মির্জাগঞ্জ ((পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের ধর্ষণ মামলার আসামি বেলাল হোসেনকে (৩৮) গ্রেপ্তার করতে গিয়ে তুলকালাম কাণ্ডের সৃষ্টি হয়েছে।
কচুরিপানায় ভর্তি খালের পাড়ে কাজ করছিলেন ধর্ষণ মামলার আসামি বেলাল হোসেন। এসময় হঠাৎ পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে খালের পানিতে ঝাঁপ দেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশও ঝাঁপ দেয় পানিতে। পরে প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় কচুরিপানার মধ্য থেকে বেলালকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
রোববার (৬ অক্টোবর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম আহম্মেদ।
এর আগে শনিবার বিকেলে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ঘটনাটি দেখতে খালের দুই পাড়ে শত শত মানুষ ভিড় জমায়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গ্রেপ্তার বেলাল মির্জাগঞ্জ থানায় করা একটি ধর্ষণ মামলার আসামি। গত জুলাই মাসে বেলাল ও বশির উদ্দিনের নামে একটি ধর্ষণ মামলা করেন এক নারী। মামলা হওয়ার পর থেকে আসামিরা আত্মগোপনে ছিলেন। শনিবার বিকেলে আসামি বেলাল নিজ গ্রামের একটি খালের পাড়ে কাজ করছিলেন। এ খবর পেয়ে তাকে আটক করতে মির্জাগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. এনামুল হকের নেতৃত্বে সঙ্গী ফোর্সসহ অভিযান চালায়।
এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে খালের পানিতে ঝাঁপ দিয়ে কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে পড়েন বেলাল। পরে তাকে ধরতে পুলিশ সদস্যরাও খালে ঝাঁপ দেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় কচুরিপানার ভেতর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এসআই মো. এনামুল হক জানান, আসামি বেলাল দুর থেকে আমাদের চিনতে পেরে খালে ঝাঁপ দিয়ে কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে পড়েন। তিনি খুব চালাক প্রকৃতির লোক। তাকে কচুরিপানার মধ্যে থেকে ধরতে প্রায় তিন ঘণ্টা লেগে যায়।
The post পুলিশ দেখে খালে লাফ, কচুরিপানায় তিন ঘণ্টা খুঁজে ধরা হলো আসামি appeared first on Amader Barisal – First online Newspaper of Greater Barisal – Stay with Barisal 24×7.