বাংলাদেশের ফুটবলে এক নতুন আশার আলো হয়ে উঠেছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল লেস্টার সিটিতে খেলা হামজা চৌধুরী। সম্প্রতি জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া জানিয়েছিলেন দেশের হয়ে খেলার জন্য তেমন অর্থ পান না তারা। তাদের মূল আয় আসে ক্লাব ফুটবল থেকে।
জামালের এমন মন্তব্যের পরেই ক্লাব ফুটবলে হামজার আয় নিয়ে যে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছিল, এবার সেই তথ্যই সামনে নিয়ে এসেছে ফুটবল অর্থনীতি ও বাণিজ্য নিয়ে কাজ করা গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান ক্যাপোলজি। তাদের তথ্য অনুযায়ী, শেফিল্ড ইউনাইটেডে ধারে খেলার সময় হামজা চৌধুরীর বেতন ছিল চোখ কপালে তোলার মতো।

গত চার মাস ধরে শেফিল্ড ইউনাইটেডে ধারে খেলেছেন হামজা চৌধুরী। গত ২৭ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত, অর্থাৎ ১২৪ দিনের জন্য তার ধারের চুক্তি ছিল। ‘ক্যাপোলজির’ গবেষণামূলক তথ্য বলছে, এই ১২৪ দিনের জন্য হামজা চৌধুরী মোট ৭ লাখ ৩৪ হাজার ৫৭৬ ইউরো বেতন পাওয়ার কথা ছিল, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০ কোটি ২৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকা।

আরও স্পষ্ট করে বললে, শেফিল্ড ইউনাইটেডে থাকাকালীন হামজা চৌধুরী প্রতি সপ্তাহে ৪১ হাজার ৪৭৩ ইউরো বেতন পেতেন, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৫৭ লাখ ৯৭ হাজার টাকার সমান। এই হিসাব অনুযায়ী, তার দৈনিক আয় দাঁড়ায় ৫ হাজার ৯২৪ ইউরো বা প্রায় ৮ লাখ ২৮ হাজার টাকা!

‘ক্যাপোলজি’ আরও জানিয়েছে যে, ২০২৪-২৫ মৌসুমে হামজা চৌধুরীই শেফিল্ড ইউনাইটেড ক্লাবের সর্বোচ্চ বেতনভোগী ফুটবলার ছিলেন। তার সমান বেতন পেয়েছেন চিলিয়ান ফরোয়ার্ড বেন ব্রেরেটন দিয়াজ এবং ইংলিশ স্ট্রাইকার রিয়ান ব্রুস্টার। শেফিল্ড ইউনাইটেডের সাথে ধারের চুক্তি শেষ করে হামজা চৌধুরী ইতিমধ্যেই তার মূল ক্লাব লেস্টার সিটিতে ফিরেছেন। লেস্টারে তার চুক্তির মেয়াদ আরও দুই বছর বাকি রয়েছে।

The post শেফিল্ডে সর্বোচ্চ বেতন পেতেন বাংলাদেশি হামজা appeared first on Bangladesher Khela.