ময়মনসিংহে মাদক, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন। তার নেতৃত্বে ধারাবাহিক অভিযানের ফলে জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে এসেছে দৃশ্যমান অগ্রগতি। সাধারণ মানুষের মধ্যে ফিরেছে পুলিশের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস।
নগরের বিভিন্ন এলাকায় কিশোর গ্যাং, চুরি, ইভটিজিং, গরু চোর চক্রসহ একাধিক সংঘবদ্ধ অপরাধচক্রের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে তিনি অপরাধীদের গ্রেফতার এবং মালামাল উদ্ধার করে চলেছেন। একইসাথে তিনি জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন, সচেতনতা বৃদ্ধির কর্মসূচি ও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে অপরাধপ্রবণতা রোধে সামাজিক সম্পৃক্ততা তৈরি করেছেন। প্রযুক্তি নির্ভরতায় দ্রুত অপরাধ উদঘাটনঃ- সম্প্রতি নগরীর ‘নদী বাংলা’ মোবাইল শোরুমে সংঘটিত প্রায় কোটি টাকার মোবাইল চুরির ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মামুন। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অল্প সময়েই তিনি চোর শনাক্তে সক্ষম হন, যা ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ও আস্থার জন্ম দেয়। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা চাই জনগণ সরাসরি আমাদের কাছে আসুক, সমস্যার কথা বলুক।
পুলিশের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের পাশে দাঁড়ানো— কোনও তদবির নয়, সেবা পাওয়াটাই অধিকার।” সমাজ সচেতনতায় ‘মাঠের পুলিশ অফিসারঃ- খালি হাতে, টর্চলাইট হাতে নিয়ে রাতের শহরে টহল দেওয়া কিংবা পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে সচেতনতা সৃষ্টি করা— এমন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আবদুল্লাহ আল মামুন এখন ‘মাঠের পুলিশ অফিসার’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তার সরাসরি উপস্থিতি অনেকের কাছেই আশ্বস্ত হওয়ার মতো। নারীদের প্রতি সচেতনতা তৈরি করে তিনি বলেন, “ইভটিজিংসহ যেকোনো হয়রানির শিকার হলে থানা কিংবা বিট পুলিশিং অফিসারে যোগাযোগ করুন। নীরব থাকবেন না, প্রতিবাদ করুন। পুলিশ আপনাদের পাশে রয়েছে।” অভিযানে টার্গেট—চক্রের গোড়া উৎপাটনঃ-তার নেতৃত্বে আন্তঃজেলা ডাকাত দল, গরু চোর চক্র ও ছিনতাইকারী গ্যাংয়ের সদস্যদের গ্রেফতার এবং অস্ত্র-অস্ত্রোপচার সামগ্রী উদ্ধারসহ একাধিক অভিযানে এসেছে সফলতা।
আলোচিত ব্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও মূল অভিযুক্ত গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে তার কার্যক্রম আরও প্রশংসিত হয়। জনতার মুখে সন্তুষ্টিঃ-নগরীর একাধিক বাসিন্দা জানান, অতীতের তুলনায় এখন মাদক, চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনা অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। একজন সাধারণ নাগরিক বলেন, “আমি গরিব মানুষ, থানায় যেতে ভয় পেতাম। কিন্তু এখন দেখছি, অফিসার স্যারের ব্যবহার আন্তরিক। থানায় গেলে সহযোগিতা পাই, অপমান নয়।” একজন রাজনৈতিক নেতা মন্তব্য করেন, “এসপি ও এএসপি’র নেতৃত্বে বর্তমানে ময়মনসিংহে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তারা আন্তরিক, মানবিক এবং দুর্নীতিমুক্ত। জনগণ হয়রানির শিকার হচ্ছে না, বরং আশ্বস্ত হচ্ছে।” দক্ষতা ও অভিজ্ঞতায় অনুপ্রেরণাঃ- শেরপুর জেলার সন্তান মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন ৩০তম বিসিএস ক্যাডারের একজন মেধাবী কর্মকর্তা। ২০১৩ সালে কিশোরগঞ্জে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করে পরে এসবি, পিবিআই ও টাঙ্গাইলে দায়িত্ব পালন করেন। চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল ময়মনসিংহে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। তিনি বলেন, “জনগণের কল্যাণে কাজ করাই আমার অঙ্গীকার। এসপি স্যার কাজী আখতার উল আলম অত্যন্ত মানবিক ও জনবান্ধব নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের সামনে আদর্শ স্থাপন করেছেন। তার নির্দেশনায় আমরা প্রতিটি অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে কাজ করছি।” -ময়মনসিংহে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুনের উদ্যোগ, নিষ্ঠা ও মানবিক আচরণ ইতিমধ্যে তাকে জনগণের আস্থার প্রতীক করে তুলেছে। একদিকে কঠোর আইন প্রয়োগ, অন্যদিকে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তিনি পুলিশি সেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছেন। তার এই সাফল্য নিঃসন্দেহে গোটা দেশের পুলিশ প্রশাসনের জন্য একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
The post জনতার আস্থার প্রতীক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন appeared first on দৈনিক ময়মনসিংহের খবর.