নগর প্রতিনিধিঃ

বরিশাল নগরীর গ্যাসটারবাইন চৌমাথা বাজারের পাশের একটি বাসা থেকে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন ছাত্র দলের সভাপতি মেহেদী হাসান এক তরুনী সহ পুলিশের হাতে আটক হন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে উভয় পক্ষের পরিবার থানায় আসেন। এবং সমোঝতার মাধ্যমে তরুনীকে বিয়ে করা থানা থেকে মুক্তি পান মেহেদী। পরে বিয়ের আশ্বাসে পরে চুক্তিনামায় স্বাক্ষর করে থানা থেকে মুক্তি মেলে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ জুন রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে নগরীর গ্যাসটাবাইন বাজার সংলগ্ন একটি বাসা থেকে এক তরুনী সহ মেহেদী হাসানকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন পুলিশ। তার পর ১১ জন দুপুরে আটকৃত মেহেদীকে মেহেন্দীগঞ্জ থানা যুবদল ও সেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা মেয়ে-ছেলে উভয় পক্ষ নিয়ে থানা এসে বিষয়টি বিয়ে করার সমোঝতা হয়।
পরে ৩শ’ টাকার অঙ্গিকারনামায় উভয় পক্ষের পরিবারের স্বাক্ষরের মাধ্যমে এবং তরুরীকে বিয়ে করার পর মেহেদীকে ছেড়ে দেন থানা পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রদলে সভাপতি মেহেদী ও ফাতেমা নামে তরুনীকে আটক করে নিয়ে আসা বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার এস আই হুমায়ন এর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ৯নং জাংগালিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ মেহেদী হাসান ও একই উপজেলার তরুনী ফাতেমা আক্তারকে বরিশাল নগরীর দপদপিয়ার গ্যাসটাবাইন বাজারের পাশে ফাতেমা নামে তরুনীর ভাড়া বাসা থেকে তাদেরকে হাতেনাতে ধরে স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
এস আই হুমায়ন আরো বলেন, ৫ মাস পূর্বে মেহেদীর সাথে ফাতেমা নামে তরুনীর পরিচয় হয়। এর পর থেকে তাদের মধ্যে গড়ে উঠে প্রেমের সর্ম্পক। তাই মেহেদী বরিশালে আসেন ফাতেমার সাথে দেখা করতে। মেহেদীর সাথে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠা তরুনী বরিশাল গ্যাসটাবাইন এলাকায় অবস্থিত অপসোনিন ফার্মা লিমিটেড এর ওষুধ তৈরি কারখানায় চাকুরী করেন। বুধবার (১১) দুপুরে ছেলে এবং মেয়ে উভয় পক্ষের পরিবারের লোকজন থানায় আসেন।
এবং সেখানে বিএনপির ও ছাত্রদলের লোক ছিলো। থানায় বসে উভয় পক্ষের মধ্যে ছেলে-মেয়ের বিয়ের সিদান্ত হলের ৩শ’ টাকা স্টাম্পে স্বাক্ষরের মাধ্যমে স্বাক্ষীদের উপস্থিতিতে বরিশাল আদালত কম্পাউন্ডে এক এ্যাডভোকেটের চেম্বারে বসে বিবাহ শেষে ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসানকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার অফির্সার ইনর্চাজ মিজানুর রহমান বলেন, এক যুবক ও তরুনীকে স্থানীয়রা ধরে পুলিশকে খবর দেয়।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। এবং ছেলে মেয়ে পূর্ব পরিচিত থাকায় তারা বিয়ে করবে বলে জানালে উভয় পক্ষের কাছ থেকে লিখিত রাখা হয়। পরে উভয় পক্ষের পরিবারের লোকজন বিয়ের কাজ সর্ম্পূন করে আসার পরে মেহেদীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বিষয়টি জানতে মেহেন্দীগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সভাপতি শাহাদৎ সোহাগ ও অভিযুক্ত জাংগালিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ মেহেদী হাসান এর মুঠো ফোনে একাধিক বার ফোন করা হলেও তারা রিসিভ করেনি। এদিকে মেহেদী হাসান তরুরী সহ আটকের ঘটনায় স্থানীয় ছাত্রদল ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এ বিষয়ে বরিশাল জেলা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে সংগঠনের একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তারা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং প্রয়োজনে দলীয়ভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
The post বরিশালে আটকের পর বিয়ে করে মুক্তি ছাত্রদল নেতার! appeared first on Amader Barisal – First online Newspaper of Greater Barisal – Stay with Barisal 24×7.