জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের অধিনায়কের পদটা ফাঁকা বেশ কিছুদিন থেকেই। এই ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে গত বছর ডিসেম্বরের পর আর কোনো টি-টোয়েন্টি খেলেনি টাইগাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই সিরিজে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন লিটন দাস। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ দিলেও ব্যাট হাতে লিটনের পারফরম্যান্স ছিল বড্ড বিবর্ণ। ফলে শান্তর উত্তরসূরি হিসেবে এই উইকেটকিপারকে নিশ্চিন্তে দায়িত্ব সঁপে দিতে পারছে না টিম ম্যানেজমেন্ট। এ ক্ষেত্রে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন দেখছেন বিকল্প। তসকিন আহমেদকে লিটনের জায়গায় ভাবতে দ্বিধা নেই সুজনের।
তাসকিন আহমেদও দিতে পারেন টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব। শুধুমাত্র পেসার বলে তাকে অধিনায়ক করা যাবে না– এই ধরনের চিন্তা অনুচিত মনে করেন খালেদ মাহমুদ সুজন। যদিও শর্টার ফরম্যাটের অধিনায়কের দৌড়ে এগিয়ে আছেন লিটন দাস। তবে, এর আগে তাকে পারফর্ম করে দলে ফিরতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় দলের এই সাবেক অধিনায়ক। সুজনের মতে, আসন্ন পিএসএল লিটনের জন্য নিজেকে প্রমাণ বড় সুযোগ হতে পারে।
প্রাণ ফিরেছে মিরপুরে। চিরচেনা রূপে ফিরেছে হোম অব ক্রিকেট। ছুটি শেষে ডিপিএলের নবম রাউন্ড সামনে রেখে অনুশীলনে ব্যস্ত ক্রিকেটাররা। ঈদের উদযাপন পাশে সরিয়ে রেখে গুরু সালাউদ্দিনের সঙ্গে শান্ত এদিন মজেছিলেন গভীর আলোচনায়। সিনিয়র সহকারী কোচও দীর্ঘ সময় মনোযোগী হয়ে শুনেছেন জাতীয় দলের অধিনায়কের কথা। দেশের ক্রিকেটে শান্তকে নিয়ে মিশ্র অনুভূতি। ওয়ানডে ফরম্যাটে দলের অন্যতম সেরা এখন তিনিই। টেস্টেও মন্দ নন। তবে টি-টোয়েন্টিতে তথৈবচ। সবশেষ বিপিএলে তো একাদশ থেকে বাদ পড়েছিলেন। ছেড়েছেন জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি নেতৃত্ব। বছর ঘুরলেই আবার এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপ। শঙ্কা আছে তার দল থেকে কাটা পড়ারও। তার জায়গায় নেতৃত্বে আসবেন কে, তা নিয়ে হচ্ছে আলোচনা। তাসকিনের নাম শোনা গেলেও, গুঞ্জন আছে পেসার হওয়ায় নাকি আগ্রহ পাচ্ছে না বিসিবি। যদিও এর বিরোধী খালেদ মাহমুদ সুজন।
জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘ওয়সিম আকরাম পাকিস্তানের নেতৃত্ব দিয়েছেন, ইমরান খান দিয়েছেন। ইয়ান বোথাম দিয়েছেন, যদিও তারা অলরাউন্ডার ছিলেন, এটা বলতেই পারেন। তবে ফাস্ট বোলার অধিনায়ক হতে পারবেন না, কথাটা একদমই ঠিক না। তাসকিন যদি ইনজুরড হয়, যদি ক্যাপ্টেন্সি করতে না পারে, দলে তো একজন ভাইস ক্যাপ্টেন থাকবেনই, হি উইল রান দ্য শো। এটা তো আসলে বোর্ডের ব্যাপার। ফাস্ট বোলার ক্যাপ্টেন্সি করতে পারবে না এটা আসলে ভুল কথা।’
অনেককে নিয়ে আলোচনা হলেও টি-টোয়েন্টি দলে লিটন দাসের অধিনায়কত্ব করার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তবে, জাতীয় দলে ফর্মে নেই এই উইকেটকিপার। তাই ভালো চয়েজ হলেও আগে পারফর্ম করে তার দলে ফেরাটা জরুরি মনে করেন সাবেক এই অধিনায়ক।
সুজন বলেন, ‘এমন না যে এতো বছর ধরে ক্রিকেট খেলছে, ক্যাপ্টেন্সির গুণ নেই। লিটন তো বাংলাদেশের জন্য ক্যাপ্টেন্সি করেছেও অলরেডি। সুতরাং ওর মধ্যে যে অ্যাবেলিটি আছে সেটা তো আমরা জানিই। আগে লিটনকে (দলে) ফিরতে হবে, তারপর বিসিবি তাকে দিবে কি দিবে না, কিংবা কাকে দেবে সেটা আমি বলব না। যাকে খুশি দিতে পারে, কিন্তু আগে লিটনের ফিরে আসাটা খুব জরুরি।’
নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে চিন্তিত লিটনও। এদিন গুরু সালাউদ্দিনের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে দেখা গেছে তাকেও। খেলতে যাবেন আবার পাকিস্তান সুপার লিগে। যা বড় সুযোগ লিটনের জন্যে।
সুজন বলেন, ‘দারুণ সুযোগ লিটনের জন্য। লিটন যদি শুরু থেকেই প্রথম একাদশে খেলে এবং ও যদি খেলায় ম্যাচ জেতাতে ভূমিকা রাখতে পারে, তাহলে দারুণ একটা ব্যাপার হবে। এটা দলের জন্য এবং লিটনের জন্য কনফিডেন্স বিল্ডআপের বড় একটা সুযোগ হবে।’
ডিপিএলের নবম রাউন্ড শেষ করেই পাকিস্তানের পথ ধরবেন লিটন। আগামী ১১ এপ্রিল থেকে শুরু হবে পিএসএল। খেলবেন করাচি কিংসের হয়ে।
The post অধিনায়কত্ব ইস্যুতে তাসকিন ও লিটনকে নিয়ে যা বললেন সুজন appeared first on Bangladesher Khela.
ঠিকানা : গুলশান, ঢাকা, বাংলাদেশ || তথ্য, খবর ও বিজ্ঞাপন : +8809611719385 || ইমেইল : songbadpatra24@gmail.com
Visit : songbadpatra.com
All rights reserved © সংবাদপত্র-2024