
জানা যায়, বদরগঞ্জ পৌরশহরের শহীদ মিনার এলাকায় জনৈক ইসতিয়াক বাবুর কাছ থেকে চুক্তিপত্রের ভিত্তিতে একটি দোকানঘর ভাড়া নিয়েছিলেন জাহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। চুক্তিপত্রের মেয়াদ শেষে না হলেও অজ্ঞাত কারণে তাকে দোকানঘরটি ছেড়ে দিতে বলা হয়। কিন্তু তিনি দোকানঘর ছেড়ে না দেওয়ায় মালিকপক্ষ ক্ষুব্ধ হয়ে ভাড়াটিয়ার দোকান ভাংচুর করে তাকে বের করে দেয়। এনিয়ে গতকাল শনিবার জাহিদুল ইসলাম তার ভাড়া নেওয়া দোকানঘর ভাংচুরের অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একটি মানববন্ধনের আয়োজন করেন। কিন্তু মানববন্ধন শুরু হওয়ার আগেই দোকান মালিকপক্ষ ইসতিয়াক বাবু পক্ষ নিয়ে অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত প্রায় ৩শতাধিক লোকজন নিয়ে এসে মানববন্ধনের ব্যানার ফিস্টুন ও প্রচার মাইক ভেঙ্গে দেওয়ায় মানববন্ধনের আয়োজন ভেস্তে যায়। এর কিছুক্ষণ পর ভাড়াটিয়াপক্ষ জাহিদুল একই পরিমান লোকজন নিয়ে এলে তাদের দুইপক্ষের মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। ওই রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। আহতরা হলেন ইটভাটার মালিক আলহাজ¦ লাভলু মিয়া (৫৫) শফিকুল ইসলাম (৪৫) মোন্নাফ মিয়া (৫৫) ময়নাল হোসেন (৩৬) তাতক্ষণিক আহতদের উদ্ধার করে চিকিতসার জন্য উপজেলা স্বস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে লাভলু মিয়া ও শফিকুল ইসলামের শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক বলে হাসপাতাল জানা গেছে।
এদিকে ঘটনার সময় সাংবাদিকরা বদরগঞ্জ প্রেস ক্লাবের বারান্দায় নিরাপদ স্থানে অবস্থান নিলে সংঘর্ষকারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে সেখানে গিয়ে মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের সাংবাদিক ফুয়াদ আলী, গ্লোবাল টেলিভিশনের সাংবাদিক নুরুন্নবী নুরু, দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার বদরগঞ্জ প্রতিনিধি মেজবাউল কবির সবুজ, সাংবাদিক আতিক, বৈশাখী টিভির ক্যামেরা পার্সোন মুকুল, এশিয়ান টেলিভিশনের ক্যামেরা পার্সোন সুমন মিয়া এবং নিউজ টোয়েন্ট ফোরের ক্যামেরা পার্সোন ফারুককে ছবি তোলার অপরাধে মারধর করে এবং তাদের বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। তাতক্ষণিক আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে লাভলু মিয়া ও শফিকুল ইসলামের শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক বলে হাসপাতাল জানা গেছে।
বদরগঞ্জ থানার ওসি একেএম আতিকুর রহমান বলেন, ঘটনাটি শোনার পর উত্তপ্ত পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য শহরের বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। আপাতত পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত রয়েছে।