বামনা ((বরগুনা) প্রতিনিধি:

বরগুনার বামনা উপজেলায় অপহরনের ১৫ ঘন্টা পর বামনা থানা পুলিশের চৌকস অভিযানে উদ্ধার করা হয় অপহৃত মিলন নামে এক যুবককে। মিলন উপজেলার খোলপটুয়া গ্রামের
বাসিন্দা। বুধবার বরিশালের কালিজিড়া ব্রীজ সংলগ্ন এলাকা থেকে দাবীকৃত টাকা বিকাশ লেনদেনের সময় জহিরুল হোসেন তুসার (৪০) নামের বরখাস্তকৃত পলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করেন। এ ঘটনায় অপহরনকৃতর স্ত্রী চাঁদনী আক্তার (২২) বাদী হয়ে বামনা থানায় মামলা দায়ের করেন। বামনা থানা সূত্রে জানা যায়- মঙ্গলবার মধ্যাহ্নে উপজেলার কলেজ রোডস্ত সফদার ব্রীজের কাছ থেকে একটি মাইক্রোবাসে ৭/৮ জনের অপহরণকারী দলটি মিলনকে জোড় করে তুলে নিয়ে গাড়িতে বসে তার হাত-পা ও চোখ বেধে মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে
অপহারনকারী দলটি মিলনের স্ত্রী চাদনীর মুঠোফোনে ১৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবি করেন।
এসময় চাদনী বামনা থানায় সরনাপন্ন হয়ে বিষয়টি অবহিত করেন। এসময় বামনা
থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হারুন-অর রশিদ হাওলাদার এর পরামর্শে চাদনি অপহরন দলের
কাছে বিকাশ নম্বর চাইলে তারা একটি দোকানের এজেন্ট নম্বর পাঠিয়ে দেয়। এ
সময়ে অফিসার ইনচার্জ এসআই উত্তমকুমার, এএসআই সিদ্দিকুর রহমান,
এএসআই নাসির উদ্দিনসহ একটি চৌকস দল বরিশাল ডিভি পুলিশের সহায়তায়
কালীজিরা ব্রিজ সংলগ্ন উক্ত বিকাশ এজেন্টের দোকানে টাকা লেন-দেনের সময়
জহিরুল হোসেন তুসার নামে একজন অপহরনকারীকে পুলিশ গ্রেফতার করেন। তুসার
বামনা ইউনিয়নে মিজানুর রহমানের ছেলে। এ সময় তুসারের কাছ থেকে একটি
ওয়াকিটকি, হ্যান্ডক্যাপ ও পুলিশি রোড ডিউটির পোশাক জব্দ করা হয়। এ ঘটনা টের
পেয়ে অপর আসামীরা পালিয়ে যায়। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত
তুসার অন্যান্য আসামীদের মধ্যে রুবেল (৪০), হানিফ (৩০), নাসির উদ্দিন (২৭), রিয়াজ
(২৫) এর নাম নাম প্রকাশ করে। গ্রেফতারকৃত জহিরুল ইসলাম তুসার একজন পুলিশ
সদস্য হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও মাদক কারবারীর অভিযোগ প্রমানিত হলে তিনি
পুলিশের সদস্য পদ থেকে চাকুরী চ্যুত হন। এর তিনি তৈরী করেন একটি ভুয়া ডিবি
পুলিশে গ্যাং সেই সাথে মাদকাসক্ত হয়ে জাড়িয়ে পরেন অবরাধের জগতে। তার বিরুদ্ধে
মাদক মামলাসহ একধিক মামলা রয়েছে। তার পরিবারে রয়েছে আরও দুই পুলিশ সদস্য।
থানায় প্রেস ব্রিফিং শেষে গ্রেফতারকৃত জহিরুল হোসেন তুসারে ছবি তুলতে
গেলে তিনি সাংবাদিকেদের উপর চড়াও হয়ে অকথ্য ভাষায় গাল-মন্দ করেন।
বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, অপহরনকারী জহিরুল হোসেন তুসার কে
গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসলে অপহৃত মিলনের স্ত্রী চাদনী আক্তার বাদি হয়ে একটি
মামলা দায়ের করেন। আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
ভিকটিম মিলনকে বৃহস্পতিবার সকালে ১৪৪ ধরায় জবানবন্দী দিতে আদালতে পাঠানো
হবে। তুসার মাদক মামলায় চাকুরীচ্যুত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায়
মামলা রয়েছে।
The post বামনায় অপহরন পরবর্তী মুক্তিপনের টাকার ফাঁদে গ্রেফতার ১ হ্যান্ডক্যাপ, ওয়াকিটকি ও পোশাকসহ গ্রেফতার বরখাস্তকৃত পুলিশ সদস্য appeared first on Amader Barisal – First online Newspaper of Greater Barisal – Stay with Barisal 24×7.