জানা যায়, উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নের ভদ্বেশরী গ্রামের মোহাম্মদ আলী ও তার ওয়ারিশগণের সম্পত্তি এ পুকুরটি । ১০জন ওয়ারিশ মিলেই স্ব স্ব খরচেই খনন করছেন এটি। খননের বিষয়ে পুকুরের জমির মালিক মোহাম্মদ আলী ও অন্য ওয়ারিশদের সাথে কথা বলতে চাইলেও তারা এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ধর্মগড় ভদ্বেশরী গ্রামের চলাচলের মূল রাস্তার পাশেই ভদ্বেশরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। আর এ বিদ্যালয়ের একেবারে কোল ঘেঁষেই প্রায় এক একর জমিতে গভীর মাটি খুড়ে বিশাল আকারের পুকুরটি খনন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই পুকুরটির কারনে স্কুলের খেলার মাঠের ও অন্যান্য অংশের মাটি ধ্বসে পড়তে শুরু করেছে। বিদ্যালয় মাঠের ভূপৃষ্ঠ থেকে পুকুরের গভীরতা প্রায় ২০ ফুটেরও বেশি হওয়ায় এ পুকুরটি শুধু ঝুকিপূর্ণই নয়। রিতিমত এ যেনো একটি মরন ফাঁদ।
তাই শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য মাঠে খেলাধুলা করাটা এবং আসছে বর্ষায় স্কুলে যাতায়াতটাও বেশ ঝুকিপূর্ণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা ।
অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, যেভাবে পুকুরটি খনন করা হয়েছে, তাতে ছোট শিশুরা যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। এ কারণে অনেক অভিভাবক শিক্ষার্থীদের আপাতত বিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছেন না। বিদ্যালয়ে শিশুদের জানের নিরাপত্তা না পাওয়া গেলে বিদ্যালয়টিতে শিশু শিক্ষার্থীদের না পাঠানোর প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। তাই দ্রুত শিশুদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। এছাড়াও সামনে বর্ষাকাল আসছে, এখনি কোন পদক্ষেপ না নিলে তখন ঠিকি বিপদ ঘটবে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) ফেন্সি বেগম বলেন, রমজান মাসে বিদ্যালয় বন্ধ থাকার সুযোগে এখানকার জমির মালিকেরা পুকুরটি খনন শুরু করেন। বাধা দিলেও তারা শোনেনি। বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছে। বর্তমানে পুকুরটির কারণে ভয়ে বিদ্যালয়ে আসছে না শিক্ষার্থীরা।