ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “ইসরায়েল এমন এক ভয়ানক অপরাধ করেছে, যার শাস্তি তারা পাবে। এবার তাদের রেহাই নেই।” ১৪ জুন জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে খামেনি জানান, “ইসরায়েল কেবল হামলা চালায়নি, যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই আগ্রাসনের পরিণতি ভয়াবহ হবে। সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।”
এমন সময় ইরান সরকার জানিয়ে দিয়েছে – যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার আর কোনো ভিত্তি নেই। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র একদিকে আলোচনার কথা বলে, অন্যদিকে ইসরায়েলকে হামলার অনুমতি দেয়। এটা দ্বিচারিতা।”
১৪ জুন রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ইরান এখন যেকোনো মুহূর্তে তাদের পারমাণবিক অস্ত্র প্রকাশ্যে আনতে পারে। এদিকে, টুইটার ও ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ইরানপন্থী একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে দাবি করা হয়েছে – “আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইরান পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু করবে।” আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকরাও এমন দাবিকে উড়িয়ে দিচ্ছেন না।
বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতি যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তাহলে গোটা মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ভয়াবহ পরমাণু যুদ্ধের সম্ভাবনা উসকে উঠবে। এই সংকট আঞ্চলিক সীমা ছাড়িয়ে বিশ্বজুড়ে অস্থিরতা সৃষ্টির কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
The post কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পারমাণবিক অস্ত্র প্রকাশ্যে আনতে যাচ্ছে ইরান! appeared first on Ctg Times.