চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেছিল ১১২ রানের লিড নিয়ে। হাতে তখন পর্যন্ত ছিল ৬ উইকেট। সিলেট টেস্টের পরিস্থিতি বিবেচনায় একেবারেই খারাপ অবস্থানে ছিল না বাংলাদেশ। কিন্তু জিম্বাবুয়ের দুই পেসার মিলে বাংলাদেশ দলের সর্বনাশ ডেকে এনেছেন সহসাই।
দিনের খেলা গড়িয়েছে মোটে ৭ ওভার। তার মাঝেই বাংলাদেশ হারিয়েছে তিন উইকেট। দিনের দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর তারই দেখানো পথে হেঁটেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ এবং তাইজুল ইসলাম। এরমাঝে মিরাজ এবং তাইজুল ফিরেছেন মোটে ৮ বলের ব্যবধানে।
এই প্রতিবেদন পর্যন্ত বাংলাদেশের স্কোর ৭ উইকেট হারিয়ে ২১৮ রান। বাংলাদেশের লিড এখন ১৩৬ রানের।
আগেরদিনের সঙ্গে নতুন করে রান যোগ করার আগেই অধিনায়ক শান্তকে হারায় বাংলাদেশ। দিনের দ্বিতীয় বলেই পুল শটে খেলতে চেয়েছিলেন। তবেঠিকমতো টাইমিং হয়নি, ব্যাটের ওপরের কানায় লেগে ক্যাচ উঠে যায় লং লেগে। অনেকটা দৌড়ে এসে বেশ ভালো একটা ক্যাচ নেন নিয়াগুচি। মিরাজও আউট হয়েছেন মুজারাবানির বলেই।
আজও ক্রিজে এসে লম্বা সময় থাকা হয়নি মিরাজের। ১৬ বল খেলেে ১১ রানে মুজারাবানির শর্ট লেন্থের বলে গালিতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। লিডের খাতায় ১৮ রান যোগ করতেই দুই উইকেট মুজারাবানির দখলে। মুজারাবানির দেখাদেখি উইকেট পেয়েছেন এনগারাভাও। তাইজুল ক্যাচ দিয়েছিলেন উইকেটকিপার মায়াভোকে।
চতুর্থ দিন বাংলাদেশ খেলতে নেমেছিল ১১২ রানের লিড নিয়ে। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ তুলতে পেরেছিল ১৯১ রান। একমাত্র মুমিনুল হকের ৫৬ রান ছাড়া বলার মতো সংগ্রহ ছিল না কারোরই। জবাবে ব্রায়ান বেনেট এবং শন উইলিয়ামসের ব্যাটে চড়ে লিড পেয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। শেষ দিকে এনগারাভার ২৮ এবং মুজারাবানির ১৭ রানের সুবাদে ৮২ রানের একটা লিড পেয়েও যায় জিম্বাবুয়ে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ দলীয় ১৩ রানেই হারায় সাদমান ইসলামের উইকেট। এরপর জয়-মুমিনুল জুটি স্কোরবোর্ডে তুলেছে ৪৪ রান। শান্ত পরবর্তীতে ফিফটি পেয়েছেন। সেটাই বাংলাদেশকে বসিয়েছে চালকের আসনে।
খুলনা গেজেট/এনএম
The post মুজারাবানি-এনগারাভার স্পেলে মহাবিপদে বাংলাদেশ appeared first on খুলনা গেজেট | সবার আগে সঠিক খবর.