ব্যাট হাতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রেকর্ডটা সবসময়ই দারুণ ছিল মুশফিকুর রহিমের। এই সিরিজের আগে অবশ্য মুশফিকের বুড়িয়ে যাওয়া এবং অফফর্ম নিয়ে খানিকটা চিন্তা ছিল ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের। তবে সব শঙ্কাকে পাশ কাটিয়ে লঙ্কান ডেরায় নিজেকে আবারও প্রমাণ করলেন অভিজ্ঞ টাইগার ব্যাটার। গল টেস্টের প্রথম দিনেই সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মুশি।
পাহাড়সম সমালোচনা সঙ্গী করে আজ (১৭ জুন) গল টেস্টে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। টস হেরে শুরুতে ব্যাটিং নেয় বাংলাদেশ। তবে এদিনের শুরুটাও ছিল বেশ হতাশাজনকই। সকালের উইকেটের সুবিধা নিয়ে মাত্র ৪৫ রানেই বাংলাদেশের প্রথম ৩ উইকেট তুলে নেয় স্বাগতিকরা। লঙ্কান বোলারদের বুনো উল্লাস দেখে তখন মনে হচ্ছিল, হয়তো আরেকটা হতাশাজনক হারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে টিম বাংলাদেশ।
তবে লড়াইয়ে যে এক বিন্দুও ছাড় দেবে না বাংলাদেশ, উইকেটে এসে সেটার আভাস দেন মুশফিকুর রহিম এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। বিপর্যয় থেকে দলকে রীতিমতো টেনে তুলেছেন এই দুই ব্যাটার। দুই শতাধিক রানের অপরাজিত জুটি গড়ে দলকে বসিয়েছেন চালকের আসনে।
বাংলাদেশের ইনিংসের ৭৪তম ওভারে প্রবথ জয়সুরিয়ার বল ফাইন লেগে ঠেলে দিয়ে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন শান্ত। ২০২ বলের সেঞ্চুরিতে ১১ টি চারের পাশাপাশি ১টি ছক্কাও মেরেছেন তিনি।
রানের দিক থেকে একসময় বেশ কাছাকাছি থাকলেও মুশফিক সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন শান্তর শতকের ১২ ওভার পরে। নার্ভাস নাইন্টিজে আসার পর শেষ কয়েকটা রান নিতে একটু বেশিই সময় নিয়েছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। তবে সেঞ্চুরির আগে মুশির এত সতর্কতা ভেস্তে যেতে পারতো।
৮৬ তম ওভারের যে বলে সিঙ্গেল নিয়ে শতক পূর্ণ করেন মুশি, সেটা ইনসাইড এজ হয়ে স্ট্যাম্পে যাওয়ার সুযোগ ছিল। ভাগ্যবান মুশফিক সেখান থেকে বাঁচলেও রান আউটের ঝুঁকিতে পড়েন এরপর। তবে সেখানেও ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল তার। ১৭৬ বলে তিন অঙ্কে পৌঁছেছেন মুশফিক।
গত বছরের আগস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৯১ রানের ইনিংস খেলার পর সর্বশেষ ১৩ ইনিংসে কোনো সেঞ্চুরির দেখা পাননি মুশফিক। শুধু সেঞ্চুরিই নয়, এই ১৩ ইনিংসে কোনো ফিফটির দেখাও পাননি তিনি। অবশেষে কাটল সেই গেরো।
শান্ত-মুশফিকের সেঞ্চুরিতে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৮০ রান। সদ্য সেঞ্চুরি পাওয়া মুশফিকের সঙ্গে উইকেটে আছেন ১২৯ রানে অপরাজিত থাকা শান্ত।

The post মুশফিক ১৩ ইনিংস পরে পেলেন সেঞ্চুরির দেখা appeared first on Bangladesher Khela.