ভোলা প্রতিনিধি:

যাত্রী ওঠানো নিয়ে দ্বন্দ্ব-মারামারির জেরে ভোলায় দ্বিতীয় দিনের মতো বাস ও সিএনজি অটোরিকশা ধর্মঘট চলছে। সোমবার (৫ মে) জেলার অভ্যন্তরীণ পাঁচটি রুটে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর ফলে ভোগান্ততিতে পড়েছেন দূর-দুরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা।

এরআগে রবিবার (৪ মে) বিকেল ৫টার দিকে ভোলার চরফ্যাসন সড়কের বাংলা বাজার জয়নগর স্কুল এলাকায় যানজট সৃষ্টি ও যাত্রী ওঠানো নিয়ে বাস-সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। বাস শ্রমিকদের মারধরের প্রতিবাদে রবিবার সন্ধ্যায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেয় বাস শ্রমিক ইউনিয়ন। এরপরই জেলার অভ্যন্তরীণ পাঁচটি রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে বাস শ্রমিকদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ এনে একইসময় থেকে সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করে দেন চালকরা। এতে চরফ্যাসন, লালমোহন ও তজুমদ্দিনের মতো দূর-দূরান্তের উপজেলার যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

অনেকে বাধ্য হয়ে ইজিবাইক, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে বিকল্প উপায়ে যাতায়াত করলেও অতিরিক্ত ভাড়া শুণতে হচ্ছে। এদিকে দুর্ভোগ লাগবে ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন যাত্রীরা।

বাস শ্রমিকদের অভিযোগ- সিএনজি অটোরিকশা চালকরা একত্রিত হয়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে বাস আটকে রেখেছে। ১৬ বাস শ্রমিককে পিটিয়ে আহত করেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার সন্ধ্যা থেকে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়।

বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, “একই সঙ্গে পরিকল্পিতভাবে পাঁচটি স্পটে সিএনজি অটোরিকশা চালকরা বাসশ্রমিকের গায়ে হাত দিয়েছেন। এতে ১৬ বাস শ্রমিক আহত হয়েছেন। পাঁচটি বাস আটকে রাখা হয়েছে ও তিনটি ভাঙচুর করা হয়েছে। এ কারণে আমরা ধর্মঘট ডেকেছেন।”

অন্যদিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিক-শ্রমিক সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, বাস শ্রমিকরা ধর্মঘট ডাকার পরে তাদের যাত্রী টানা বন্ধ করার জন্য বাসস্ট্যান্ডের মধ্যে চারটি সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে গিয়ে তিনটি ভাংচুর ও একটি সিএনজিতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। পরে ক্ষুব্ধ চালকরা লালমোহনে দুটি বাস আটকে রাখে। কিন্তু ভাঙচুর করেননি।”

বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান জানান, সিএনজি অটোরিকশাকে মহাসড়কে অবৈধ। সেগুলো বন্ধ ও হামলা ভাঙচুরের বিচার না-হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে। তার দাবি, সিএনজি অটোরিকশা চালকরা কিছুদিন পর পর পরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর হামলা চালায়। প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অমান্য করছে তারা।

সিএনজি অটোরকশা ও থ্রি-হুইলার চালক সমিতি সভাপতি জাকির হোসেন জানান, সড়কে চালকদের নিরাপত্তা ও ক্ষয়ক্ষতির বিচার চেয়ে চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বাস শ্রমিকদের ওপর হামলার কথা অস্বীকার করেছেন তিনি। উল্টো বাস শ্রমিকরা তাদের মারধর করার অভিযোগ করেন তিনি।

The post ভোলায় দ্বিতীয় দিনের মত চলছে বাস ধর্মঘট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা appeared first on Amader Barisal – First online Newspaper of Greater Barisal – Stay with Barisal 24×7.