অনলাইন ডেস্ক: জাম খেয়ে বিচি সাধারণত ফেলে দেই আমরা। কিন্তু জানেন কি এই উচ্ছিষ্টেরও কত গুণ। বহুকাল আগে থেকেই জামের বিচি আয়ুর্বেদ ও ইউনানি চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে আসছে। ওজন নিয়ন্ত্রণ, ডায়াবেটিস ও হাই ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে দারুণ কার্যকরী জামের বিচি। আরও এমন কিছু আছে যা জানলে কখনও জামের বিচি ফেলবেন না।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে: জামের বিচিতে জ্যাম্বলিন (jamboline) নামক একটি উপাদান থাকে। যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তৈরিতে: জামের বিচিতে থাকা বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহে ফ্রি র্যাডিকেলের ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে সাহায্য করে।
হজমে সহায়তা: জামের বিচি গুঁড়া করে খেলে হজমে কিছুটা সহায়তা করতে পারে; বিশেষ করে ডায়রিয়া বা পেট খারাপ হলে উপকার পাওয়া যেতে পারে। ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করতে পারে কিছু উপাদান।
ওজন কমাতে: নিয়মিত জামের বীজ খেলে মেদ ঝরে যায়। তাই ওজন বেশি থাকলে জামের বীজের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে নেয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
পেটের জন্য উপকারী: বদহজম, গ্যাস ও অ্যাসিডিটির মতো জটিলতায় জামের বিচি দারুণ কাজ করে। এই বীজ নিয়মিত খেলে পেটের অসুখ থেকে সহজে নিস্তার পাওয়া যায়।
- কীভাবে খাওয়া যায়
বিচি শুকিয়ে গুঁড়ো করে সকালে এক গ্লাস পানির সঙ্গে আধা চা চামচ করে খাওয়া যেতে পারে। খালি পেটে জামের বিচি না খাওয়াই ভালো এবং দিনে একবারই যথেষ্ট।
- সতর্কতা: যদি ডায়াবেটিস বা অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা থাকে তাহলে জামের বিচি খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তাছাড়া গর্ভবতী নারীদের জামের বিচি খাওয়ার আগে সতর্ক থাকা জরুরি।
The post উপকারিতা জানলে ফেলে দেবেন না জামের বিচি appeared first on সোনালী সংবাদ.