সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ ঘিরে দর্শক উম্মাদনা চলছে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই। টিকিটের জন্য হাহাকার, বাফুফে ভবনের সামনে দিনরাত অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেছেন একদল সমর্থক। অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরুর পরপরই শেষ।
ধারণা করা হচ্ছে ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামের গ্যালারি পরিপূর্ণ থাকবে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষ ম্যাচে। স্বাগতিক দর্শক দলের জন্য যেমন অনুপ্রেরণা, তেমন চাপও। বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া মনে করেন না যে, বেশি দর্শক মানেই বেশি চাপ।
সোমবার সংবাদ সম্মেলনে জামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘গ্যালারিতে দর্শক ১০ জন থাক আর ২০ হাজার থাক- চাপ একই। শেষ কথা হলো আমাদের পারফর্ম করতে হবে। তো, কত মানুষ ম্যাচ দেখতে এলো, সেটা কোনো বিষয় নয়। দিনশেষে আমাদের জিততে হবে। দেশের জন্য আমাদের পারফর্ম করতে হবে। অবশ্যই আমরা দর্শকের উপস্থিতি অনুভব করব, কিন্তু আমাদের জিততে হবে, পারফর্ম করতে হবে।’
কাগজে-কলমে সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের চেয়ে শক্তিশালী। তাদের আক্রমণভাগ খুবই শাণিত। এ প্রসঙ্গে অধিনায়ক বলেন, ‘প্রতিপক্ষ যত শক্তিশালী হোক, আমরা আত্মবিশ্বাসী। ঘরের মাঠে, চেনা দর্শক। এটাকে চাপ মনে না করে অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখবো।’
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ ঘিরে ফুটবল অঙ্গনে যে আমেজ তৈরি হয়েছে সে প্রসঙ্গে অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশাও অনেক বেশি। বিশেষ করে বাছাইয়ের সবশেষ ম্যাচের পর এ প্রত্যাশা বেড়েই চলছে। দর্শকদের মতো আমাদের প্রত্যাশাও যে অনেক উঁচুতে! আমি মনে করি, দেশের মানুষদের, সমর্থকদের, নিজেদের এবং পরিবারকেও দেখানোর মুহূর্ত মঙ্গলবারের ম্যাচ।’
জয়ের প্রত্যাশা নিয়ে ঢাকায় এসেছে সিঙ্গাপুরও। সিঙ্গাপুরকে শক্তিশালী মানলেও জামাল দৃঢ় কণ্ঠেই বলেন, ‘তাদের (সিঙ্গাপুরকে) গুঁড়িয়ে দেওয়ার সামর্থ্য আছে বাংলাদেশের। আমরা দেখেছি, সিঙ্গাপুর বল পজেশনে খুবই ভালো। এ জায়গাটায় তাদের জন্য সমস্যা তৈরি করতে হবে আমাদের। সিঙ্গাপুর বিল্ড-আপেও খুবই ভালো। সেটপিসে তাদের আক্রমণভাগ ভালো। সেখানেও আমরা তাদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারবো, তাদের ধসিয়ে দিতে পারবো।’
The post দর্শক ১০ জন থাক বা ২০ হাজার, চাপ একই : জামাল ভূঁইয়া appeared first on Bangladesher Khela.