
স্থানীয়রা জানান, গোয়ালে কয়েল (ধোঁয়া) দেওয়ার পর থেকে হঠাৎ করেই আগুনের সৃষ্টি হয়।আগুনের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় গরুর গোয়াল সংলগ্ন বাড়ির গেট হওয়ায় গবাদি পশু ও আসবাবপত্র বাহির করা সম্ভব হয়নি। গৃহস্থ জিয়ারুল ইসলাম অনেক পরিশ্রম করে জমি চাষ,গবাদিপশু পালন করেন।সে বিরামপুর উপজেলার জোতবানী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের জোতবানি কোচ পাড়া গ্রামের মৃত জফর উদ্দিনের ছেলে।সে তার বৃদ্ধ মা,স্ত্রী ও ৪ মেয়ের মধ্যে ১ মেয়ের বিয়ে দেওয়ায় ৩ মেয়েসহ ৬ জন বাড়িতে ছিলেন।
বিরামপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল স্টেশনের গাড়ি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হতে অনেক সময় লাগায় স্থানীয়রা পুকুর থেকে পানি বালতিতে করে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। সাড়িবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে হাতে হাতে বালতিতে করে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যায় স্থানীয়রা। পরবর্তীতে বিরামপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল স্টেশনের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তাদের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
বিরামপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল স্টেশনের কর্মকর্তা আঃ আজিজ এর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, ফোন পাওয়া মাত্রই আমাদের ৬ জন সদস্য বিশিষ্ট একটি ইউনিট সেখানে পৌঁছায়। প্রায় ১ ঘন্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এঘটনায় ৩ টি ছাগল আগুনে পুড়ে মারা যাওয়াসহ প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আর দেড় লক্ষাধিক টাকার মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।