5:01 pm, Saturday, 12 April 2025
Aniversary Banner Desktop

ঈদ রাজনীতি : তৎপর ছিলেন খুলনার সংসদ সদস্য প্রার্থীরা

নির্বাচনের সময় নিয়ে সন্দেহ সংশয় থাকলেও ঈদকে কেন্দ্র করে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। খুলনার ৬টি সংসদীয় আসনে আগাম প্রচারণা ও গণসংযোগে এগিয়ে ছিলেন জামায়াত নেতারা। ঈদে প্রতিটি আসনেই তাদের সম্ভাব্য প্রার্থী ও নেতাকর্মীরা সক্রিয় ছিলেন। বিএনপির সব কর্মসূচি ছিল খুলনা-৩ ও ৪ আসনকে কেন্দ্র করে। কয়েকটি আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা ঈদে এলাকায় যাননি। নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি প্রার্থীদের তৎপরতাও চোখে পড়েনি। তবে দলটির সংগঠকরা ওয়ার্ড পর্যায়ে বেশ কিছু পরিচিতি সভা করেছেন।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে খুলনার ৬টি আসনে ৫৩ প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। এর বেশিরভাগই ছিলেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা। এর বাইরে জাতীয় পার্টিসহ নামসর্বস্ব কয়েকটি দলের নেতারা প্রার্থী হন। তাদের কেউই এবার মাঠে নেই। ওই নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি, জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের নেতারা এবার নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি খুলনার ৬টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করে জামায়াত। রমজান ও ঈদের পুরোটা সময়ই প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা এলাকায় তৎপর ছিলেন। কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা না আসায় বিএনপির সব নেতা এলাকায় সক্রিয় ছিলেন না। খুলনা-২ ও ৬ আসনে বিএনপির বর্তমান কমিটির কাউকে প্রচারণায় দেখা যায়নি। এলাকায় তাদের পক্ষে ঈদ শুভেচ্ছার পোস্টার ফেস্টুনও ছিল না।

ঈদের দ্বিতীয় দিন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমেদের পক্ষে মটর সাইকেল শোভাযাত্রা বের হয়। অন্য প্রার্থীদের তৎপরতা ছিল কম।
হিন্দু সম্প্রদায় অধ্যুষিত খুলনা-১ আসনে বিগত সব নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতারা জয়ী হন। এই আসনে বিগত নির্বাচনে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আমির এজাজ খান তৎপর রয়েছেন। নানান বিতর্কে আহ্বায়ক পদ হারিয়ে তিনি কিছুটা চাপে থাকলেও ঈদ কেন্দ্রিক নির্বাচনী প্রচারে সক্রিয় ছিলেন তিনি।

আসনটিতে নতুন করে তৎপর হয়েছেন সাবেক ছাত্রদল নেতা জিয়াউর রহমান পাপুল। এই আসনে বটিয়াঘাটা উপজেলা আমির শেখ আবু ইউসুফকে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন জামায়াত। তিনি এলাকায় সক্রিয় ছিলেন। খুলনা-১ আসনে এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ভীম্পাল্লি ডেভিড রাজু প্রার্থী হবেন শোনা গেলেও ঈদে তিনি এলাকায় যাননি। নির্বাচনী এলাকায় তার তৎপরতাও চোখে পড়েনি।

বিগত দিনে খুলনা-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। পদ হারিয়ে তিনিও বর্তমানে চাপে রয়েছেন। রমজান ও ঈদের পুরোটা সময় নির্বাচনী এলাকায় সক্রিয় তিনি। এই আসনে বিএনপির সাবেক এমপি আলী আজগর লবী রমজানে ইফতার এবং ঈদে পোশাক ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। ঈদে তিনি এলাকায় যাননি। আসনটিতে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে অন্য কাউকে প্রচার চালাতে দেখা যায়নি। কারও শুভেচ্ছা পোস্টার ফেস্টুনও চোখে পড়েনি।

তবে এই কাজে এগিয়ে রয়েছে জামায়াতের প্রার্থী শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল। নগরীর প্রধান সড়ক থেকে অলিগলিতে ঈদ শুভেচ্ছার ফেস্টুন দেখা যাচ্ছে। ঈদের দিন ও পরদিন বিভিন্ন মসজিদে তার পক্ষে ঈদ শুভেচ্ছার লিফলেট বিতরণ করা হয়। এলাকায় সক্রিয় রয়েছেন তিনি।

খুলনা-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রীয় ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুলের প্রার্থীতা অনেকটা চূড়ান্ত বলে মনে করেন নেতারা। রোজা ও ঈদে নির্বাচনে এলাকায় সক্রিয় রয়েছেন বকুল। তার পক্ষে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠরে নেতারা ইফতার, খাদ্য সামগ্রী ও পোশাক বিতরণ করেছেন। ঈদের আগ থেকেই বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও শুভেচ্ছা বিনিময়ে ব্যস্ত সময় কাটছে তার।

এই আসনে জামায়াতের প্রার্থী মহানগর আমির মাহফুজুর রহমান। তিনিও গণসংযোগ, মতবিনিময়, পথসভার মাধ্যমে নির্বাচনী এলাকায় সক্রিয় রয়েছেন।
খুলনা-৪ আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আজিজুল বারী হেলালকে একক প্রার্থী হিসেবে দেখছেন নেতাকর্মীরা। রমজানের শুরু থেকে তার পক্ষে ইফতার বিতরণ, উপজেলা ও ইউনিয়নে সভা-সমাবেশ হচ্ছে। ওমরাহ পালনে এবারের ঈদে তিনি সৌদি আরবে ছিলেন। গত ৩ এপ্রিল দেশে ফিরেই এলাকায় প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা কবিরুল ইসলাম এলাকায় প্রচার-প্রচারণা অংশ নিচ্ছেন। তার পক্ষে এলাকায় ঈদ শুভেচ্ছার পোস্টার ফেস্টুন দেখা যাচ্ছে।
খুলনা-৫ আসনে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার অনেক আগেই নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। তিনি এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। ঈদের আগে থেকেই এলাকায় গণসংযোগ করছেন তিনি। আসনটিতে প্রার্থী হতে প্রচার চালাচ্ছেন জেলা যুবদলের সভাপতি ইবাদুল হক রুবায়েত। তিনি এলাকায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।

খুলনা-৬ আসনেও বিএনপির একক কোনো প্রার্থীর তৎপরতা নেই। আসনটিতে প্রচারণায় এগিয়ে জামায়াতের খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। এলাকায় অন্য কারও পোস্টার-ফেস্টুনও চোখে পড়েনি। সম্প্রতি জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম কাগজী সক্রিয় হয়েছেন।

খুলনা জেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মন্টু বলেন, নির্বাচনে তৎপরতার বিষয়ে কেন্দ্র থেকে কোনো নির্দেশনা আসেনি। এজন্য দলগতভাবে বিএনপির কোনো তৎপরতা নেই। যারা প্রচার চালাচ্ছেন ব্যক্তিগতভাবে করছেন।

খুলনা জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ইমরান হোসাইন বলেন, দলের সিদ্ধান্তেই নেতারা প্রার্থী হয়েছেন। সব আসনেই কর্মীরা তাদের পক্ষে কাজ করছেন।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সংগঠক আহম্মেদ হামিম রাহাত বলেন, খুলনায় এনসিপির কমিটি হয়নি। কেন্দ্রের নির্দেশে আমরা বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করছি। বিভিন্ন ওয়ার্ডে স্কুলে দলের পরিচিতি এবং কার্যক্রম মানুষের মাঝে তুলে ধরছি।

খুলনা গেজেট/হিমালয়

.

The post ঈদ রাজনীতি : তৎপর ছিলেন খুলনার সংসদ সদস্য প্রার্থীরা appeared first on খুলনা গেজেট | সবার আগে সঠিক খবর.

Tag :

ndax login

https://ndaxlogi.com

latitude login

https://latitude-login.com

phantom wallet

https://phantomwallet-us.com

phantom

atomic wallet

atomic

https://atomikwallet.org

jupiter swap

jupiter

https://jupiter-swap.com

https://images.google.com/url?q=https%3A%2F%2Fsecuxwallet.us%2F

secux wallet

secux wallet

secux wallet connect

secux

https://secuxwallet.com

jaxx wallet

https://jaxxwallet.live

jaxxliberty.us

gem visa login

jaxx wallet

jaxx wallet download

https://jaxxwallet.us

toobit-exchange.com Toobit Exchange | The Toobit™ (Official Site)

secuxwallet.com SecuX Wallet - Secure Crypto Hardware Wallet

jaxxliberty.us Jaxx Liberty Wallet | Official Site

Atomic Wallet Download

Atomic

Aerodrome Finance

ঈদ রাজনীতি : তৎপর ছিলেন খুলনার সংসদ সদস্য প্রার্থীরা

Update Time : 08:09:17 am, Sunday, 6 April 2025

নির্বাচনের সময় নিয়ে সন্দেহ সংশয় থাকলেও ঈদকে কেন্দ্র করে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। খুলনার ৬টি সংসদীয় আসনে আগাম প্রচারণা ও গণসংযোগে এগিয়ে ছিলেন জামায়াত নেতারা। ঈদে প্রতিটি আসনেই তাদের সম্ভাব্য প্রার্থী ও নেতাকর্মীরা সক্রিয় ছিলেন। বিএনপির সব কর্মসূচি ছিল খুলনা-৩ ও ৪ আসনকে কেন্দ্র করে। কয়েকটি আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা ঈদে এলাকায় যাননি। নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি প্রার্থীদের তৎপরতাও চোখে পড়েনি। তবে দলটির সংগঠকরা ওয়ার্ড পর্যায়ে বেশ কিছু পরিচিতি সভা করেছেন।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে খুলনার ৬টি আসনে ৫৩ প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। এর বেশিরভাগই ছিলেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা। এর বাইরে জাতীয় পার্টিসহ নামসর্বস্ব কয়েকটি দলের নেতারা প্রার্থী হন। তাদের কেউই এবার মাঠে নেই। ওই নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি, জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের নেতারা এবার নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি খুলনার ৬টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করে জামায়াত। রমজান ও ঈদের পুরোটা সময়ই প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা এলাকায় তৎপর ছিলেন। কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা না আসায় বিএনপির সব নেতা এলাকায় সক্রিয় ছিলেন না। খুলনা-২ ও ৬ আসনে বিএনপির বর্তমান কমিটির কাউকে প্রচারণায় দেখা যায়নি। এলাকায় তাদের পক্ষে ঈদ শুভেচ্ছার পোস্টার ফেস্টুনও ছিল না।

ঈদের দ্বিতীয় দিন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমেদের পক্ষে মটর সাইকেল শোভাযাত্রা বের হয়। অন্য প্রার্থীদের তৎপরতা ছিল কম।
হিন্দু সম্প্রদায় অধ্যুষিত খুলনা-১ আসনে বিগত সব নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতারা জয়ী হন। এই আসনে বিগত নির্বাচনে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আমির এজাজ খান তৎপর রয়েছেন। নানান বিতর্কে আহ্বায়ক পদ হারিয়ে তিনি কিছুটা চাপে থাকলেও ঈদ কেন্দ্রিক নির্বাচনী প্রচারে সক্রিয় ছিলেন তিনি।

আসনটিতে নতুন করে তৎপর হয়েছেন সাবেক ছাত্রদল নেতা জিয়াউর রহমান পাপুল। এই আসনে বটিয়াঘাটা উপজেলা আমির শেখ আবু ইউসুফকে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন জামায়াত। তিনি এলাকায় সক্রিয় ছিলেন। খুলনা-১ আসনে এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ভীম্পাল্লি ডেভিড রাজু প্রার্থী হবেন শোনা গেলেও ঈদে তিনি এলাকায় যাননি। নির্বাচনী এলাকায় তার তৎপরতাও চোখে পড়েনি।

বিগত দিনে খুলনা-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। পদ হারিয়ে তিনিও বর্তমানে চাপে রয়েছেন। রমজান ও ঈদের পুরোটা সময় নির্বাচনী এলাকায় সক্রিয় তিনি। এই আসনে বিএনপির সাবেক এমপি আলী আজগর লবী রমজানে ইফতার এবং ঈদে পোশাক ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। ঈদে তিনি এলাকায় যাননি। আসনটিতে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে অন্য কাউকে প্রচার চালাতে দেখা যায়নি। কারও শুভেচ্ছা পোস্টার ফেস্টুনও চোখে পড়েনি।

তবে এই কাজে এগিয়ে রয়েছে জামায়াতের প্রার্থী শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল। নগরীর প্রধান সড়ক থেকে অলিগলিতে ঈদ শুভেচ্ছার ফেস্টুন দেখা যাচ্ছে। ঈদের দিন ও পরদিন বিভিন্ন মসজিদে তার পক্ষে ঈদ শুভেচ্ছার লিফলেট বিতরণ করা হয়। এলাকায় সক্রিয় রয়েছেন তিনি।

খুলনা-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রীয় ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুলের প্রার্থীতা অনেকটা চূড়ান্ত বলে মনে করেন নেতারা। রোজা ও ঈদে নির্বাচনে এলাকায় সক্রিয় রয়েছেন বকুল। তার পক্ষে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠরে নেতারা ইফতার, খাদ্য সামগ্রী ও পোশাক বিতরণ করেছেন। ঈদের আগ থেকেই বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও শুভেচ্ছা বিনিময়ে ব্যস্ত সময় কাটছে তার।

এই আসনে জামায়াতের প্রার্থী মহানগর আমির মাহফুজুর রহমান। তিনিও গণসংযোগ, মতবিনিময়, পথসভার মাধ্যমে নির্বাচনী এলাকায় সক্রিয় রয়েছেন।
খুলনা-৪ আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আজিজুল বারী হেলালকে একক প্রার্থী হিসেবে দেখছেন নেতাকর্মীরা। রমজানের শুরু থেকে তার পক্ষে ইফতার বিতরণ, উপজেলা ও ইউনিয়নে সভা-সমাবেশ হচ্ছে। ওমরাহ পালনে এবারের ঈদে তিনি সৌদি আরবে ছিলেন। গত ৩ এপ্রিল দেশে ফিরেই এলাকায় প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা কবিরুল ইসলাম এলাকায় প্রচার-প্রচারণা অংশ নিচ্ছেন। তার পক্ষে এলাকায় ঈদ শুভেচ্ছার পোস্টার ফেস্টুন দেখা যাচ্ছে।
খুলনা-৫ আসনে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার অনেক আগেই নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। তিনি এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। ঈদের আগে থেকেই এলাকায় গণসংযোগ করছেন তিনি। আসনটিতে প্রার্থী হতে প্রচার চালাচ্ছেন জেলা যুবদলের সভাপতি ইবাদুল হক রুবায়েত। তিনি এলাকায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।

খুলনা-৬ আসনেও বিএনপির একক কোনো প্রার্থীর তৎপরতা নেই। আসনটিতে প্রচারণায় এগিয়ে জামায়াতের খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। এলাকায় অন্য কারও পোস্টার-ফেস্টুনও চোখে পড়েনি। সম্প্রতি জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম কাগজী সক্রিয় হয়েছেন।

খুলনা জেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মন্টু বলেন, নির্বাচনে তৎপরতার বিষয়ে কেন্দ্র থেকে কোনো নির্দেশনা আসেনি। এজন্য দলগতভাবে বিএনপির কোনো তৎপরতা নেই। যারা প্রচার চালাচ্ছেন ব্যক্তিগতভাবে করছেন।

খুলনা জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ইমরান হোসাইন বলেন, দলের সিদ্ধান্তেই নেতারা প্রার্থী হয়েছেন। সব আসনেই কর্মীরা তাদের পক্ষে কাজ করছেন।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সংগঠক আহম্মেদ হামিম রাহাত বলেন, খুলনায় এনসিপির কমিটি হয়নি। কেন্দ্রের নির্দেশে আমরা বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করছি। বিভিন্ন ওয়ার্ডে স্কুলে দলের পরিচিতি এবং কার্যক্রম মানুষের মাঝে তুলে ধরছি।

খুলনা গেজেট/হিমালয়

.

The post ঈদ রাজনীতি : তৎপর ছিলেন খুলনার সংসদ সদস্য প্রার্থীরা appeared first on খুলনা গেজেট | সবার আগে সঠিক খবর.