অধিনায়ক খেললেন অধিনায়কোচিত ইনিংস। কিন্তু বাকিরা তথৈবচ। নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে প্রথম চারদিনের ম্যাচটির দ্বিতীয় দিন শেষে তাই ৭ রানে পিছিয়ে থেকেই শেষ করতে হলো বাংলাদেশকে। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ৮ উইকেট খুইয়ে বাংলাদেশ ‘এ’ স্কোরবোর্ডে তুলতে পেরেছে ২৪৯ রান। যার মধ্যে ১০৭ রানই এসেছে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের ব্যাট থেকে।
৭ মে সিলেটে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ৯২ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন সোহান। সেই একই দলের বিপক্ষে একই মাঠে ৪ দিনের ম্যাচে কাল তিনি সেঞ্চুরি করেন ৭৪ বলে। কিউই স্পিনার জেয়ডেন লেনক্সের পর পর দুই বলে চার ও ছক্কা মেরে প্রথম শ্রেণি ক্যারিয়ারেন দ্বাদশ সেঞ্চুরি করেন সোহান। তিন অংকে পৌঁছাতে ১১টি বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কা হাঁকান তিনি। শেষ পর্যন্ত ৮৮ বলে ১০৭ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন।
২ উইকেট হাতে রেখে ২২৬ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল কিউরা। আর ৩০ রান যোগ করতেই সেই দুই উইকেট নিজের ঝুলিতে ভরেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ। ইনিংসে ৫৯ রানে ৬ উইকেট শিকার করেন খালেদ। যা প্রথম শ্রেণিতে তার নবম ফাইফার। ‘এ’ দলের হয়ে অভিষিক্ত পেসার এনামুল হক ৩২ রানে নেন ৩ উইকেট। সর্বোচ্চ ৮১ রান করেন মিচেল হে। সফরকারীদের ২৫৬ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৪২ রানের মধ্যে দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় (২৪) ও জাকির হাসানকে (১২) কে হারায় স্বাগতিকরা। ভালো খেলার ইঙ্গিত দেওয়া অমিত হাসান ১৮ রানে যখন আউট হন দলের সংগ্রহ ৭৫। কয়েক রানের মধ্যে মাহমুদুল হাসান জয়ও (২৫) ধরেন সাজঘরের পথ। এরপর মাহিদুল ইসলাম অংকনের সঙ্গে জুটি বাধেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।
শুরু থেকেই মারমুখী ছিলেন সোহান। অন্যপ্রান্তে অংকন খেলেছেন ধীরস্থিরভাবে। ৩৩তম বলে চার মেরে ফিফটি পূর্ণ করেন সোহান। পরবর্তী ফিফটি করেছেন তিনি ৪১ বলে। তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ৪২.১ ওভারে দুশো রান হয় ‘এ’ দলের। ১২৭ রানের জুটি ভাঙে অংকন নিজের ২৫ রানে আউট হয়ে গেলে। তখন দলের রান ২১৩। ২ রান যোগ হতেই কাটা পড়েন সোহান। এর পর ৩৯ বলে ২০ রান করে ফেরেন নাঈম হাসান। আলোকস্বল্পতায় দিনের খেলা শেষ হওয়ার সময় ১৩ রানে হাসান মুরাদ ও ১ রানে এবাদত হোসেন অপরাজিত আছেন ক্রিজে।
The post একাই লড়লেন সোহান, ‘এ’ দল পিছিয়ে ৭ রানে appeared first on Bangladesher Khela.