6:43 am, Friday, 11 April 2025
Aniversary Banner Desktop

১৮ ভরি সোনা পেয়েও ফিরিয়ে দিলেন সিএনজিচালক খায়রুল

বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ায় ১৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ১৫ হাজার টাকা পেয়ে ফিরিয়ে দিলেন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক কলেজছাত্র খায়রুল ইসলাম।

ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার রাত ১২টায় বগুড়া সদর থানায়। বগুড়া সদর থানার ওসি এসএম মঈনুদ্দীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রকৃত মালিক শাহিনের হাতে সোনার ব্যাগটি তুলে দেয়া হয়েছে।

শুধু তাই নয়, ব্যাগে থাকা ১৮ ভরি সোনা ও ১৫ হাজার টাকা সম্পূর্ণ অক্ষত ছিল। সততা ও মানবিকতায় এমন উদাহরণ সৃষ্টিতে প্রশংসায় ভাসছেন সিএনজিচালক খায়রুল ইসলাম।

জানা গেছে, ঈদের দুই আগে ২৯ মার্চ পাবনার ফরিদপুর উপজেলার গোপালনগরের উত্তর গোপালনগর এলাকার শফিউর রহমানের ছেলে জুয়েলারি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শাহিন ব্যবসার কাজে বগুড়ায় আসেন।

এরপর তিনি বগুড়া শহরের নিউমার্কেট থেকে ২৫ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ১৮ ভরি সোনার বিভিন্ন গয়না কেনেন। সেই গয়না ও নগদ ১৫ হাজার টাকা একটি কালো ব্যাগে রেখে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠেন।

অটোরিকশাটি বনানী এলাকায় পৌঁছা মাত্র হঠাৎ পাবনার ‘নবীন বরণ’ লেখা একটি বাস দেখে তাড়াহুড়ো করে তাতে উঠে পড়েন শাহিন। কিন্তু অটোরিকশায় রয়ে যায় তার সেই কালো ব্যাগটি। পরে শাজাহানপুরে ইফতারের বিরতিতে বিষয়টি বুঝতে পারেন তার সোনাভর্তি ব্যাগটি তিনি অটোরিকশায় ফেলে এসেছেন।

তখন তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েন। এরপর তৎক্ষণাৎ তিনি বাস থেকে নেমে পড়েন এবং শাহজাহানপুর ও বগুড়া সদর থানার ওসিকে বিষয়টি জানান।

পুলিশের পরামর্শে তিনি শাজাহানপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। সেইসঙ্গে তিনি কয়েকদিন ধরে সাতমাথায় ওই সিএনজিচালককে হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকেন। কিন্তু তার দেখা না পেয়ে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।

এদিকে ওই সিএনজিচালক খাইরুল ইসলাম বলেন, তার গাড়িতে পাওয়া ব্যাগটি তিনি না খুলে ওই যাত্রীর সন্ধান করতে থাকেন। কিন্তু তাকে কোথাও না পেয়ে তিনি ব্যাগসহ নিজ বাড়ি শাজাহানপুর উপজেলার বেতগাড়ি হাজীপাড়ায় যান এবং তার মাকে সব খুলে বলেন।

এক পর্যায়ে ব্যাগের মালিককে না পেয়ে তিনি সদর থানার ওসি এসএম মইনুদ্দিনের কাছে যান এবং ব্যাগটি থানায় জমা দেন।

পরে পুলিশ জিডির সূত্র ধরে ব্যাগের প্রকৃত মালিক জুয়েলারি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শাহিনকে গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে থানায় ডেকে আনেন।

সেখানে তার ব্যাগ পাওয়ার খবরটি দেয়া হয়। এসময় সদর থানায় ওসির কক্ষে সিএনজিচালক তার যাত্রী শাহিনকে চিনতে পারেন। পরে সাংবাদিকসহ উপস্থিত লোকজনের সামনে কালো রঙের ব্যাগটি খুলে ১৮ ভরি বিভিন্ন ধরনের সোনার গহনা ও নগদ ১৫ হাজার টাকা বের করে পুলিশ।

একপর্যায়ে সিএনজিচালক খাইরুল ইসলামের হাত দিয়ে প্রকৃত মালিককে ব্যাগ বুঝিয়ে দেন ওসি মইনুদ্দিন।

জুয়েলারি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শাহিন বলেন, খাইরুল সততার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি তাকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দিতে চান।

কিন্তু পুরস্কারের টাকা নিতে অনীহা প্রকাশ করে খাইরুল বলেন, ব্যাগে থাকা সোনা ও টাকা তাকে ফিরিয়ে দিতে পেরে দায়মুক্ত হয়েছি।

সারা জীবন সৎ থাকতে হবে, যা পরকালে জন্য ভালো হবে। মায়ের অনুপ্রেরণায় তিনি সোনার গহনা ও টাকাগুলো ফেরত দিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছেন বলেন জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি এসএম মইনুদ্দিন বলেন, এ যুগেও যে হাজারো মানুষের ভিড়ে সৎ মানুষ আছে তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ সিএনজিচালক খাইরুল ইসলাম। এমন সততার জন্য আমি তাকে স্যালুট জানাই।

The post ১৮ ভরি সোনা পেয়েও ফিরিয়ে দিলেন সিএনজিচালক খায়রুল appeared first on সোনালী সংবাদ.

Tag :

ndax login

https://ndaxlogi.com

latitude login

https://latitude-login.com

phantom wallet

https://phantomwallet-us.com

phantom

atomic wallet

atomic

https://atomikwallet.org

jupiter swap

jupiter

https://jupiter-swap.com

https://images.google.com/url?q=https%3A%2F%2Fsecuxwallet.us%2F

secux wallet

secux wallet

secux wallet connect

secux

https://secuxwallet.com

jaxx wallet

https://jaxxwallet.live

jaxxliberty.us

gem visa login

jaxx wallet

jaxx wallet download

https://jaxxwallet.us

toobit-exchange.com Toobit Exchange | The Toobit™ (Official Site)

secuxwallet.com SecuX Wallet - Secure Crypto Hardware Wallet

jaxxliberty.us Jaxx Liberty Wallet | Official Site

Atomic Wallet Download

Atomic

Aerodrome Finance

১৮ ভরি সোনা পেয়েও ফিরিয়ে দিলেন সিএনজিচালক খায়রুল

Update Time : 10:10:04 pm, Saturday, 5 April 2025

বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ায় ১৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ১৫ হাজার টাকা পেয়ে ফিরিয়ে দিলেন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক কলেজছাত্র খায়রুল ইসলাম।

ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার রাত ১২টায় বগুড়া সদর থানায়। বগুড়া সদর থানার ওসি এসএম মঈনুদ্দীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রকৃত মালিক শাহিনের হাতে সোনার ব্যাগটি তুলে দেয়া হয়েছে।

শুধু তাই নয়, ব্যাগে থাকা ১৮ ভরি সোনা ও ১৫ হাজার টাকা সম্পূর্ণ অক্ষত ছিল। সততা ও মানবিকতায় এমন উদাহরণ সৃষ্টিতে প্রশংসায় ভাসছেন সিএনজিচালক খায়রুল ইসলাম।

জানা গেছে, ঈদের দুই আগে ২৯ মার্চ পাবনার ফরিদপুর উপজেলার গোপালনগরের উত্তর গোপালনগর এলাকার শফিউর রহমানের ছেলে জুয়েলারি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শাহিন ব্যবসার কাজে বগুড়ায় আসেন।

এরপর তিনি বগুড়া শহরের নিউমার্কেট থেকে ২৫ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ১৮ ভরি সোনার বিভিন্ন গয়না কেনেন। সেই গয়না ও নগদ ১৫ হাজার টাকা একটি কালো ব্যাগে রেখে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠেন।

অটোরিকশাটি বনানী এলাকায় পৌঁছা মাত্র হঠাৎ পাবনার ‘নবীন বরণ’ লেখা একটি বাস দেখে তাড়াহুড়ো করে তাতে উঠে পড়েন শাহিন। কিন্তু অটোরিকশায় রয়ে যায় তার সেই কালো ব্যাগটি। পরে শাজাহানপুরে ইফতারের বিরতিতে বিষয়টি বুঝতে পারেন তার সোনাভর্তি ব্যাগটি তিনি অটোরিকশায় ফেলে এসেছেন।

তখন তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েন। এরপর তৎক্ষণাৎ তিনি বাস থেকে নেমে পড়েন এবং শাহজাহানপুর ও বগুড়া সদর থানার ওসিকে বিষয়টি জানান।

পুলিশের পরামর্শে তিনি শাজাহানপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। সেইসঙ্গে তিনি কয়েকদিন ধরে সাতমাথায় ওই সিএনজিচালককে হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকেন। কিন্তু তার দেখা না পেয়ে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।

এদিকে ওই সিএনজিচালক খাইরুল ইসলাম বলেন, তার গাড়িতে পাওয়া ব্যাগটি তিনি না খুলে ওই যাত্রীর সন্ধান করতে থাকেন। কিন্তু তাকে কোথাও না পেয়ে তিনি ব্যাগসহ নিজ বাড়ি শাজাহানপুর উপজেলার বেতগাড়ি হাজীপাড়ায় যান এবং তার মাকে সব খুলে বলেন।

এক পর্যায়ে ব্যাগের মালিককে না পেয়ে তিনি সদর থানার ওসি এসএম মইনুদ্দিনের কাছে যান এবং ব্যাগটি থানায় জমা দেন।

পরে পুলিশ জিডির সূত্র ধরে ব্যাগের প্রকৃত মালিক জুয়েলারি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শাহিনকে গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে থানায় ডেকে আনেন।

সেখানে তার ব্যাগ পাওয়ার খবরটি দেয়া হয়। এসময় সদর থানায় ওসির কক্ষে সিএনজিচালক তার যাত্রী শাহিনকে চিনতে পারেন। পরে সাংবাদিকসহ উপস্থিত লোকজনের সামনে কালো রঙের ব্যাগটি খুলে ১৮ ভরি বিভিন্ন ধরনের সোনার গহনা ও নগদ ১৫ হাজার টাকা বের করে পুলিশ।

একপর্যায়ে সিএনজিচালক খাইরুল ইসলামের হাত দিয়ে প্রকৃত মালিককে ব্যাগ বুঝিয়ে দেন ওসি মইনুদ্দিন।

জুয়েলারি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শাহিন বলেন, খাইরুল সততার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি তাকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দিতে চান।

কিন্তু পুরস্কারের টাকা নিতে অনীহা প্রকাশ করে খাইরুল বলেন, ব্যাগে থাকা সোনা ও টাকা তাকে ফিরিয়ে দিতে পেরে দায়মুক্ত হয়েছি।

সারা জীবন সৎ থাকতে হবে, যা পরকালে জন্য ভালো হবে। মায়ের অনুপ্রেরণায় তিনি সোনার গহনা ও টাকাগুলো ফেরত দিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছেন বলেন জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি এসএম মইনুদ্দিন বলেন, এ যুগেও যে হাজারো মানুষের ভিড়ে সৎ মানুষ আছে তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ সিএনজিচালক খাইরুল ইসলাম। এমন সততার জন্য আমি তাকে স্যালুট জানাই।

The post ১৮ ভরি সোনা পেয়েও ফিরিয়ে দিলেন সিএনজিচালক খায়রুল appeared first on সোনালী সংবাদ.