেন, নাগরিকদের কাছেও আমরা কৃতজ্ঞ, আমরা যেভাবে সহযোগিতা চেয়েছি, তারা সহযোগিতা করেছেন, বাড়ি যাওয়ার আগে তার প্রতিবেশীকে বলে গেছেন, আমি গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি, আমার বাড়িটা খেয়াল রাখবেন, কিছু হলে পুলিশকে জানাবেন।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবার ঈদে ৮০ শতাংশের বেশি পুলিশ সদস্যের ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়। পুলিশ সদস্যরা বলছেন, নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটাই ছিল তাদের ঈদের আনন্দ।

লালবাগ থানার উপপুলিশ পরিদর্শক নাজমুল ছুটি পাননি। তিনি বলেন, ঈদের দিনে মন খারাপ হয়েছে। তবে এটা ভেবে আনন্দ লেগেছে যে, আমরা মানুষের জানমালের শতভাগ নিরাপত্তা দিতে পেরেছি। শাহবাগ থানার এসআই মাহমুদ হাসান বলেন, এবার ঈদে ছুটি পাইনি। তবে মানুষের নিরাপত্তা দিতে পেরে আনন্দ লাগে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন থানার পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তাদের নানারকম অনুভূতির কথা। তাদের একটাই বক্তব্য-দায়িত্বটাই তাদের আনন্দ।

ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, এবার ঈদের ছুটিতে নগরীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাজধানীতে ১৫ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য তৎপর ছিলেন। ঢাকার ৫০ থানা এলাকায় ৭১টি চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করা হয়েছে। পুলিশের ৬৬৭টি টিম সার্বক্ষণিক টহলে আছে। এছাড়া র‌্যাব, ডিবি, সিটিটিসি, এপিবিএন, আনসারসহ অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করছে। দায়িত্ব পালন করেছে অক্সিলারি পুলিশও।

The post আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেষ্টায় স্বস্তির ঈদ appeared first on সোনালী সংবাদ.