ট্রাম্পের কর ও ব্যয়-সংক্রান্ত বাজেট বিল ঘিরে শুরু হওয়া বিরোধ চরমে ওঠে, যার ফলস্বরূপ প্রথমে ইলন মাস্ক পদত্যাগ করেন ট্রাম্প প্রশাসনের উপদেষ্টার পদ থেকে। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একের পর এক বিস্ফোরক পোস্টে মাস্ক সরব হন ট্রাম্প ও তার নীতির বিরুদ্ধে।
এক পোস্টে মাস্ক দাবি করেন, তার সহযোগিতা ছাড়া ট্রাম্প নির্বাচনে জিততেই পারতেন না। পাল্টা জবাবে ট্রাম্প হুমকি দেন, মাস্কের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেওয়া সরকারি ভর্তুকি ও চুক্তি বাতিল করে দেওয়া হতে পারে।
বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে মাস্ক দাবি করেন, যৌন অপরাধ ও পাচারের দায়ে অভিযুক্ত কুখ্যাত জেফরি এপস্টেইনের মামলার নথিতে ট্রাম্পের নাম আছে, এবং এ কারণেই এই নথি প্রকাশ করেনি ট্রাম্প প্রশাসন।
মাস্ক অবশ্য তার পোস্টে নির্দিষ্ট করে বলেননি, ট্রাম্পকে নিয়ে তার কোন সমালোচনাগুলো ‘সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল’। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ট্রাম্প যখন মাস্ককে ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিশিয়েন্সি’তে তাঁর ব্যয় কমানোর ভূমিকা শেষ করার সময় বিদায় জানান, তখন দুজনের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণই মনে হচ্ছিল।
মাস্ক বাজেট বিলটিকে ’জঘন্য ও ন্যক্কারজনক’ আখ্যা দেওয়ার কিছুদিনের মধ্যে ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্ক চূড়ান্তভাবে ভেঙে পড়ে। মাস্ক সেসময় বলেছিলেন, এই বিল পাস হলে সেটি ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের আসল চেহারা তুলে ধরবে।
ওভাল অফিস থেকে মাস্কের মন্তব্যের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ করে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘দেখুন, ইলন ও আমার মধ্যে দারুণ সম্পর্ক ছিল। জানি না এখনো আছে কি না। আমি অবাক হয়েছি।’
The post ‘ট্রাম্পকে নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেলেছি, সে জন্য অনুতপ্ত’ appeared first on Ctg Times.