3:21 am, Saturday, 12 April 2025
Aniversary Banner Desktop

ল্যাটিন-ইউরোপ থেকে হামজা, বাঙালির অনন্য ফুটবলীয় প্রেম

লাল-সবুজের বাংলাদেশ। পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধের এই ব-দ্বীপে ফুটবলের প্রতি যে ভালোবাসা, তা বুঝতে রকেট সায়েন্স জানার খুব একটা প্রয়োজন পড়ে না। এখানে দৃশ্যমান রয়েছে ফুটবলীয় আবেগ, বিশ্বকাপ এলেই যার প্রতিফলন দেখা যায় রাস্তায় প্রতিটি দেয়ালে কিংবা মুক্ত আকাশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা বড় কোনো গাছের মগডালে পতপত করে উড়তে থাকা ফুটবল বিশ্বের জায়ান্ট দেশগুলোর পতাকা। এখানে এলে যে কেউ বুঝে যাবে ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা কাকে বলে। শোনা যাবে হাজার কিলোমিটার দূরের ল্যাটিন আমেরিকা কিংবা ইউরোপের কোনো দেশের সঙ্গে এদেশের মানুষের সফল প্রেমের গল্প।

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা কিংবা জার্মানি-স্পেন, রোনালদো কিংবা মেসি নিয়ে বন্ধু মহলে তর্কের প্রতিযোগিতা। যে যাকে ভালোবাসে সে তাকে মন উজাড় করেই বাসে, যেখানে থাকে না কোনো শর্ত। তাইতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে ‘ভামোস আর্জেন্টিনা’, ‘গ্রান্দে ব্রাজিল’ চিৎকার যখন পৌঁছে যায় বুয়েন্স এইরেস হয়ে সাও পাওলোতে।

স্বভাবতই প্রশ্ন প্রশ্ন ওঠে, এদেশের পাগল ফুটবল ভক্তরা কতটা উচ্ছাসে মাতবে, যদি লাল সবুজের পতাকা কোনোদিন ওড়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে? বাঁধভাঙা উল্লাসে তারা আর কী কী করবে যদি সত্যিই এমন দিন আসে— প্রশ্ন থেকেই যায়।

ভবিষ্যতের সেসব অনিশ্চয়তা তোলা থাক ভাগ্য বিধাতার পান্ডুলিপিতে। এই ব-দ্বীপের মুখ ফেরানো ফুটবলে নব জোয়ার নিয়ে এবার এলো হামজা চৌধুরী।

হামজাকে ঘিরে উচ্ছ্বাসটাই একবার দেখুন না। খুব দৃঢ়চিত্তে পর্যবেক্ষণ করতে হবে না, আপনার স্বভাবসূলভ দৃষ্টিতেই হয়ত দেখেছেন শত শত ক্যামেরার লেন্সের কী দীর্ঘ অপেক্ষা, হামজার মুখের হাসিটা একবার দেখবে বলে।এ প্রেম কি শুধু হামজার সাথে ক্যামেরার নাকি ফুটবলের সাথে এদেশের মানুষের?

গত অক্টোবরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটা পেজ খুলেছিলেন হামজা চৌধুরী। যেখানে খুব বেশি নিয়মিত নন তিনি। তবে পেইজের বয়স এখনও ছয় মাস না পেরোলেও, সেখানে হামজার অনুসারির সংখ্যা এরই মধ্যে পেরিয়েছে ১ মিলিয়ন। আর এই মাইলফলক ছুঁয়ে ভক্ত সমর্থকদের উদ্দ্যেশে কৃতজ্ঞতা-ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইংলিশ ফুটবলের গালিচায় দীর্ঘ এক যুগ কাটিয়ে দেয়া এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।

হামজার জন্য অপেক্ষা আর ভালোবাসাতো আগেই ছিলো। তবে সেটা বহুগুনে বেড়েছে গেলো চলতি বছরের স্বাধীনতা দিবসের ঠিক আগের দিন। ২৫ মার্চ, দেশের জার্সি গায়ে জড়িয়ে শিলংয়ে যেদিন হামজা গেয়েছেন, আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।

দেশের মানুষ তো সেদিনই তাকে সত্যিকারের আপন করে নিয়েছেন। হামজার ফুটবল এদেশের মানুষের জন্য প্রতিপক্ষকে হারাতে পারুক আর না পারুক, ফুটবলের প্রতি এদেশের মানুষের প্রেম এক অন্য উচ্চতায়, সেই প্রেম যেন ফিকে করে দেয় রোমিও-জুলিয়েট কাব্যগাঁথাকেও।

The post ল্যাটিন-ইউরোপ থেকে হামজা, বাঙালির অনন্য ফুটবলীয় প্রেম appeared first on Bangladesher Khela.

Tag :

ndax login

https://ndaxlogi.com

latitude login

https://latitude-login.com

phantom wallet

https://phantomwallet-us.com

phantom

atomic wallet

atomic

https://atomikwallet.org

jupiter swap

jupiter

https://jupiter-swap.com

https://images.google.com/url?q=https%3A%2F%2Fsecuxwallet.us%2F

secux wallet

secux wallet

secux wallet connect

secux

https://secuxwallet.com

jaxx wallet

https://jaxxwallet.live

jaxxliberty.us

gem visa login

jaxx wallet

jaxx wallet download

https://jaxxwallet.us

toobit-exchange.com Toobit Exchange | The Toobit™ (Official Site)

secuxwallet.com SecuX Wallet - Secure Crypto Hardware Wallet

jaxxliberty.us Jaxx Liberty Wallet | Official Site

Atomic Wallet Download

Atomic

Aerodrome Finance

ল্যাটিন-ইউরোপ থেকে হামজা, বাঙালির অনন্য ফুটবলীয় প্রেম

Update Time : 08:08:59 pm, Saturday, 5 April 2025

লাল-সবুজের বাংলাদেশ। পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধের এই ব-দ্বীপে ফুটবলের প্রতি যে ভালোবাসা, তা বুঝতে রকেট সায়েন্স জানার খুব একটা প্রয়োজন পড়ে না। এখানে দৃশ্যমান রয়েছে ফুটবলীয় আবেগ, বিশ্বকাপ এলেই যার প্রতিফলন দেখা যায় রাস্তায় প্রতিটি দেয়ালে কিংবা মুক্ত আকাশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা বড় কোনো গাছের মগডালে পতপত করে উড়তে থাকা ফুটবল বিশ্বের জায়ান্ট দেশগুলোর পতাকা। এখানে এলে যে কেউ বুঝে যাবে ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা কাকে বলে। শোনা যাবে হাজার কিলোমিটার দূরের ল্যাটিন আমেরিকা কিংবা ইউরোপের কোনো দেশের সঙ্গে এদেশের মানুষের সফল প্রেমের গল্প।

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা কিংবা জার্মানি-স্পেন, রোনালদো কিংবা মেসি নিয়ে বন্ধু মহলে তর্কের প্রতিযোগিতা। যে যাকে ভালোবাসে সে তাকে মন উজাড় করেই বাসে, যেখানে থাকে না কোনো শর্ত। তাইতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে ‘ভামোস আর্জেন্টিনা’, ‘গ্রান্দে ব্রাজিল’ চিৎকার যখন পৌঁছে যায় বুয়েন্স এইরেস হয়ে সাও পাওলোতে।

স্বভাবতই প্রশ্ন প্রশ্ন ওঠে, এদেশের পাগল ফুটবল ভক্তরা কতটা উচ্ছাসে মাতবে, যদি লাল সবুজের পতাকা কোনোদিন ওড়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে? বাঁধভাঙা উল্লাসে তারা আর কী কী করবে যদি সত্যিই এমন দিন আসে— প্রশ্ন থেকেই যায়।

ভবিষ্যতের সেসব অনিশ্চয়তা তোলা থাক ভাগ্য বিধাতার পান্ডুলিপিতে। এই ব-দ্বীপের মুখ ফেরানো ফুটবলে নব জোয়ার নিয়ে এবার এলো হামজা চৌধুরী।

হামজাকে ঘিরে উচ্ছ্বাসটাই একবার দেখুন না। খুব দৃঢ়চিত্তে পর্যবেক্ষণ করতে হবে না, আপনার স্বভাবসূলভ দৃষ্টিতেই হয়ত দেখেছেন শত শত ক্যামেরার লেন্সের কী দীর্ঘ অপেক্ষা, হামজার মুখের হাসিটা একবার দেখবে বলে।এ প্রেম কি শুধু হামজার সাথে ক্যামেরার নাকি ফুটবলের সাথে এদেশের মানুষের?

গত অক্টোবরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটা পেজ খুলেছিলেন হামজা চৌধুরী। যেখানে খুব বেশি নিয়মিত নন তিনি। তবে পেইজের বয়স এখনও ছয় মাস না পেরোলেও, সেখানে হামজার অনুসারির সংখ্যা এরই মধ্যে পেরিয়েছে ১ মিলিয়ন। আর এই মাইলফলক ছুঁয়ে ভক্ত সমর্থকদের উদ্দ্যেশে কৃতজ্ঞতা-ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইংলিশ ফুটবলের গালিচায় দীর্ঘ এক যুগ কাটিয়ে দেয়া এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।

হামজার জন্য অপেক্ষা আর ভালোবাসাতো আগেই ছিলো। তবে সেটা বহুগুনে বেড়েছে গেলো চলতি বছরের স্বাধীনতা দিবসের ঠিক আগের দিন। ২৫ মার্চ, দেশের জার্সি গায়ে জড়িয়ে শিলংয়ে যেদিন হামজা গেয়েছেন, আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।

দেশের মানুষ তো সেদিনই তাকে সত্যিকারের আপন করে নিয়েছেন। হামজার ফুটবল এদেশের মানুষের জন্য প্রতিপক্ষকে হারাতে পারুক আর না পারুক, ফুটবলের প্রতি এদেশের মানুষের প্রেম এক অন্য উচ্চতায়, সেই প্রেম যেন ফিকে করে দেয় রোমিও-জুলিয়েট কাব্যগাঁথাকেও।

The post ল্যাটিন-ইউরোপ থেকে হামজা, বাঙালির অনন্য ফুটবলীয় প্রেম appeared first on Bangladesher Khela.