
আপেল বসুনীয়া, চিলাহাটি ওয়েব : খাবারের স্বাদ বাড়াতে টমেটোর জুড়ি মেলা ভার। এ কারনে এর চাহিদা দিন-দিন বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি ডোমারে মালচিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করে স্বাবলম্বী হতে চলেছেন নজরুল ইসলাম নামের এক কৃষক। মালচিং হলো এক ধরনের পলিথিন, এই পদ্ধতির চাষাবাদে জমি রোগ-বালাই থেকে মুক্ত থাকে। এতে পানি, সার, ওষুধ খরচ সাশ্রয়ী হয়, পাশাপাশি ফলন হয় বেশি এবং গাছ দীর্ঘদিন বেঁচে থাকে বলে স্থানীয় কৃষি অফিস জানায়।
নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের শেওটাগাড়ী কাঞ্চনপাড়া গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম কৃষি ইউনিট কৃষিখাতের আওতায় পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) এর অর্থায়নে এবং সেলফ-হেল্প এ্যান্ড রিহেবিলিটেশন প্রোগ্রাম (শার্প) এর সার্বিক সহযোগিতায় ১৮ শতাক জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে বাহুবলি জাতের টমেটো চাষ করেছেন। তার দেখা-দেখি এখন অনেকেই টমেটো চাষের স্বপ্ন দেখছেন।
স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়- মালচিং হলো এক ধরনের পলিথিন। যা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। রোগজীবাণু থেকেও গাছকে রক্ষা করে।
স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়- মালচিং হলো এক ধরনের পলিথিন। যা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। রোগজীবাণু থেকেও গাছকে রক্ষা করে।
অতিরিক্ত পানি রোধ করে। গাছের গোড়ায় আগাছা হয় না। এই পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করতে হলে প্রথমে জমি তৈরি করে মাটির সঙ্গে প্রয়োজন মতো সার মিশিয়ে নিয়ে বেড তৈরি করতে হয়। বেডের প্রস্থ হবে এক মিটার। এক বেড থেকে আরেক বেডের দূরত্ব হবে ৩০ সেন্টিমিটার। এরপর জমিতে তৈরি করা সবকটি বেড মালচিং পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। পলিথিনের নিচে যাতে পানি প্রবেশ করতে না পারে তাই বেডের চারপাশে পলিথিনের উপরে ভালোভাবে মাটিচাপা দিতে হবে। বেডে চারা রোপণের জন্য ১৮ ইঞ্চি দূরত্ব রাখতে হবে। এরপর চার ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ দিয়ে ছিদ্র করে ওই ছিদ্রে টমেটোর চারা রোপণ করতে হবে।
ডোমার উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন- বর্তমান সময়ে মালচিং পদ্ধতি জনপ্রিয় হচ্ছে। এতে তুলনামূলকভাবে অধিক ফলন আসে। আবাদি জমির পাশাপাশি পরিত্যক্ত জমিতে টমেটোর উৎপাদন হয়েছে। দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা অধিক লাভবান হচ্ছেন। পাশাপাশি কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।