
রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগরে বিস্তীর্ণ এলাকায় মাঠ জুড়ে এখন ইরি- বোরা ধান গাছের সবুজ রংঙের বর্ণিল সমারহ। যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। এ সবুজ রং বলে দিচ্ছে গ্রাম বাংলার কৃষকের মাথার ঘাম পায়ে ফেলা ইরি-বোরা ধান চাষের দৃশ্য।
চলতি মৌসুমে ইরি-বোরা ধানের ভাল ফলনের বুকভরা আশা করছে চাষিরা।শেষ মুহূর্তে কৃষকরা ইরি-বোরো ধানের খেতে কীটনাশকসহ নানা ধরনের নিবির পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে।
স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে আধুনিক পদ্ধতিতে আগাম ধান চাষ করায় কোন প্রাকৃতিক দূযোগ এখন পযর্ন্ত হানা না দেয়ায় রাণীনগর উপজেলায় ধানের ভাল ফলনের সম্ভবনা রয়েছে বলে কৃষি বিভাগ মনে করছেন।
রাণীনগর কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রায় ১৯ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে রাণনীগর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গভীর নলকূপ ১শ ৮৫টি, বিদ্যুৎ চালিত ব্যক্তিগত ১১০ টি, ডিজেল ২০ টি, নদী থেকে এলএলপি বিদ্যুৎ চালিত পাম্প ১৫ টি’র মাধ্যমে আবাদি ইরি-বোরো ধান খেতে সেচ প্রদান করছে।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সঠিক সময়ে চারা লাগানো নিবিড় পরিচর্যা, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, যথা সময়ে সেচ দেয়া, সার সঙ্কট না থাকায় উপজেলায় চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো ধানের ভাল ফলনের সম্ভবনা রয়েছে।
সরজমিনে মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে এখন সবুজের সমারোহ। রাণীনগরে এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত ইরি-বোরো ধান গাছের সবুজের সমারোহে বিস্তীর্ণ মাঠ দেখলে মন জুড়িয়ে যায়।
চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো ধান চাষের অনুকূল আবহাওয়া থাকাই যথা সময়ে ধান চাষ করেছে উপজেলার চাষিরা। কৃষি অফিসের ব্যবস্থাপনায় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় রাসায়নিক ও কীটনাশক ব্যবহারে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করছেন মাঠ পর্যায়ে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা আইপিএম (বালাই সমন্বিত শষ্য ব্যবস্থাপনা) ক্লাবের মাধ্যমে আলোক ফাঁদে এবং বোরো খেতে কুঞ্চি ও গাছের ডাল পুঁতে পোকা মাকড় নিধনে কৃষকদের উৎসাহিত করায় রোগবালাই কম দেখা যাচ্ছে।
উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের সর্বরামপুর গ্রামের কৃষক ময়নুল ইসলাম জানান, আমি চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে প্রায় ১১ বিঘা জমিতে ধান লাগায়ছি। ধান খুব ভাল হয়েছে, শেষ মুহূর্তেই ভালো ফলনের আশায় কীটনাশক প্রয়োগসহ অন্যান্য পদ্ধতিতে নিবিড় পরিচর্যা চালিয়ে যাচ্ছি।
কোন প্রকার দুর্যোগ না হলে এবারে আশানুরূপ ফলন পাবো। উপজেলা কৃষি আফিসার কৃষিবিদ মোস্তাকিমা খাতুন জানান, চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান চাষ হয়েছে।
ভাল ফলনের সম্ভাবনার মূল কারণ হিসেবে তিনি বলেন, কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদেরকে সঠিক সময়ে চারা লাগানো পরামর্শ, নিবিড় পর্যাবেক্ষণ, সার ও কীটনাশক প্রয়োগ, সার সঙ্কট না থাকা, যথা সময়ে সেচ দেয়া, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ এবং আধুনিক পদ্ধিতিতে ধান চাষ করায় শেষ পযর্ন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ইরি-বোরো ধানের ভাল ফলনের সম্ভবনা রয়েছে।
The post ফসল নিয়ে বুকভরা আশা কৃষকের: রাণীনগরে ইরি-বোরো ধানের সবুজের সমারহ appeared first on সোনালী সংবাদ.