রাঙাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:

বঙ্গোপসাগরে পাদদেশে জেগে ওঠা ছোট ছোট চর/দ্বীপ নিয়ে আমাদের রাঙ্গাবালী। কথিত আছে যে, সাগর বক্ষে নতুন বালুচর সৃষ্টির ফলে কালের বিবর্তনে এই লাল বালু থেকেই রাঙ্গাবালীর জন্ম ( স্থানীয় ভাষায় লাল শব্দটি রাঙ্গা নামে পরিচিত)।
পটুয়াখালী জেলা কিংবা বাংলাদেশর মূল ভূখন্ড থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন ৪৭০.১২ বর্গ কিঃ মিঃ আয়তনের এই উপজেলা। ৬ টি ইউনিয়নের এই দ্বীপ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন একটি দ্বীপ, অনেক ক্ষেত্রে একটা ইউনিয়নের মধ্যে একাধিক চরও দেখা যায়।
একটা দ্বীপের সাথে আরেকটা দ্বীপের নেই সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
এখানকার প্রতিটি মানুষই বেড়ে ওঠে প্রতিকূল পরিবেশে।
যেখানে আমরা নিজেদের আধুনিক বিশ্বের সাথে তুলনা করি, সেখানে রাঙ্গাবালী এখনও নব্বই দশকে পরে আছে।
উল্লেখ্য বিষয় ২০২২ সালের পূর্বে পুরো উপজেলা ছিলো বিদ্যুৎহীন, যদিও পাশেই পায়রা তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প।
ভাবতে পারেন একটা উপজেলার কোনো একটা ঘরেও বিদ্যুৎ ছিলো না, মানুষ ছিলো হ্যারিকেন কিংবা সৌরবিদ্যুত নির্ভর ?
এখন বিদ্যুত থাকলেও সামান্য বৈরী আবহাওয়ায় হয়ে যায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। সামান্য জোয়ারেই অনেক মহল্লা পানি নিচে চলে যায়। নেই আধুনিক কোনো আশ্রয় কেন্দ্র, নেই টেকসই বেড়িবাঁধ, যাতায়াত ব্যবস্থার করুন অবস্থা। দ্বীপগুলো থেকে শহরে যেতে নাই কোনো ফেরি কিংবা ব্রিজের ব্যবস্থা।
দুই লক্ষ প্রায় মানুষের বসবাসের এই উপজেলায় ,নেই কোনো সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র। হঠাৎ কেউ অসুস্থ হলে টলার যোগে শহরের হাসপাতালে পৌঁছাতে পৌঁছাতেই শেষ অবস্থা..
খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা আমাদের মৌলিক অধিকার । এটা যেন রাঙ্গাবালীর জন্য প্রযোজ্য নয়, খাদ্য-বস্ত্র থাকলেও____
# নেই বাসস্থানের নিরাপত্তা, সামান্য জোয়ারে প্লাবিত হয়।
# প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার মতো নেই কোনো হাসপাতাল।
# প্রাথমিক কিংবা মাধ্যমিককের প্রতিষ্ঠান থাকলেও উচ্চ শিক্ষা ক্ষেতে তেমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই।
কি আছে এখানে ? প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছাড়া, আছে শুধু নাই নাই হাহাকার! তবে কি রাঙ্গাবালীবাসীর জীবন এভাবেই কাটবে ? শুধু আশ্বাস নয়, রাঙ্গাবালী বসবাসের উপযোগী করা এখন সময়ের দাবি
#রাঙ্গাবালীবাসীর_প্রাণের_দাবি
# টেকসই বেড়িবাঁধ
# সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র
# যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে ফেরি / রাস্তাঘাট উন্নয়ন , বর্ষার দিনে রাস্তাগুলো চাষাবাদ নির্ভর হয়ে পড়ে, উপজেলা সদরের সাথে চালিত বুনিয়া ইউনিয়ন, বড়বাইশদিয়া ইউনিয়ন ,মৌঢুবি ইউনিয়ন, চরমোন্তাজ ইউনিয়ন ,একমাত্র পারাপারের ভরসা নৌপথ। তাও সকাল আটটার পরে বিকেল পাঁচটার মধ্যে।
# অভ্যন্তরীণ দ্বীপগুলোর ব্রিজের মাধ্যমে সংযুক্ত করণ
# উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থা
# নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, কোন কারণ ছাড়া ২৪ ঘন্টা থেকে ৭২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না, কেন বিদ্যুৎ নেই তথ্য জানেন না বিদ্যুৎ অফিসও।
The post রাঙ্গাবালী উপজেলা বাংলাদেশের দুঃখ দুর্দশার প্রমাণ্য চিত্র appeared first on Amader Barisal – First online Newspaper of Greater Barisal – Stay with Barisal 24×7.