11:30 pm, Thursday, 23 January 2025

সিমের কেজি ৩২০ কাঁচামরিচ ৪০০ 

আমাদের বরিশাল ডেস্ক:

নিত্য পণ্যের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। নিত্য পণ্যের দামে স্বস্তি নেই নগরবাসীর। সপ্তাহ ব্যবধানে বাজারগুলোতে সব ধরনের সবজি, মাছ ও ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। তবে বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে জাতীয় মাছ ইলিশ। 

শুক্রবার (০৪ অক্টোবর)নগরীর বাংলাবাজার ও বটতলা বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। 

নগরীর এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, 
সপ্তাহ ব্যবধানে সব ধরনের সবজি দাম ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। বাজারগুলোতে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকায়, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ধুন্দুল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, কচুর লতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা শসা ৮০ থেকে ১০০ টাকা এবং কাঁচামরিচ কেজিতে ১৪০ টাকা বেড়ে  প্রকারভেদে ৩৬০ থেকে  ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সরবরাহ কম থাকায় কাঁচামরিচের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা। তারা জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় কাঁচামরিচ কেজিতে ১০০ টাকা ওপরে দাম বেড়েছে। কাঁচামরিচ বিক্রি করছেন না বলেও জানান অনেক ব্যবসায়ী।  

এদিকে গত সপ্তাহের মতো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মুরগি। গত সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। একই সঙ্গে সোনালি মুরগি ২৭০- ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি হাইব্রিড ২৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি ৩১০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  

বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজি সিম ৩২০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৬০ থেকে ৭০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, গাজর ১৬০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা এবং জলপাই ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।  

এসব বাজারে লেবুর হালি ২০ থেকে ৫০ টাকা, ধনে পাতা কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, কাঁচা কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায় এবং মিষ্টি কুমড়া কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। 

বাজারগুলোতে লাল শাক ১৫ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, মূলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, কলমি শাক ১০টাকা, পুঁই শাক ৩০ টাকা এবং ডাটা শাক ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।  

বাজারগুলোতে সপ্তাহ ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা, আদা ২৮০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা এবং আলু কেজি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। 

এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৮০০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১১৫০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২৩০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। 

অন্যদিকে বাজারে সরবরাহ বাড়লেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে  ইলিশ মাছ। এসব বাজারগুলোতে  ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১১০০ টাকা এবং ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মাছ ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা, ১ কেজি ওজনের ইলিশ ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা এবং দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ২২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  

এসব বাজারে এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৩০ থেকে ৫০০ টাকায়, দেশি মাগুর মাছ ৮০০ থেকে ১১০০ টাকা, মৃগেল ৩২০ থেকে ৪০০ টাকায়, চাষের পাঙাস ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ১৪০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়,  কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, মলা ৫৫০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রূপচাঁদা ১২০০ টাকা, বাইম মাছ ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা, দেশি কই ১২০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, বেলে মাছ ৮০০ টাকা এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। 

এসব বাজারে ৫ কেজি সোয়াবিন তেল ৮১৮ টাকা, দেশি মশুর ডাল ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, মিনি কেট চাল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা এবং নাজির সের ৭৫ থেকে ৮২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

The post সিমের কেজি ৩২০ কাঁচামরিচ ৪০০  appeared first on Amader Barisal – First online Newspaper of Greater Barisal – Stay with Barisal 24×7.

Tag :

ndax login

https://ndaxlogi.com

latitude login

https://latitude-login.com

সিমের কেজি ৩২০ কাঁচামরিচ ৪০০ 

Update Time : 01:07:09 pm, Friday, 4 October 2024

আমাদের বরিশাল ডেস্ক:

নিত্য পণ্যের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। নিত্য পণ্যের দামে স্বস্তি নেই নগরবাসীর। সপ্তাহ ব্যবধানে বাজারগুলোতে সব ধরনের সবজি, মাছ ও ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। তবে বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে জাতীয় মাছ ইলিশ। 

শুক্রবার (০৪ অক্টোবর)নগরীর বাংলাবাজার ও বটতলা বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। 

নগরীর এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, 
সপ্তাহ ব্যবধানে সব ধরনের সবজি দাম ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। বাজারগুলোতে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকায়, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ধুন্দুল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, কচুর লতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা শসা ৮০ থেকে ১০০ টাকা এবং কাঁচামরিচ কেজিতে ১৪০ টাকা বেড়ে  প্রকারভেদে ৩৬০ থেকে  ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সরবরাহ কম থাকায় কাঁচামরিচের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা। তারা জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় কাঁচামরিচ কেজিতে ১০০ টাকা ওপরে দাম বেড়েছে। কাঁচামরিচ বিক্রি করছেন না বলেও জানান অনেক ব্যবসায়ী।  

এদিকে গত সপ্তাহের মতো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মুরগি। গত সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। একই সঙ্গে সোনালি মুরগি ২৭০- ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি হাইব্রিড ২৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি ৩১০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  

বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজি সিম ৩২০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৬০ থেকে ৭০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, গাজর ১৬০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা এবং জলপাই ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।  

এসব বাজারে লেবুর হালি ২০ থেকে ৫০ টাকা, ধনে পাতা কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, কাঁচা কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায় এবং মিষ্টি কুমড়া কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। 

বাজারগুলোতে লাল শাক ১৫ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, মূলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, কলমি শাক ১০টাকা, পুঁই শাক ৩০ টাকা এবং ডাটা শাক ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।  

বাজারগুলোতে সপ্তাহ ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা, আদা ২৮০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা এবং আলু কেজি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। 

এসব বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৮০০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১১৫০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২৩০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। 

অন্যদিকে বাজারে সরবরাহ বাড়লেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে  ইলিশ মাছ। এসব বাজারগুলোতে  ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১১০০ টাকা এবং ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মাছ ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা, ১ কেজি ওজনের ইলিশ ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা এবং দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ২২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  

এসব বাজারে এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৩০ থেকে ৫০০ টাকায়, দেশি মাগুর মাছ ৮০০ থেকে ১১০০ টাকা, মৃগেল ৩২০ থেকে ৪০০ টাকায়, চাষের পাঙাস ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ১৪০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়,  কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, মলা ৫৫০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রূপচাঁদা ১২০০ টাকা, বাইম মাছ ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা, দেশি কই ১২০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, বেলে মাছ ৮০০ টাকা এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। 

এসব বাজারে ৫ কেজি সোয়াবিন তেল ৮১৮ টাকা, দেশি মশুর ডাল ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, মিনি কেট চাল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা এবং নাজির সের ৭৫ থেকে ৮২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

The post সিমের কেজি ৩২০ কাঁচামরিচ ৪০০  appeared first on Amader Barisal – First online Newspaper of Greater Barisal – Stay with Barisal 24×7.