2:54 pm, Wednesday, 9 April 2025
Aniversary Banner Desktop

আদালতের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গে চাকরি হারালেন ২৬ হাজার শিক্ষক

পশ্চিমবঙ্গে ২০২৬ সালে বিধানসভা ভোট। তার আগে বড় ধাক্কা খেল মমতার সরকার। রাজ্যটির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে, ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি গেলো ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীদের। এরা সকলেই পশ্চিমবঙ্গের সরকারি স্কুলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শুধু তাই নয়, আদালতের নির্দেশে যাদের চাকরি গেল, তাদের ফেরত দিতে হবে বেতন।

২০২৪ সালে ২২ এপিল কলকাতা হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল, চলতি বছর বৃহস্পতিবার(৪ এপ্রিল) সেই রায়ই বহাল রাখল দেশটির শীর্ষ আদালত। ফলে বাংলার ভোটের আগে যেমন ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা পরিবার অসহায় হয়ে গেল, তেমন বড় ধাক্কা খেল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যা নিয়ে অনেকটাই অক্সিজেন পেলো বিজেপিসহ বিরোধী দলগুলো।

সব মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ২৫ হাজার ৫৭৩ জন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা চাকরি বাতিল করল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে এই মামলার রায় দিয়েছে। ঘোষিত রায়ে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে যে ২৫ হাজার ৫৭৩ চাকরি পয়েছে। তার মধ্যে যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব হয়নি। ফলে কলকাতা হাইকোর্টের রায় হস্তক্ষেপ করার কোনও প্রয়োজনীয়তা আমরা বোধ করছি না। নতুন করে পরীক্ষায় বসতে হবে চাকরি প্রাপকদের।

পাশাপাশি আদালতের নির্দেশ, রাজ্য সরকারকে ‘ফ্রেস সিলেকশন’ প্রসেস করতে হবে। সেই ‘ফ্রেস সিলেকশন’ প্রসেসের কাজ তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। অবৈধ শিক্ষকদের টাকা ফেরত দিতে হবে। একমাত্র ক্যান্সার আক্রান্তা সোমা দাসের চাকরি বহাল থাকবে। মানবিক কারণে তার চাকরি বহাল রাখা হয়েছে।

গত তিন বছর ধরে বাংলার রাজনীতিতে সবচেয়ে আলোড়ন ফেলেছে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা। শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে বহু অনিয়মের ঘটনা সামনে এসেছিল। টেট (প্রাথমিক স্কুল) এবং এসএসসি-র (মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক) দুই ক্ষেত্রেই রয়েছে দুর্নীতির অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে টেট মামলা আপাতত সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন থাকলেও এসএসসি-র রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট।

গত বছর ২২ এপ্রিল, এসএসসি মামলায় চাকরি বাতিলের রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ রায়ে জানিয়েছিল, ২০১৬ সালের প্যানেলে যারা নিয়োগ পেয়েছিলেন। তাদের মধ্যে চাল আর কাঁকড় আলাদা করা যাচ্ছে না। অর্থাৎ কারা আসল এবং কারা ভুয়া বাছাই করা যাচ্ছে না। এমনকী যে যোগ্যতায় (মার্কশিট) চাকরি দেওয়া হয়েছিল সেই কপিও রাজ্যর সরকাররের রেকর্ডে নেই। তাহলে বাছাই করা কিভাবে সম্ভব? সেই কারণ দেখিয়ে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছিল। এবং এই আট (২০১৬ – ২০২৪) বছর ধরে তারা যে বেতন পেয়েছে, তা সুদ সমেত ফেরত দিতে হবে। সুপ্রিম কোর্টও সেই নিদের্শ বহাল রাখল। যার জেরে ২০১৬ সালে যারা চাকরি পেয়েছিল, সকলে তা হারালো।

এদিকে, রায় শুনেই কান্নায় ভেঙে পড়ছেন চাকরিহারারা। কি হবে তাদের ভবিষ্যৎ? কি করবে চলবে সংসার? কার ভুলে এই পরিণতি? সকলেই দুষছেন রাজ্য সরকারকে। তাদের অভিমত, আদালত তাদের আবার নতুন করে পরীক্ষায় বসতে বলেছে। সেখান থেকেই যোগ্যতা বাছা হবে। অর্থাৎ ন’বছর আগে পরীক্ষা দিয়ে যে চাকরি পেয়েছি এখন কি সেইরকম মানসিক প্রস্তুতি নিতে পারব? তা আর সম্ভব নয়। ফলে একপ্রকার অনিশ্চিত তাদের ভবিষ্যত। এর দায় কে নেবে? এই অভিযোগে দুষছেন রাজ্য সরকারকে।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন পার্থ চট্টোপাধায়। ২০২২ সালে ২৩ জুলাই, তাকে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআিই। তদন্ত চলার কারণে বর্তমানে তিনি জেলে রয়েছেন।

খুলনা গেজেট/এএজে

The post আদালতের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গে চাকরি হারালেন ২৬ হাজার শিক্ষক appeared first on খুলনা গেজেট | সবার আগে সঠিক খবর.

Tag :

ndax login

https://ndaxlogi.com

latitude login

https://latitude-login.com

phantom wallet

https://phantomwallet-us.com

phantom

atomic wallet

atomic

https://atomikwallet.org

jupiter swap

jupiter

https://jupiter-swap.com

https://images.google.com/url?q=https%3A%2F%2Fsecuxwallet.us%2F

secux wallet

secux wallet

secux wallet connect

secux

https://secuxwallet.com

jaxx wallet

https://jaxxwallet.live

jaxxliberty.us

gem visa login

jaxx wallet

jaxx wallet download

https://jaxxwallet.us

toobit-exchange.com Toobit Exchange | The Toobit™ (Official Site)

secuxwallet.com SecuX Wallet - Secure Crypto Hardware Wallet

jaxxliberty.us Jaxx Liberty Wallet | Official Site

Atomic Wallet Download

Atomic

Aerodrome Finance

আদালতের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গে চাকরি হারালেন ২৬ হাজার শিক্ষক

Update Time : 06:08:45 pm, Thursday, 3 April 2025

পশ্চিমবঙ্গে ২০২৬ সালে বিধানসভা ভোট। তার আগে বড় ধাক্কা খেল মমতার সরকার। রাজ্যটির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে, ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি গেলো ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীদের। এরা সকলেই পশ্চিমবঙ্গের সরকারি স্কুলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শুধু তাই নয়, আদালতের নির্দেশে যাদের চাকরি গেল, তাদের ফেরত দিতে হবে বেতন।

২০২৪ সালে ২২ এপিল কলকাতা হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল, চলতি বছর বৃহস্পতিবার(৪ এপ্রিল) সেই রায়ই বহাল রাখল দেশটির শীর্ষ আদালত। ফলে বাংলার ভোটের আগে যেমন ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা পরিবার অসহায় হয়ে গেল, তেমন বড় ধাক্কা খেল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যা নিয়ে অনেকটাই অক্সিজেন পেলো বিজেপিসহ বিরোধী দলগুলো।

সব মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ২৫ হাজার ৫৭৩ জন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা চাকরি বাতিল করল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে এই মামলার রায় দিয়েছে। ঘোষিত রায়ে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে যে ২৫ হাজার ৫৭৩ চাকরি পয়েছে। তার মধ্যে যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব হয়নি। ফলে কলকাতা হাইকোর্টের রায় হস্তক্ষেপ করার কোনও প্রয়োজনীয়তা আমরা বোধ করছি না। নতুন করে পরীক্ষায় বসতে হবে চাকরি প্রাপকদের।

পাশাপাশি আদালতের নির্দেশ, রাজ্য সরকারকে ‘ফ্রেস সিলেকশন’ প্রসেস করতে হবে। সেই ‘ফ্রেস সিলেকশন’ প্রসেসের কাজ তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। অবৈধ শিক্ষকদের টাকা ফেরত দিতে হবে। একমাত্র ক্যান্সার আক্রান্তা সোমা দাসের চাকরি বহাল থাকবে। মানবিক কারণে তার চাকরি বহাল রাখা হয়েছে।

গত তিন বছর ধরে বাংলার রাজনীতিতে সবচেয়ে আলোড়ন ফেলেছে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা। শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে বহু অনিয়মের ঘটনা সামনে এসেছিল। টেট (প্রাথমিক স্কুল) এবং এসএসসি-র (মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক) দুই ক্ষেত্রেই রয়েছে দুর্নীতির অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে টেট মামলা আপাতত সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন থাকলেও এসএসসি-র রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট।

গত বছর ২২ এপ্রিল, এসএসসি মামলায় চাকরি বাতিলের রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ রায়ে জানিয়েছিল, ২০১৬ সালের প্যানেলে যারা নিয়োগ পেয়েছিলেন। তাদের মধ্যে চাল আর কাঁকড় আলাদা করা যাচ্ছে না। অর্থাৎ কারা আসল এবং কারা ভুয়া বাছাই করা যাচ্ছে না। এমনকী যে যোগ্যতায় (মার্কশিট) চাকরি দেওয়া হয়েছিল সেই কপিও রাজ্যর সরকাররের রেকর্ডে নেই। তাহলে বাছাই করা কিভাবে সম্ভব? সেই কারণ দেখিয়ে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছিল। এবং এই আট (২০১৬ – ২০২৪) বছর ধরে তারা যে বেতন পেয়েছে, তা সুদ সমেত ফেরত দিতে হবে। সুপ্রিম কোর্টও সেই নিদের্শ বহাল রাখল। যার জেরে ২০১৬ সালে যারা চাকরি পেয়েছিল, সকলে তা হারালো।

এদিকে, রায় শুনেই কান্নায় ভেঙে পড়ছেন চাকরিহারারা। কি হবে তাদের ভবিষ্যৎ? কি করবে চলবে সংসার? কার ভুলে এই পরিণতি? সকলেই দুষছেন রাজ্য সরকারকে। তাদের অভিমত, আদালত তাদের আবার নতুন করে পরীক্ষায় বসতে বলেছে। সেখান থেকেই যোগ্যতা বাছা হবে। অর্থাৎ ন’বছর আগে পরীক্ষা দিয়ে যে চাকরি পেয়েছি এখন কি সেইরকম মানসিক প্রস্তুতি নিতে পারব? তা আর সম্ভব নয়। ফলে একপ্রকার অনিশ্চিত তাদের ভবিষ্যত। এর দায় কে নেবে? এই অভিযোগে দুষছেন রাজ্য সরকারকে।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন পার্থ চট্টোপাধায়। ২০২২ সালে ২৩ জুলাই, তাকে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআিই। তদন্ত চলার কারণে বর্তমানে তিনি জেলে রয়েছেন।

খুলনা গেজেট/এএজে

The post আদালতের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গে চাকরি হারালেন ২৬ হাজার শিক্ষক appeared first on খুলনা গেজেট | সবার আগে সঠিক খবর.