প্রেস বিজ্ঞপ্তি: রাজশাহীতে এরই মধ্যে মাঝারি তাপপ্রবাহ বইতে শুরু করেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর সামনে তীব্র তাপ প্রবাহের পূর্বাভাস জানাচ্ছে। আবার বজ্রপাতের খবর নিয়মিত আসছে। এ অবস্থায়, তাপপ্রবাহ ও বজ্রপাতের এ সময়ে বিভিন্ন প্রাণীদের সুরক্ষায় প্রাণিসম্পদ দপ্তর নানা সতর্কবার্তা জানাচ্ছে।

তাপ প্রবাহজনিত ধকল সহনীয় করতে গবাদি পশু ও পোল্ট্রির ঘর শীতল রাখার পরামর্শ দিয়েছে দপ্তরটি। শেডের চালে ভেজা চট, বস্তা বা কাপড় বিছিয়ে দিলে এবং সময়ে সময়ে তাতে পানি ছিটিয়ে ভিজিয়ে দিলে ঘর শীতল থাকবে। ঘরের ভিতরে ভেজা চট বা কাপড় ঝুলিয়ে রাখলেও তা ঘরের ভিতরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

প্রাণিসম্পদ দপ্তরের মতে, ঘরের ভিতর পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করা, প্রয়োজনে ফ্যান ব্যবহার করা, গবাদি পশুকে দিনে একাধিকবার গোসল করানো বা পাইপের সাহায্যে পানি ছিটিয়ে ভিজিয়ে দেয়া জরুরি।

সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সময়ে আবদ্ধ ঘরে বা গোয়াল ঘরে না রেখে পশুকে প্রাকৃতিক ছায়াযুক্ত স্থানে রাখতে হবে। দিনের অতিরিক্ত গরমের সময়ে খাদ্য সরবরাহ কমিয়ে, শীতল সময়ে তা বাড়িয়ে দিতে হবে। প্রচন্ড গরমে যথাসম্ভব কৃমিনাশক ব্যবহার বা টিকা প্রদান কিংবা গবাদি প্রাণী পরিবহন পরিহার করতে হবে। গবাদি পশুকে খড় বা অতি পরিপক্ক শক্ত আঁশযুক্ত খাবার সরবরাহ না করে নরম কচি ঘাস দিতে হবে।

আবার ঘাস কাটা বিষয়েও সতর্কবার্তা রয়েছে। বজ্রপাতের পরে, দিনের প্রথম বৃষ্টির পরে এবং মেঘলা আবহাওয়ায় গরুর জন্য ঘাস কাটা যাবে না। কাটলেও ঘাস অবশ্যই ২ বা ৩ ঘণ্টা রোদে রেখে তারপর খাওয়াতে হবে। কারণ বজ্রপাতের পরে অথবা প্রথম বৃষ্টির পরে ঘাসে অতিরিক্ত বিষাক্ত নাইট্রেট জমা হয়।

যে কারণে পোষা প্রাণীর পেট ফাঁপা, পাতলা পায়খানা, বিষক্রিয়াসহ একাধিক সমস্যা হতে পারে, এমনকি নাইট্রেট বিষক্রিয়ায় মারাও যেতে পারে। এক্ষেত্রে ঘাস কম পরিমাণে দেওয়া, অর্ধ শুকনো অব¯’ায় খাওয়ানো, অর্ধেক ঘাস আর অর্ধেক খড় মিশিয়ে খাওয়ানো উত্তম। ঘাসের মূল ও কাণ্ডে নাইট্রেটের পরিমাণ পাতার চাইতে বেশি থাকায় গবাদি পশুকে যতসম্ভব কাণ্ড ও মূল খাওয়ানো থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

The post তাপপ্রবাহ ও বজ্রপাতে প্রাণিসম্পদের সতর্কবার্তা appeared first on সোনালী সংবাদ.