জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকেই নতুন কিছু করার জন্য খেলবে দল- সিরিজ শুরুর আগের সংবাদ সম্মেলনে এমন আশার বানীই শুনিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু সিলেট টেস্টে পুরোনো চাদরে গা মোড়ানো ছাড়া আর কোনোকিছুই অর্জন হয়নি বাংলাদেশের। নিজেদের পুরোনো ব্যাটিং দৈন্যতায় সফরকারীদের উপহার দিয়েছে স্মরণীয় এক জয়।
সাম্প্রতিক সময়ে জিম্বাবুয়ে টেস্ট দলের বেহাল দশা। তাদের ক্রিকেটের মান তলানির দিকে যাচ্ছে, গত চার বছরে ১০ টেস্ট খেলে একটিতেও জিততে পারেনি দলটি। তাদের কাছে কি না নাজমুল হোসেন শান্তর দল হেরে গেল অনায়াসে। শুধু কি হার, প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বাজে খেলেছে বাংলাদেশ দল। ফলে সমালোচনার তিরে বিদ্ধ হচ্ছে দল।
গত প্রায় এক দশকে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে জেতাটা অভ্যাসের মতো হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের। সেখানে এমন পারফরম্যান্সে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়াটাই স্বাভাবিক। বিস্তর সমালোচনাও হচ্ছে বাংলাদেশ দলকে নিয়ে। টাইগার হেড কোচ ফিল সিমন্স অবশ্য সমর্থকদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, সঠিক পথে যেতে কাজও করে যাচ্ছেন।
সিলেট পর্ব শেষে বাংলাদেশ দল এখন অবস্থান করছে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে। সাগরিকার বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে (সাবেক জহুর আহমেদ চৌধুরী) আগামীকাল সোমবার (২৮ এপ্রিল) মাঠে গড়াবে সিরিজের দ্বিতীয় তথা শেষ টেস্ট। তার আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন বাংলাদেশের হেড কোচ ফিল সিমন্স।
সংবাদ সম্মেলনে এই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান বাংলাদেশি সমর্থকদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষকে বলব, ধৈর্য ধরুন। আমি জানি, এখানে খেলাটার প্রতি এবং বাংলাদেশের ভালো করার ব্যাপারে আবেগটা কেমন। তবে আমি আপনাদের ধৈর্য ধরতে অনুরোধ করব। কারণ, আমরা ঠিক কাজটা করার চেষ্টা করছি, যাতে ভালো খেলতে পারি, সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।’
সিলেট টেস্টে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৯১ রানে গুঁটিয়ে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসেই পিছিয়ে গিয়েছিল ৮২ রানে। পরের ইনিংসে আশা জাগিয়েও লিড ১৭৪ রানের বেশি করতে পারেনি টাইগাররা। ওই ম্যাচের প্রথম ইনিংসই বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিয়েছিল বলে মনে করেন সিমন্স। চট্টগ্রামে ঘুরে দাঁড়াবে দল, এমনই আশা তার, ‘আমরা ইতিবাচক টেস্ট ক্রিকেট খেলতে চাই। শুধু ঠেকিয়ে ঠেকিয়ে ২০০ রান করার চিন্তা নেই। আপনারা বারবার বলছেন, পরিবর্তনের কথা। আমরা যেখানে যেতে চাই, তার জন্য কিছুটা সময় লাগবেই।’
সিলেটে বাংলাদেশের তিনজন হাফসেঞ্চুরি করতে পারলেও কেউ ইনিংসটি বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যেতে পারেননি। অনেকেই আউট হয়েছেন বাজে শট খেলে। এ বিষয়টিও সিমন্সের সংবাদ সম্মেলনে উঠে এসেছে। আপাতত ব্যাটসম্যানদের প্রতি সিমন্সের বার্তা, ‘কিছু বাজে শট ছিল, কিছু সফট ডিসমিসাল হয়েছে। সামনে এগোনোর পথে এসব জায়গায় উন্নতি করতে হবে। এক–দুই–তিন টেস্ট ম্যাচে এটা হবে না।’
The post সমর্থকদের ধৈর্য ধরতে বললেন বাংলাদেশের কোচ appeared first on Bangladesher Khela.